আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
156 views
in সালাত(Prayer) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,,
১/ নামাজ শিক্ষা বইয়ে জায়নামাজ এর একটি দোয়া আছে এটি ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু..... এই দোয়াটা আগে পড়তাম কিন্তু এখন অনেকেই বলে এটা পড়া ঠিক না এই বিষয়ে জানতে চাই।।
২/  আমরা নামাজ শুরুর আগে মুখে নিয়ত করি কেউ বাংলায় করে কেউ আরবিতে কিন্তু মুসলিম ডে এপপ এ বলা হয়েছে মুখে নিয়ত উচ্চারণ করার প্রয়োজন নেই মনে মনে নিয়ত করলেই হবে..
৩/ আমি যখন ৫ম শ্রেনিতে পড়তাম তখন একটা নিয়ত করেছিলাম এরকম যে, আমি যেই বছরে PSC পরীক্ষা দিব ঐ বছরে যদি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকে আর আমি যদি পরীক্ষায় পাস করতে পারি তাহলে আমি ভোটার হওয়ার পর ১ম ভোট শেখ হাসিনা কে দিব,,,এখন আমার কি এই নিয়ত পূরন করতে হবে?  আর পূরন না করলে কি গুনাহ হবে?
এখন এইরকম নিয়ত করাটা কি আমার গুনাহ হবে? কারন আজকে আমি তাফসীর পড়ার সময় এই আয়াত টা দেখে আমার মনে হলো আমার গুনাহ হচ্ছে,,, আয়াত নিম্নে দেওয়া হলো:

Al-Baqarah ২:২৭০

وَمَاۤ اَنْفَقْتُمْ مِّنْ نَّفَقَةٍ اَوْ نَذَرْتُمْ مِّنْ نَّذْرٍ فَاِنَّ اللّٰهَ يَعْلَمُهٗ ؕ وَمَا لِلظّٰلِمِيْنَ مِنْ اَنْصَارٍ
Bengali - Bayaan Foundation

তোমরা যা কিছু ব্যয় কর অথবা যে কোন মান্নত কর তা অবশ্যই আল্লাহ জানেন। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।

Bengali - Tafsir Ahsanul Bayaan

যা তোমরা দান কর অথবা যা কিছু তোমরা নযর-মানত কর,[১] আল্লাহ তা অবশ্যই জানেন এবং অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই।

[১] نَذر 'নযর' তথা মানত করা বলতে এই নিয়ত করা যে, আমার অমুক কাজটা যদি হয়ে যায় অথবা অমুক বিপদ থেকে যদি আমি মুক্তি পাই, তাহলে আল্লাহর রাস্তায় এতটা পরিমাণ আমি সাদাকা করব। এই মানত পূরণ করা জরুরী। তবে কোন অবাধ্যতা অথবা অবৈধ কাজের মানত করে থাকলে তা পূরণ করা বৈধ নয়। মানত করাও নামায-রোযার মত একটি ইবাদত। কাজেই আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে মানত করলে সেটা তারই ইবাদত বলে গণ্য হবে, আর তা হবে শিরক। যেমন বর্তমানে অনেক প্রসিদ্ধ কবরসমূহে গিয়ে মানত করে সেখানে ব্যাপকহারে নযরানা পেশ করা হয়। মহান আল্লাহ এই ধরনের শিরক থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন। আমীন!

কুরআন অ্যাপ পেতে : https://gtaf.org/apps/quran

#GreentechApps

আমি কি শিরক করে ফেলেছি?? আমার কি করা উচিত জানাবেন দয়া করে।।

1 Answer

0 votes
by (564,690 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
https://ifatwa.info/4616/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

শরীয়তে জায়নামাযের দুআ বলতে কোন কিছু নেই। আমাদের সমাজে জায়নামাযের দুআ হিসেবে যা পড়া হয় সেটা কোন দলিল নির্ভর বক্তব্য নয়। বরং এটা নিছকই বানোয়াট একটি মতবাদ। এটাকে রাসূল সাঃ এর শিখানো পদ্ধতি মনে করা সুষ্পষ্ট বিদআত হবে। কোন সন্দেহ নেই।
,
কেননা নামাজ শুরু করার পূর্বে বিশেষ কোন দুআ, তাসবীহ বা অন্য কিছু পাঠ করার ব্যাপারে কুরআন-সুন্নায় কোনো নির্দেশনা নেই। সাহাবিগণও কখনো এমন আমল করেন নি। এমন কি চার মাজহাবের সম্মানিত ইমামগণ তথা ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফেঈ, ইমাম মালিক ও ইমাম আহমদ বিন হাম্বল প্রমুখ মনিষীগণ কেউই তা পড়ার কথা বলেন নি।
,
নামাযের জন্য তাকবীরে তাহরীমা বলার পর সানা পড়া সুন্নত। ইন্নি ওয়াজ্জাহতু পড়া নয়। তবে যদি কেউ পড়ে, তাহলে তার নামায হয়ে যাবে, কোন সমস্যা নেই। {ফাতওয়া শামী, সালাত অধ্যায়}
,
যে সানা পড়া সুন্নাত সেটা কোনটি? রাসূল সাঃ এর হাদীসে তা স্পষ্ট ভাষায় বর্ণিত।
عَنْ أَبِى سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ كَبَّرَ ثُمَّ يَقُولُ « سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ যখন রাতে নামাযে দাড়াতেন, তখন তাকবীরে তাহরীমার পড়তেন- সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়াবি হামদিকা, ওয়াতাবারাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়ালা ইলাহা গায়রুকা।
,
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৭৭৫,৭৭৬,
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৮০৪,
সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২১৭৭,
সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২৪২,
সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৫
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১২৩৯
সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-১০৬৮৫
তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-১০৭৩
সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৪৭০
কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-৮৩৮৭
মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৩৭৩৫
মুসনাদে ইসহাক বিন রাহউয়া, হাদীস নং-১০০০
মুসনাদে ইবনুল জি’দ, হাদীস নং-১৮৩
মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-৫৬৯
মুসনাদে আহমাদ বিন হাম্বল, হাদীস নং-১১৬৭৫
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৪০৫
মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-২৫৫৫
মুজামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-১৫১৮
শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬০৩
আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-১৫৫
আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-১০২৬

(০২)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
উক্ত নিয়ত পূরন করা আবশ্যক নয়।

কেননা যে কোনো জিনিষের মান্নত ওয়াজিব হবে না অর্থাৎ মান্নত করলেই যে শুধু ওয়াজিব হয়ে যাবে বিষয়টা এমন নয়। বরং কুরবতে মাকসুদাহ তথা ইবাদত হিসেবে গণ্য এমন কোনো জিনিষের মত কিছু দ্বারা মান্নত করতে হবে, তবেই তা ঐ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব হিসেবে গণ্য হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...