আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
149 views
in পবিত্রতা (Purity) by (16 points)
edited by
হুজুর, আসসালামুয়ালাইকুম।

আমার  প্রশ্ন ছিল:

১/ আমার প্রস্রাবের সমস্যা হওয়ায়ই আমি সাধারনত প্রস্রাব করে প্রথমে টিস্যু দিয়ে মুছে ২০-২৫ মিনিট পর ধৌত করি। আমার কথা হলো আমি হাতে লজ্জাস্থান না ডলে শুধু বেশি করে  পানি ঢেলে দি। এইভাবে কি আমি পবিত্র হচ্চি আর নামাজ পড়ছি সেটা কি হয়েছে? নাকি হাত দিয়ে ডলাডলি করতে হবে।

২/ আমি হালকা ঘাম নিয়ে সম্বভত নাপাক বালিশের উপর শুয়ে যায়(আগেও নাপাক শরীর নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম, এখন বালিশে নাপাকি লেগেছিল কিনা নাকি আমার সে শরীর শুকনো নাকি ভেজা ছিল সেটা মনে পড়ছে না) । আর বালিশের মধ্যে ২ টা কাপড়ের কভার(কভারগুলো পবিত্র) ছিল। এখন আমার মনে হচ্ছে, ঘাম বালিশের ভিতরে যায় নি। কিন্তু  আমার ওয়াসওয়াসার কারনে মানতে পারছি না। যখন ঘুৃম থেকে উঠি দেখলাম বালিশটা ভেজা ভেজা অনুভব হচ্ছে কিন্তু এত বেশি না যে চিপালে কিছু বের হবে আর হাতে দিলে ভেজা অনুভব হলেও ভিজে না। আমি এটা জানি যে,  ভেজা শরীর নাপাক শুকনা কাপড়ে লাগলে নাপাক হয় না যতক্ষণ এটা এতটা না  ভিজে যাতে চিপালে পানি বের হবে। আমার শরীর কি পাক আছে?

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
   

(০১)
হাদীস শরিফে এসেছে,

عَنْ عِيسَى بْنِ يَزْدَادَ الْيَمَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلْيَنْتُرْ ذَكَرَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ

ঈসা ইবন ইয়াযদাদ আলইয়ামানী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল ﷺ ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কেউ পেশাব করে, তখন সে যেন তার লজ্জাস্থানকে তিনবার ঝেড়ে নেয় বা পবিত্র করে নেয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩২৬)
 
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ الْحَكَمِ، أَوِ ابْنِ الْحَكَمِ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَالَ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَنَضَحَ فَرْجَهُ .

حكم : صحيح

নাসর ইবনুল মুহাজির ..... হাকাম বা ইবনু হাকাম তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পেশাবান্তে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করেন এবং তাঁর লজ্জাস্থানে পানি ছিটান (অর্থাৎ লজ্জাস্থান হালকাভাবে ধৌত করার পর উযূ করেন)।
(আবু দাউদ ১৬৮)

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আর পেশাবের ফোটা বের না হয়,সেক্ষেত্রে আপনি পবিত্র হবেন।

এক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে, আপনি পেশাবের পর লিঙ্গ নিংড়িয়ে নিবেন।
কয়েকবার নিংড়ানোর পর টিস্যু পেপার ব্যবহার করে কিছুক্ষন হাটাহাটি করবেন।
এর পর ভালোভাবে পানি ঢেলে দিবেন।
এতে কাজ না হলে চিকিৎসা করাবেন।
,
আপাতত নামাজের আগ দিয়ে ইস্তেঞ্জা না করাই আপনার পবিত্রতার জন্য উচিত হবে।
নামাজের পর ইস্তেঞ্জা করবেন,নামাজের আগে কাপড়ে পেশাব লেগে যাওয়া স্থান ধুয়ে পাক করে নিবেন অথবা নামাজের জন্য আলাদা কাপড় ব্যবহার করবেন।     
সেই কাপড়টিকে শুধুমাত্র নামাজের সময়ে ব্যবহার করবেন।       

(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার শরীরে নাপাকির কোনো চিন্হ বা গন্ধ না পেলে সেটি পাক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...