আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
ভাই,
আমি একজনকে টিউশন দেই। সে একটু অমুসলিম শিক্ষকের কাছেও টিউশন নেয়। আর ওই শিক্ষক আমার থেকে শতগুন ভালো। কিন্তুু সে আমার কাছে বলছে  আমি আর ওর কাছে পড়বো না। ও দেরী করে।  মানে একরকম অভিযোগ জাতীয় কথা। আমি বাধ্য হয়ে শুনি। কিছু বলতেও পারি না। আবার পাত্তাও দিই না। কিন্তুু কানে তো আওয়াজ যায়। আর এগুলিই তো গীবত। আর আমি ওকে আমার থেকে clearance দিয়েছি যে যদি ওই স্যারকে ছেড়ে দেয় তাহলে সে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কারন আমার এই সম্পর্কে তত অভিজ্ঞতা নাই। আমি আমার কমজোরি ওকে জানিয়ে দিয়েছি। কারন ও কলেজ স্টুডেন্ট। তাই আমি আমার ব্যপারটা জানিয়ে দিয়েছি। যাতে আমার আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা না করতে হয়।
একপর্যায়ে আমি হঠাৎ বলে ফেলেছি ওর কাছে পড়ো, আর যদি আরো অন্য স্যার আসে তাহলে ত ভালোই। (১)ভাই এটা কী গীবত হয়ে গেছে? (২)আর ও যে আমার কাছে ওই স্যারের নামে অভিযোগ গুলি জানিয়েছে,  তা অনিচ্ছাসত্তেও শ্রবনের কারনে কী আমি পাপী হয়ে গেছি?

 আমি কয়েক মাস হয়েছে তওবা করেছি। আর প্রানপনে চেষ্টা করছি যাতে আমার দ্বারা গীবত না হয়। কিন্তু মুখে না বললেও এমন পরিস্থিতিতে পরে যাই, না কিছু বলতে পারি না উঠতে পারি অবশ্য কখনো কখনো বাধা দিয়ে দিই।  প্রায় সময় পারি না। (৩) আমার বাধা না দেওয়ার কারনেও কী আমি পাপী? অবশ্য যারা করে তারা নিজেদের মধ্যেই করে। আমি সেখানে উচ্ছিস্ট। মানে প্রায় জায়গাতেই আমি,  বিরিয়ানির আসরে পান্তা ভাত।
(৪) অমুসলিমদের কী গীবত হয়?
(৬) তাওবাহ ভেংগে গেলে করনীয় কী? আমি কী আবার তাওবাহ করবো?

(৭) ইন্টারনেটে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। যেমন আমি ইংরেজী সাহিত্যের ছাত্র। ইংরেজী পড়াই। এখন ইন্টারনেট থেকে নোটস নিয়ে কী আমি পড়াতে পারি।
টাকা কী হালাল হবে?
মাফ করবেন।  আজকে একটহ বেশী প্রশ্ন করে ফেলেছি।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আল-উরস ইবনু ’আমীরাহ আল-কিনদী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
عَنِ الْعُرْسِ ابْنِ عَمِيرَةَ الْكِنْدِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا عُمِلَتِ الْخَطِيئَةُ فِي الْأَرْضِ، كَانَ مَنْ شَهِدَهَا فَكَرِهَهَا - وَقَالَ مَرَّةً: أَنْكَرَهَا - كَانَ كَمَنْ غَابَ عَنْهَا، وَمَنْ غَابَ عَنْهَا فَرَضِيَهَا، كَانَ كَمَنْ شَهِدَهَا
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো স্থানে যখন অন্যায় সংঘটিত হয়, তখন সেখানে উপস্থিত ব্যক্তি তাতে অসন্তুষ্ট হলে, সে অনুপস্থিতিদের মতোই গণ্য হবে (তার গুনাহ হবে না)। আর যে ব্যক্তি অন্যায় কাজের স্থান থেকে অনুপস্থিত হয়েও তাতে সন্তুষ্ট হয়, সে অন্যায়ে উপস্থিতদের অন্তর্ভুক্ত। (আবূ দাঊদ-৪৩৪৫) ইমাম আবু দাউদ রাহ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)মুহতারাম! এটা কী গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
(২)আপনার কাছে আরোও যে ওই স্যারের নামে অভিযোগ গুলো জানানো হয়েছে,অনিচ্ছাসত্তে সেগুলো শ্রবনের কারনে আপনি পাপী হবেন না।

(৩)বাধা না দেওয়ার কারনে আমি পাপী হবেন না ঠিক।তবে বাধা দেওয়া আপনার উচিৎ ছিলো। 

(৪) অমুসলিমদের গীবত করাও হারাম। তবে যদি কোনো অমুসলিমের দ্বারা মুসলমানদের ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে, তাহলে তখন কিন্তু গীবত জায়েয হবে। 

ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূমে বর্ণিত রয়েছে,
فتوی(ھ): 857=554-5/1432 ایسا ہی ہے۔ وتحرم غیبتہ (الذمي) کالمسلم وظاہرہ أنہ لا غیبة للحربي إھ فتاوی شامي: ۵/۲۶۳ (کتاب الحظر والإباحة) البتہ اگر اس کے کفر سے اسلام یا مسلمانوں کو ضرر کا اندیشہ ہو تو حکم بدل جائے گا یعنی ایسی صورت میں اس کی غیبت پر حرام ہونے کا حکم لاگو نہ ہوگا۔

(৬) তাওবাহ ভেংগে গেলে আবার তাওবাহ করবেন।

(৭) ইন্টারনেট থেকে তথ্য নোট করে রাখতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (27 points)
আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দুনিয়া ও আখিরাতে দান করুন প্রিয় ভাই। আপনাদের ইলমে বারাকাহ দান করুন ও আপনাদের দ্বীনি খেদমত কে আল্লাহ তা'আলা কবুল করুন

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...