শরীয়তে জায়নামাযের দুআ বলতে কোন কিছু নেই। আমাদের সমাজে জায়নামাযের দুআ হিসেবে যা পড়া হয় সেটা কোন দলিল নির্ভর বক্তব্য নয়। বরং এটা নিছকই বানোয়াট একটি মতবাদ। এটাকে রাসূল সাঃ এর শিখানো পদ্ধতি মনে করা সুষ্পষ্ট বিদআত হবে। কোন সন্দেহ নেই।
,
কেননা নামাজ শুরু করার পূর্বে বিশেষ কোন দুআ, তাসবীহ বা অন্য কিছু পাঠ করার ব্যাপারে কুরআন-সুন্নায় কোনো নির্দেশনা নেই। সাহাবিগণও কখনো এমন আমল করেন নি। এমন কি চার মাজহাবের সম্মানিত ইমামগণ তথা ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফেঈ, ইমাম মালিক ও ইমাম আহমদ বিন হাম্বল প্রমুখ মনিষীগণ কেউই তা পড়ার কথা বলেন নি।
,
নামাযের জন্য তাকবীরে তাহরীমা বলার পর সানা পড়া সুন্নত। ইন্নি ওয়াজ্জাহতু পড়া নয়। তবে যদি কেউ পড়ে, তাহলে তার নামায হয়ে যাবে, কোন সমস্যা নেই। {ফাতওয়া শামী, সালাত অধ্যায়}
,
যে সানা পড়া সুন্নাত সেটা কোনটি? রাসূল সাঃ এর হাদীসে তা স্পষ্ট ভাষায় বর্ণিত।
عَنْ أَبِى سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ كَبَّرَ ثُمَّ يَقُولُ « سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ যখন রাতে নামাযে দাড়াতেন, তখন তাকবীরে তাহরীমার পড়তেন- সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়াবি হামদিকা, ওয়াতাবারাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়ালা ইলাহা গায়রুকা।
,
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৭৭৫,৭৭৬,
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৮০৪,
সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২১৭৭,
সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২৪২,
সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৫
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১২৩৯
সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-১০৬৮৫
তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-১০৭৩
সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৪৭০
কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-৮৩৮৭
মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৩৭৩৫
মুসনাদে ইসহাক বিন রাহউয়া, হাদীস নং-১০০০
মুসনাদে ইবনুল জি’দ, হাদীস নং-১৮৩
মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-৫৬৯
মুসনাদে আহমাদ বিন হাম্বল, হাদীস নং-১১৬৭৫
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৪০৫
মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-২৫৫৫
মুজামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-১৫১৮
শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬০৩
আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-১৫৫
আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-১০২৬
কেননা যে কোনো জিনিষের মান্নত ওয়াজিব হবে না অর্থাৎ মান্নত করলেই যে শুধু ওয়াজিব হয়ে যাবে বিষয়টা এমন নয়। বরং কুরবতে মাকসুদাহ তথা ইবাদত হিসেবে গণ্য এমন কোনো জিনিষের মত কিছু দ্বারা মান্নত করতে হবে, তবেই তা ঐ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব হিসেবে গণ্য হবে।