বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
1898 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম,
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
এ সমস্ত রেওয়াত প্রমাণ করে যে,গজল বা ইসলামী সংগীত যদি ভালো অর্থবোধক হয়, তাহলে আবৃত্তি করা, শ্রবণ করা জায়েয আছে।চায় একক কন্ঠে হোক বা সম্মিলিত কন্ঠে হোক।
তবে কয়েকটি মূলনীতিকে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
(১)মিউজিক থাকতে পারবে না।
(২)অত্যাধিক মনযোগ প্রদান করা যাবে না।যার দরুণ ফরয ওয়াজিব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
(৩)মহিলাদের কন্ঠে হতে পারবে না,এবং অশ্লীল বা হারাম কথাবার্থা তাতে থাকতে পারবে না।
(৪)ফাসিক,এবং উদ্ভ্রান্তদের কন্ঠে হতে পারবে না।
(৫)এমন কোনো আয়োজন হতে পারবে না, যা মিউজিকের মত মনে হয়।
(৬)গান যেভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করে,ফিতনায় পতিত করে, সে রকম কোনো কন্ঠ হতে পারবে না।
অথচ বর্তমানে প্রচলিত অনেক শে'র, গজলে এমনটাই লক্ষ্য করা যায়।আজকালের শ্রুতাগণ অর্থের দিকে খেয়াল না করে, তারা কন্ঠ এবং ভাবভঙ্গির দিকেই বেশী খেয়াল করে গজল বাছাইরকরে।এত্থেকে আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে।(ফাতহুল বারী-১০/৫৫৩)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মিউজিক হারাম।মিউজক চায় কোনো যন্ত্রের মাধ্যমে হোক বা মুখের মাধ্যমে হোক বা অন্য কোনো মাধ্যমে হোক সর্বাবস্থায়ই হারাম।মিউজিক সম্ভলিত নাশিদ,গজল,সবকিছুই হারাম বলে প্রমাণিত হবে।তবে যদি কোনো নাশিদে মিউজকের পরিমাণ যৎসামান্য হয়,তাহলে সেটার বিধান শীতিলযোগ্য। বিস্তারিত জানুন-
7749
সর্বাবস্থায় মিউজিক সম্ভলিত গজল পরিত্যাগ করাই তাকওয়ার দাবী।