জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
,
(০১)
সফরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবার পর যে শহরে বসবাস করছেন,বা যে গ্রামে বসবাস করছেন, সে শহর বা গ্রামের সিমানা অতিক্রম করার দ্বারাই আপনি মুসাফির বলে সাব্যস্ত হয়ে যাবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত মুসাফির বলেই গণ্য হবেন যতক্ষণ আবার স্বীয় শহর বা গ্রামের সীমানা প্রবেশ না করেন।
فى تنوير الابصار- (من خرج من عمارة موضع إقامته) قاصدا مسيرة ثلاثة أيام ولياليها بالسير الوسط مع الاستراحات المعتادة صلى الفرض الرباعي ركعتين حتى يدخل موضع مقامه (الدر المختار، كتاب الصلاة، باب صلاة المسافر-2/121، قاضى خان-1/164)
নিজ এলাকার সীমানা অতিক্রম করা মাত্রই ব্যাক্তি কসরের নামাজ পড়তে পারবে।
,
কসরের নামাজের রাকাত সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ
উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন,
«صَلَاةُ السَّفَرِ رَكْعَتَانِ وَصَلَاةُ الْجُمُعَة رَكْعَتَانِ وَصَلَاةُ الْأَضْحَى رَكْعَتَانِ وَصَلَاةُ الْفِطْرِ رَكْعَتَانِ تَمَامٌ غَيْرُ قَصْرٍ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّكُمْ»
“সফরের সালাত দু’ রাকা‘আত, ঈদুল আদহার সালাত দু’ রাকাআত, ঈদুল ফিতরের সালাত দু’ রাকাআত, এগুলো তোমাদের নবীর মুখ নিঃসৃ্ত পরিপূর্ণ সালাত, কসর সালাত নয়।”
অনুরূপভাবে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন,
«الصَّلَاةُ أَوَّلُ مَا فُرِضَتْ رَكْعَتَيْنِ فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ وَأُتِمَّتْ صَلَاةُ الْحَضَرِ»
“সালাত যখন প্রথম ফরয হয়েছিল তখন দু’ রাকা‘আতই ফরয হয়েছিল, অতঃপর সফরের সালাতকে স্থির রাখা হয়েছে আর অবস্থানের সালাতে পূর্ণতা আনা হয়েছে”।
,
খ,
নিজ গ্রামের সীমানা।
,
গ,
মুসাফির যদি জামাতে চার রাকাআত বিশিষ্ট সালাত আদায় করে তবে পুরোটাই আদায় করতে হবে।
,
ঘ,
চার রাকাআত বিশিষ্ট সালাতের জামাতে যদি মুসাফির দুই রাকাআত মিস করে ফেলে এবং বাকি দুই রাকাআত পায়, তবে সে ইমামের সাথে সালাম ফেরাবেনা, বরং বাকি দুই রাকাআত একা পড়ে নিবে।
,
ঙ,
মুসাফিরের জন্য যোহর আসর ও ইশার ফরয নামায দুই রাকাত পড়া (কসর) ওয়াজিব; চার রাকাত (পূর্ণ পড়া) নাজায়েয। কারণ মুসাফিরের নামাযের বিধান হল কসর।
তবে যদি ভুলে ৪ রাকাত পড়ে ফেলে তাহলে ২ রাকাত পড়ে যদি বৈঠক করে থাকে তাহলে প্রথম ২ রাকাত ফরয হবে, আর বাকি ২ রাকাত নফল হিসেবে ধর্তব্য হবে। কিন্তু সালাম ফিরাতে দেরী হওয়ায় সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। যদি নামাযের শেষে সেজদায়ে সাহু দেয়, তাহলে নামায হয়ে যাবে। আর যদি সেজদায়ে সাহু না দেয়, তাহলে নামায পুনরায় পড়তে হবে।
যদি ২ রাকাতের পর বৈঠক না করে থাকে, তাহলে নামায হয় নি, নামাযটি পূণরায় পড়তে হবে।
আয়েশা রাযি. বলেন,
فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ
মুকিম ও মুসাফির অবস্থায় নামায দু’দু রাক’আত ফরজ করা হয়েছিল। পরে সফরের নামায ঠিক রাখা হল কিন্তু মুকিমের নামাযে বৃদ্ধি করা হল। (বুখারী ১০৪০ মুসলিম ৬৮৫)
,
চ,
নিরাপদের সাথে থাকলে সময় সুযোগ থাকলে নফল নামাজ পড়ে নিতে পারেন।
কোনো সমস্যা নেই ।
আরো জানুনঃ
,
ছ,
মুসাফির মুকিমের ইমাম হতে পারে।
যদি ইমাম মুসাফির থাকেন,এবং মুক্তাদিরা মুকিম থাকেন,তাহলে ইমাম সাহেব কসর করে সালাম ফিরিয়ে নেবেন।এবং মুকিম মুক্তাদিরা চার রা'কাত একা একা সমাপ্ত করবেন।তথা অবশিষ্ট দুই রা'কাতকে মুক্তাদিরা একা একা পড়ে নিবেন।