আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
129 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (14 points)
আমি আমার মৃত নানার পক্ষ থেকে বদলী হজ্জ করতে ইচ্ছুক। হজ্জের সময় ওখানে কুরবানী কি আমার নানার পক্ষ থেকে নিয়ত করে করবো?

 আমার নিজের ওপরও কুরবানী ওয়াজিব।
তাই আমার নিজের পক্ষ থেকে কি আলাদা করে দেশে কুরবানী দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

কুরবানি দুই প্রকারের হয়ে থাকে।
(১) ঐ কুরবানি যা একজন নেসাব পরিমাণ মালের মুকিম মালিকের উপর ফরয হয়। চায় তিনি বাড়িতে থাকুন বা হজ্বে গিয়ে ১৫ দিন অবস্থানের নিয়ত করুন। উনার উপর কুরবানি ওয়াজিব, চায় তিনি মক্কাতে করবানি দেন বা মদীনাতে কিংবা নিজ বাড়ীতে।

(২) দ্বিতীয় প্রকার কুরবানি দ্বারা 'দমে শোকর' উদ্দেশ্য। যা 'হজ্বে কেরান'(একই ইহরামে প্রথমে উমরা তারপর হজ্ব) বা 'হজ্বে তামাত্তু' (প্রথমে উমরা করার পর সেই ইহরামে হজ্বের নিয়ত করা) কারীর উপর ওয়াজিব হয়।

বদলী হজ্ব কারী যদি হজ্বে ইফরাদ বা শুধুমাত্র হজ্ব করেন, এবং তিনি মক্কায় মুসাফির থাকেন, তাহলে উনার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে না।তবে মক্কায় ১৫ দিনের অবসাথানের নিয়ত করলে এবং নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হলে, তখন উনার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে। হজ্বে কেরান বা তামাত্তু কারীর উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি আপনার মৃত নানার পক্ষ থেকে বদলী হজ্জ করতে চার। তাহলে কি রকম হজ্ব করবেন? হজ্ব তিন প্রকার।যদি শুধু হজ্ব করেন, উমরাহ না করেন, তাহলে দমে শোকর ওয়াজিব হবে না।


আমার নিজের ওপরও কুরবানী ওয়াজিব।
তাই আপনির নিজের পক্ষ থেকে দেশে কুরবানী দিবেন। 

দারুল ইফতা বিন্নুরী টাউনে বর্ণিত রয়েছে,
قربانی دو طرح کی ہوتی ہے:
(1)  ایک قربانی تو وہ ہے جو  صاحبِ نصاب مقیم شخص پر واجب ہوتی ہے خواہ حج کرنے جائے یا نہ جائے، اگر حاجی صاحبِ نصاب ہے اور  قربانی کے دنوں میں مکہ مکرمہ میں مقیم ہے یعنی منیٰ جانے سے پہلے مکہ مکرمہ میں پندرہ دن اس کا قیام ہو  یا مستقل وہیں رہتا ہے،  تو اس پر یہ قربانی واجب ہے، اور اسے اختیار ہے کہ  چاہے تو مکہ مکرمہ یا مدینہ مٰیں  قربانی کا انتظام کرے یا اپنے وطن میں قربانی کی رقم بھیج دے یا وطن میں کسی کو قربانی کرنے کا کہہ دے، البتہ منیٰ میں قربانی کرنے کا ثواب پوری دنیا کی تمام جگہوں سے زیادہ ہے۔ 
(2)  دوسری قربانی سے مراد "دمِ شکر" ہے، یہ حجِ قِران (حج اور عمرہ دونوں کی اکٹھے نیت کرکے اداکرنا)اور تمتع(عمرہ مکمل کرکے احرام کھول کر ایامِ حج میں حج کی نیت کرنا) کرنے والوں  پر ایامِ نحر  (10،11،12 ذوالحجہ) میں  حلق (سرمنڈوانے) یا بال کٹوانے سے پہلے منیٰ یا حدود حرم میں واجب ہے۔حجِ افراد  (صرف حج) کرنے والوں پر یہ قربانی واجب نہیں ہے۔
حاصل یہ ہوا کہ حجِ  افراد کی صورت میں مقیم اور صاحبِ نصاب ہونے کی صورت میں صرف  پہلی قسم کی قربانی واجب ہوگی، اور اگر مقیم نہ ہو یا استطاعت نہ ہوتو کچھ بھی واجب نہیں ہوگا ، اور قارن (حج قران کرنے والے) اور متمتع (حجِ تمتع کرنے والے) پر مقیم اور صاحبِ نصاب ہونے کی صورت میں دو نوں قسم کی قربانیاں لازم ہوں گی، ورنہ صرف دوسری قسم یعنی دمِ شکر لازم ہوگی۔فقط واللہ اعلم

فتوی نمبر : 144004201433


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...