আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (48 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর
১।ধরেন অধিকার প্রাপ্ত বউ যদি বলে যাব গা থাকব না( একবারে যাব গা), সংসার করব না মানে আর সংসার করব না,এবার আর আসব না।সম্পর্ক শেষ মানে আর সম্পর্ক নাই।সব এক দিন বলে নাই একেক দিন একেক টা বলছে। বউ জানে না সে অধিকার প্রাপ্ত। আর হাসবেন্ড এর কোন  কথায় অধিকার পাইছে তা হাসবেন্ড  বউ কেও জানে না।এসব মাসালা জানত না।পরে জানছে।তখন হাসবেন্ড বলছে জাগা।সে তালাকের নিয়তে বলে নাই তাই কিছু হবে না।আর বউ অগুলা যে বলছে নিজের উপর তা...ক এর নিয়তে বলে নাই।তা..ক এরকথা মাথাই ই আসে নাই।আর বউ ত সত্যি যাই নাই।একদিন রেডি হইছিল জাওয়ার জন্য কিন্তু যাই নাই।ওলি উল্লাহ হুজুর বলেছিলেন বউ যাই বলুক নিজের উপর তা..ক এর নিয়তে না বললে কিছু হবে না।আবার ও ওয়াস ওয়াসা আসতেছে আপনি আবার যদি একটু বইলা দিতেন হুজুর।কোন সমস্যা হবে কিনা???


২।মেয়ের হায়েয হইছে বুধবার। মেয়ের পক্ষ থেকে ছেলের কাছে তা..ক চাইছে সোমবার। ছেলে সোমবার ই তা..ক দিছে।এখন সমস্যা হল মেয়ের হায়েয ৩,৪ থাকে তারপর হইত ১ দিন স্রাব হলুদ হই।এখন মেয়ের সন্দেহ হচ্ছে যে হায়েয কি শেষ হইছিল নাকি ছিল।সাদা স্রাব ত খেয়াল করে দেখে নাই।এখন তাইলে কি তালাক হবে নাকি আবার নিতে হবে অই ছেলের কাছ থেকে।ছেলে এখন রাজি নাও হইতে পারে।

1 Answer

0 votes
by (680,400 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে তালাক হবেনা। 
কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০২)
হায়েজ অবস্থায় তালাক দেয়া নিষেধ,তবে তালাক দিলে তালাক হয়ে যায়।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ قَالَ طَلَّقَ ابْنُ عُمَرَ امْرَأَتَه“ وَهِيَ حَائِضٌ فَذَكَرَ عُمَرُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِيُرَاجِعْهَا قُلْتُ تُحْتَسَبُ قَالَ فَمَهْ وَعَنْ قَتَادَةَ عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ مُرْه“ فَلْيُرَاجِعْهَا قُلْتُ تُحْتَسَبُ قَالَ أَرَأَيْتَ إِنْ عَجَزَ وَاسْتَحْمَقَ 

ইবন ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি তাঁর স্ত্রীকে হায়িয অবস্থায় তালাক দিলেন। ‘উমার (রাঃ) বিষয়টি নাবী এর কাছে ব্যক্ত করলেন। তখন তিনি বললেনঃ সে যেন তাকে ফিরিয়ে আনে। রাবী ইব্ন সীরীন) বলেন, আমি বললাম ,তালাকটি কি গণ্য করা হবে? তিনি ইবনে ‘উমার) বললেন, তাহলে কী? [৪৯০৮]

ক্বাতাদাহ (রহ.) ইউনুস ইবন যুবায়র (রহ.) থেকে, তিনি ইবন ‘উমার থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তাকে হুকুম দাও সে যেন তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনে। আমি (ইউনুস) বললামঃ তালাকটি কি পরিগণিত হবে? তিনি (ইবন ‘উমার) বললেনঃ তুমি কি মনে কর যদি সে অক্ষম হয় এবং আহম্মকী করে? (বুখারী ৫২৫২.আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৬৩)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সর্বাবস্থায় তালাক হয়ে যাবে।
পুনরায় তালাক নিতে হবেনা।

ঐ সময় মেয়ে হায়েজ অবস্থায় থাকলেও তালাক হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...