ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
মসজিদ সমূহের মধ্যে সবচেয়ে ফযিলতপূর্ণ মসজিদ হলো মসজিদে হারাম।কেননা এই মসজিদ সকল মসজিদ সমূহের কিবলা এবং মূল।
যে ব্যক্তি মসজিদে হারামে এক ওয়াক্ত নামায পড়বে সে এক লাখ নামাযের সওয়াব পাবে।
এরপর হলো মসজিদে নববীর দরজা।এরপর হলো মসজিদে আক্বসা।এই মসজিদ দ্বয়ে এক ওয়াক্ত নামায পঞ্চাশ হাজার নামাযের সমতূল্য।
এরপর স্থান হলো শহরের জামে মসজিদ এর।এতে এক ওয়াক্ত নামায পাঁচশত নামাযের সওয়াবের সমতূল্য।অতপর মহল্লার পাঞ্জেগানা মসজিদ।তাতে এক ওয়াক্ত নামায পচিশ নামাযের সওয়াবের সমতূল্য।
এ ব্যখ্যা হযরত আনাস রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে(ইবনে মা'জা র সূত্রে মিশকাতে বর্ণিত রয়েছে)
فتاوی رحیمیہ میں ہے:
"اس سے ثابت ہوتا ہے کہ عورتوں کے لیے اپنے گھر(قیام گاہ)ہی میں نماز پڑھنا بہتر ہے چاہے وہ محلہ کی مسجد ہو یا حرم شریف کی(مذکورہ حدیث تو خاص مسجد نبوی سے متعلق ہےاور حضور اقدس صلی اللہ علیہ وسلم کی اقتداء میں نماز ادا کرنے سے متعلق درخواست تھی)لہذاعورتوں کے لیے بہتر یہی کہ خاص نماز کے ارادے سے مسجد نہ جائیں چاہے حرم شریف ہو،البتہ اگر عورت طوا ف کے ارادہ سےیا روضئہ پاک پر صلاۃ وسلام پیش کرنے کے لئے حرم شریف میں حاضر ہوئی ہو اور نماز کی تیاری ہونے لگے تووہاں عورتوں کے ساتھ نماز پڑھ لے،مردوں کے ساتھ ہزگز کھڑی نہ ہو."
(باب الامامۃ والجماعۃ، ج:4، ص:148، ط:دار الاشاعت)
فتاوی محمودیہ میں ہے:
"سوال:عورتیں نمازوں کے لیے حرم شریف میں جاویں یا اپنی قیام گاہ پر پڑھیں،افضل کیا ہے؟سمجھ میں یہ آتا ہے کہ صبح اور عشاء کی نماز حرم میں پڑھیں،کیونکہ اندھیرے کی وجہ سے پردہ بھی ہے اور حرم میں آنے جانے میں سہولت بھی ہے،اول وقت چلی جائیں اور آخر میں باہر آئیں۔
جواب:ان کو مکان پر نمازپڑھنا بہتر ہےہرنماز کا یہی حکم ہے۔"
(باب فی احکام الحج، ج:22، ص:419، ط:ادارۃ الفاروق)
"احسن الفتاوی"میں ہے:
"مکہ مکرمہ میں عورت کو گھر میں نماز پڑھنے کا وہی اجر ملے گا جو مردوں کے لیے مسجد حرام میں نماز پر ہے،نیز مذکورہ ہے مسجد نبوی میں چالیس نمازیں ادا کرنے پر جہنم عذاب نفاق سے بشارت صرف مردوں کے لیے نمازِ جماعت کے ساتھ مخصوص ہے،عورتوں کے لیے مسجد نبوی کی بجائے گھر میں نماز پڑھنا افضل ہے۔"
(احسن الفتاوی، ج:3، ص:34، ط:سعید)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হজ্জ্ব সফরে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে নারীগণ যদি নামায আদায় করে নেন,তাহলে তারাও প্রতি ওয়াক্তে সেই সংখ্যক সওয়াব পাবেন।তবে নারীদের জন্য সর্বদাই ঘরে নামায পড়া উত্তম চায় হারামাইন শরীফে অবস্থানরত হোক বা না হোক।
(২)
এহরাম অবস্থায় মিসওয়াক করা যাবে
ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ। ফাতাওয়া নং
Fatwa: 1205-997/B=10/1443
جی ہاں، احرام كی حالت میں لكڑی كی مسواك كرسكتے ہیں۔
ইহারাম বাঁধা অবস্থায় শরীর চুলকানো যাবে। তবে অযথা চুলকানো থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
(৩)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কবর নারীগণ জিয়ারত করতে পারবে।
(৪)হজ্জ্ব ও উমরাহে কাবা ঘর খালি পায়ে তাওয়াফ করতে হবে। জুতা পায়ে তাওয়াফ করতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নাই।তবে জুতা অবশ্যই পবিত্র হতে হবে।তাতে নাপাকি থাকতে পারবে না।
(৫) হজ্জ্ব পালনকারীদের মসজিদুল হারাম এবং হোটেল থেকে খাওয়ার জন্য জমজমের পানি দেয়া হয় সেই পানি জমিয়ে রেখে দিয়ে রুমে বা দেশে নিয়ে আসা যাবে কি তা সেটা সেখানকার কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করাই নিরাপদ। সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে যেহেতু পানির মালিক বানিয়ে দেয়া হয়, তাই নিয়ে আসা যাবে।
(৬) হজ্জ্বযাত্রীদের বাংলাদেশ ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক যে 'হজ্জ্ব, উমরাহ, যিয়াত' বই দেয়া হয়, সেই বই পড়ার সুযোগ হয়নি। তবে আশা রাখা যায় বিশুদ্ধই হবে।নতুবা এ সম্পর্কে সমালোচনা শুনা যেত।
(৭)"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" এর অর্থ করা হয় "আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো মাবুদ নেই" এখানে সত্য শব্দটি মূলত সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে নেয়া হয়ে থাকে। তবে সত্য না নিলেও কোনো সমস্যা হবে না।
(৮) নিসাব পরিমাণ অর্থের যাকাত দেয়ার পরও ব্যবহৃত সাত ভরির কম স্বর্ণের যাকাত দিতে হবে। অন্যান্য মালের সাথে স্বর্ণকেও সংযোজন করতে হবে।
(৯) দুপুরের ঘুমানোর আগে বা অন্য কোনো সময় শয়নকালে খাদেম নিযুক্ত করা থেকেও অধিক কল্যাণকর যিকর করে নিতে পারলে সেটা উত্তম হবে।