হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ أَقَالَ مُسْلِمًا بَيْعَتَهُ, أَقَالَهُ اللَّهُ عَثْرَتَهُ». رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ, وَابْنُ مَاجَهْ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ, وَالْحَاكِمُ - صحيح. رواه أبو داود (3460)، وابن ماجه (2199)، وابن حبان (7/ 243)، والحاكم (2/ 45)
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের (বা অনুতপ্ত ব্যক্তির অনুরোধে) চুক্তি ভঙ্গের সুযোগ দিলো, আল্লাহ তার ত্রুটি-বিচ্যুতি মাফ করবেন।
(আবূ দাউদ ৩৪৬০, ইবনু মাজাহ ২১৯৯, আহমাদ ৭৩৮৩।)
ক্ৰয়-বিক্রয়ের মালামাল ফেরত প্ৰদানকারী ব্যক্তিকে সুযোগ দেয়া মুস্তাহাব।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ-
""বিক্রি করার সময় কাস্টমারকে এ কথা অবশ্যই বলে দেয়া হয় যে নারকেল বা ডিম নষ্ট হলে কোন প্রকার ক্ষতিপূরন বা পরিবর্তন দেয়া হবে না। কাস্টমার শর্তে রাজি হয়ে পণ্য কিনে নিয়ে যায়""
শরীয়তের বিধান হলো, বিক্রেতা প্রশ্নোক্ত কথাটি বলার পর ক্রেতা যদি তা মেনে নিয়ে পণ্য ক্রয় করে তাহলে পরবর্তীতে কোনো দোষের কারণে ঐ পণ্য ফেরত দেওয়ার অধিকার থাকবে না। (কিতাবুল আসল ২/৪৮৮; মাবসূত, সারাখসী ১৩/৯১; আলবাহরুর রায়েক ৬/৬৬; রদ্দুল মুহতার ৫/৪২)
উল্লেখ্য যে, বিক্রিত পণ্য ফেরত নেওয়া বড় ফযীলতপূর্ণ কাজ।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদিও ফেরত না নেয়া জায়েজ আছে,তবে ফেরত নিতে ফজিলত পাবেন।