আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম, কোন ব্যাক্তি যদি কোন ভর্তি পরীক্ষায় পাশাপাশি বসার জন্য একসাথে ফরম পূরণ  করে এবং একসাথে বসে পরিক্ষা দিয়ে  একজনের সাহায্য নিয়ে আরেকজন লিখিত পরিক্ষায় টিকে ;পরে যিনি লিখিত পরিক্ষা টিকেন ওনি নিজে মৌখিক পরীক্ষায় টিকেন,লিখিত পরিক্ষার আগে তৃতীয় কোন ব্যক্তি এর মাধ্যমে যে সাহায্য করেছিল, সে অন্যজনকে সাহায্য করবে কিনা সেটার সম্মতি নেয়, সে আবার সাহায্য করতে রাজি হয়,যারা ২ জন একসাথে পরিক্ষা দিছে তারা আাবার পূর্ব পরিচিত। এখানে কোন লেনদেন এর কথা হয় নাই। যিনি এখন পরিক্ষায় টিকছেন ওনি এখন ২ জন কেই খুশি হয়ে  কিছু দিতে চান। সেটা নেয়া কি জায়েজ হবে?তৃতীয়  যিনি ওনি কোন কিছু নিতে চায় না কিন্তু তাকে জোর করে দেওয়া হয়েছে এখন সে কি করবে?তৃতীয়  ব্যক্তি পরে ব্যপারটা বুঝতে পারছে যে এভাবে পরিক্ষা দেয়াটা ঠিক না।কিন্তু তৃতীয় ব্যাক্তি এই ব্যাপারটা বুঝতে পেরেও তাদেরকে না করতে পারে নাই কারন যে ২ জন একসাথে পরিক্ষা দিবে  তারা পূর্ব পরিচিত যদি ওই ২ জন যোগাযোগ করে জানতে পারে যে তৃতীয় ব্যক্তি না করছে তাহলে তৃতীয় ব্যক্তির সাথে তাদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে,কারণ  তৃতীয় ব্যক্তি আর যিনি পরিক্ষায় টিকছেন তারা একই জায়গায় চাকুরী করেন।আর ওনি কর্মক্ষেত্রে তৃতীয় ব্যক্তির থেকে সিনিয়র এক্ষেত্রে তৃতীয় ব্যক্তির করনীয় কি???সে কি উপহারটা গ্রহণ করবে??  আর অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে জোর করে উপহার দেওয়া হয় তখন সে উপহার টা কি ব্যবহার করতে পারবে??

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নকল করা, জালিয়াতি করা ইত্যাদি নাজায়েয ও হারাম।চায় তা ক্রয়-বিক্রয়ে হোক বা পরীক্ষায় হোক,কিংবা সার্টিফিকেট গ্রহণের ক্ষেত্রে হোক, সর্বাবস্থায়-ই নাজায়েয ও হারাম।
যেমন হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ قال،قال رسول اللّٰه 
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣَﻦْ ﻏَﺶَّ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻣِﻨِّﻲ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি ধোকা দিবে সে আমার উম্মতভূক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম-১০২)
 এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/539

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পরীক্ষায় নকল করা কখনো জায়েয হবে না। তা যে কোনো প্রকার পরীক্ষাই হোক না কেন? এবং পরবর্তীতে এই নকল বা পরস্পর সাহায্য করার নিমিত্তে হাদিয়া আদান প্রদানও জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...