আসসালমুআলাইকুম শায়েখ,
১. হুজুর আমার আব্বু মা এর মধ্যে কথা কাটা কাটি হচ্ছিলো, সেই নিয়ে আব্বুর একটু রাগ ছিল, আমি আব্বা কে বলছি , আব্বা ভাত খেয়ে নিন। আব্বা বলছে ওর হাতের রান্না খাবো না। মানে মা এর হাতের রান্না খাবে না। দিয়ে বলছে ওর হাতের রান্না খাওয়া হারাম। তাই বললো রাগ হলে মাঝে মধ্যে বলে । দিয়ে আমি জিজ্ঞাসা করেছি কথাটা কি হিসেবে বললেন, আব্বা বলেছে , আমি এমনি রেগে বলেছি কোনো রকমের ছেড়ে দেওয়ার নিয়ত ছিল না । এমনি নরমালি বলেছে। কোনো উদ্দেশ্য ই ছিল না। আবার কিছু ক্ষন পর মায়ের হাতের রান্না খাই আব্বা। হুজুর এক্ষেত্রে কি তালাক হবে? বাবা মা এর বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো?
১.১ আমাদের একটা দোকান আছে , আব্বা মার সঙ্গে ঝামেলা হলেই আব্বা বলে দোকান এ একটা জায়গা করে থেকে যাবো , তুরা সবাই বাড়িতে থাক। আব্বা মাঝেই মাঝে বলে , দিয়ে আব্বা কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কি জন্য এই সব বলে আব্বা বলেছে এমনি রাগের মাথায় বলে। অন্য কোনো কারণ নেই। অবশ্য আব্বা দিয়ে বাড়ি তেই থাকে
২. আমার আর আমার স্ত্রীর র মধ্যে চরম রাগা রাগী হয়ে যায়, দিয়ে আমি রেগে বলেছি, বেশি ঝামেলা করো না , আমার খুব রাগ হয়ে যাচ্ছে, এমন কথা বেরিয়ে যাবে তখন খুবই খারাপ হয়ে যাবে । আমি তালাক কথা উচ্চরণ করিনি এমনি রাগে বিষয় টা বোঝাতে চেয়েছি। স্ত্রী বুঝতে পেরে চুপ হয়ে যায়। হুজুর আমার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না, আমি আমার রাগ টা বোঝানোর জন্য বলেছি । কিন্তু আমি তালাক কথা টা মুখে উচ্চরণ করিনি। এক্ষেত্রে কি তালাক হবে?
৩. বিয়ের আগে স্ত্রীর সঙ্গে একবার ঝামেলা হচ্ছিলো দিয়ে বলেছিলাম বিয়ের পর আমি শশুর বাড়িতে যাবনা, শশুর বাড়ী হারাম , আর তুমিও আমাকে ডাকবে না। ডাকলে তোমাকে তোমার বাপের বাড়ি রেখে আসবো, বা ডিভোর্স দিয়ে দিবো এই রকম কিছু একটা বলেছি ।
হুজুর এখন বিয়ের পর আমরা খুব ভালো আছি আমি শশুর বাড়িতে জাই সে আমাকে ডাকে। খুবই ভালো আছি। আলহামদুিল্লাহ। আগে এই সব ভুল ভাল কথা বলেছি এর জন্য কি কোনো তালাক হবে?
৪. হুজুর বিয়ের পর যদি কেউ এমনি রাগ করে, ছেড়ে দেওয়ার কোনো নিয়ত ছিল না , এমনি যদি কেউ বলে শশুর বাড়ী হারাম তাহলে কি তালাক হবে? আমি এখন শশুর বাড়ী জাই খুবই ভালো আছি । রাগে এমনি বলেছি হুজুর। এর জন্য কোনো তালাক হবে না তো?
৫.আমি ifatwa তে প্রশ্ন করি , দিয়ে স্ত্রী খুব রেগে গিয়েছে, দিয়ে বলছে আল্লাহ কসম করে বলো তুমি ৫ দিন প্রশ্ন করবে না। আমি স্ত্রী কে কসম করে বললাম প্রশ্ন করবো না। দিয়ে হুজুর মনে মনে এমন হলো আমি যদি কসম ভেঙে প্রশ্ন করি তাহলে তালাক, এই টা মনে মনে হয়েছিল , মুখে উচ্চরণ করিনি। এই কথা ভাবতে ভাবতে ঠোঁট এ ঠোঁট ঠেকেছিল, কোনো উচ্চরণ করিনি। হুজুর আমি দরকারে প্রশ্ন করলাম তাহলে কি তালাক হবে?
৬. এই খানে প্রশ্ন লেখার সময় তালাক কথা টা যখন লিখি তখন শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে মনে হয় স্ত্রী কে লিখছি বা বলছি। আমি মন থেকে কখনোই চাইনা । ওয়াসওয়াসা র জন্য মনে হয় এর জন্য কি তালাক হবে?
৭. আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়ি আছে , স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছিলো , তাই স্ত্রী রাগ করে বললো , সে আমার সাতে ১ মাস দেখা করবে না এমনি রাগ করে বললো, আমি ও রাগ করে বলেছি ঠিক আছে , এক্ষেত্রে কোনো খারাপ নিয়ত ছিল না কারো। হুজুর তার পর দিনই দেখা করেছি। সহবাস করেছি । এই রকম রাগের জন্য কি কোনো সমস্যা হবে? বা তালাক হবে?
৮. হুজুর স্ত্রী বলছে তুমি এত ifatwa প্রশ্ন করছ সারাদিন কি সব ভাব । আমরা বাস্তব দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি, সারা দিন প্রশ্ন করি দিয়ে উল্টোপাল্টা ভাবছো, স্ত্রী বলছে ওয়াসওয়াসা দুর করো। এইসব বলে আমাকে বোঝাচ্ছিলেন। তাহলে এক্ষেত্রে তালাক হবে?
৯. হুজুর কেউ যদি কোনো সর্ত তালাক দিয়ে থাকে , দিয়ে তার স্ত্রী বা সে সেই কাজ করলো । কিন্তু যে সর্ত তালাক দিয়েছে তার কিছুই মনে নেই, মনে করতে গেলে সন্দেহ তে চলে যাচ্ছে। সঠিক ভাবে কিছুই মনে পড়ছে না তাহলে কি সেক্ষেত্রে তালাক হবে? তার কিছুই মনে পড়ছে না। এক্ষেত্রে কি তালাক হবে?
১০. সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক বা শর্ত তালাক হয়? মানে কোনো শর্ত তালাক দিয়েছে কি না মনে পড়ছে না, বেশি ভাবতে গেলে সন্দেহ হয়ে যাচ্ছে, এক্ষেত্রে কি কোনো তালাক হবে? বা সর্ত তালাক হবে সন্দেহের ভিত্তিতে?