ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی
আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)
قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557)
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।
★বাহরুর রায়েক গ্রন্থে আছেঃ-
وَتَمَامُهُ فِي الْفَصْلِ السَّابِعَ عَشَرَ فِي النِّكَاحِ بِالْكِتَابَةِ مِنْ الْخُلَاصَةِ، وَقَيَّدَ بِالْإِيجَابِ وَالْقَبُولِ؛ لِأَنَّهُ لَا يَنْعَقِدُ بِالْإِقْرَارِ فَلَوْ قَالَ بِحَضْرَةِ الشُّهُودِ: هِيَ امْرَأَتِي، وَأَنَا زَوْجُهَا، وَقَالَتْ: هُوَ زَوْجِي، وَأَنَا امْرَأَتُهُ لَمْ يَنْعَقِدْ النِّكَاحُ؛ لِأَنَّ الْإِقْرَارَ إظْهَارٌ لِمَا هُوَ ثَابِتٌ، وَلَيْسَ بِإِنْشَاءٍ
সারমর্মঃ
ইজাব কবুলের সাথে বিবাহকে মুকায়্যাদ করা হয়েছে।কেননা ইজাব কবুল ব্যাতিত বিবাহ শুদ্ধ হয়না।
সুতরাং কেহ যদি সাক্ষীদের সামনে বলে যে সে আমার স্ত্রী আর আমি তার স্বামী,আর মহিলাটিও বলে যে সে আমার স্বামী আর আমি তার স্ত্রী,তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।
কেননা স্বীকারোক্তি বলা হয় যাহা আগে থেকে প্রমানিত, সেটি প্রকাশ করা,নতুন ভাবে কোনো কিছু হওয়া নয়।
(বাহরুর রায়েক-৩/৯০)
হেদায়া গ্রন্থে আছেঃ
النكاح ينعقد بالإيجاب والقبول بلفظين يعبر بهما عن الماضي لأن الصيغة وإن كانت للإخبار وضعا فقد جعلت للإنشاء شرعا دفعا للحاجة وينعقد بلفظين يعبر بأحدهما عن الماضي وبالآخر عن المستقبل مثل أن يقول زوجني فيقول زوجتك لأن هذا توكيل بالنكاح والواحد يتولى طرفي النكاح الھدایۃ، ج:1، ص:185، ط:دار احياء التراث العربي - بيروت - لبنان
সারমর্মঃ
বিবাহ ইজাব কবুল দ্বারা সম্পন্ন হয়,দুটির একটি অতিতকাকাল সূচক বাক্য হবে,আরেকটি বর্তমান কাল বুঝায় এমন বাক্য হতে হবে।
হেদায়া গ্রন্থে আছেঃ
وینعقد بلفظ النکاح والتزویج والہبة والتملیک والصدقة )
সারমর্মঃ
বিবাহ,তাযয়িজ,হিবা,তামলিক,সদকাহ এই জাতীয় বাক্য গুলি দ্বারা বিবাহ সম্পন্ন হয়।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এটা ইজাব কবুল হওয়ার মতো বাক্য নয়
(০২)
হ্যাঁ, বিবাহ বৈধ হবে।
(০৩)
সাক্ষ্যিরা শুনেছে কিনা,তাদের থেকে জেনে নিতে হবে।
তারা উভয়ে যদি বলে যে তারা শোনেনি,(আর এক্ষেত্রে অন্য কোনো সাক্ষীও যদি না থাকে) সেক্ষেত্রে সেই বিবাহ হয়নি।
তাই তালাকও নিতে হবেনা।
(০৪)
আগেরটা বিয়ে হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে তালাক নেয়ার পর তিন হায়েজ অতিবাহিত হওয়ার পর পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
(০৫)
তাহলে এর জন্য তার বিবাহিত জীবনে কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৬)
মাসয়ালা নেয়ার জন্য এভাবে লেখাতে সমস্যা হবেনা।
মেয়ে তালাকের অধিকার প্রাপ্ত না হলে এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।
মেয়ে তালাকের অধিকার প্রাপ্ত কিনা,জানার জন্য স্বামীকে প্রশ্ন করতে হবে।
(০৭)
এতে বিয়ে হয়ে যাবেনা।
(০৮)
সমস্যা হবেনা।
তবে নিজের উপর তালাক নেয়ার মতী বাক্য ব্যবহার করলে অন্যের দিকে ইঙ্গিত করে প্রশ্ন করতে হবে অথবা "মনে করুন/ধরুন" এই ধরনের বাক্য প্রশ্নে ব্যবহার করতে হবে।
(০৯)
উপরে উল্লেখিত লিংক দ্রষ্টব্য।
(১০)
এটি স্ত্রীর হক।
স্ত্রী তাহা না নিয়ে মাফ করে দিলে সেটি তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।
এতে কোনো সমস্যা নেই।