আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
148 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
edited by
১) আমার এক বন্ধু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষকে বেশ কিছু সাহায্য করেছে টাকা দিয়ে কিংবা জিনিস দিয়ে, কাউকে উপহার হিসাবে, কাউকে সওয়াব পাওয়ার আশায়, কাউকে মানবতার কারনে যে তাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ কিংবা অসুস্থ এজন্য কিন্তু বর্তমানে তাদের ব্যবহার আমার সেই বন্ধুর   মনে খুবই কষ্ট  দিয়েছে।  এরা কেউ বলতেছে যে সে  এত গরজ করে কেন তাদের চিকিৎসা করাতে গেছে, নিশ্চয়  কোন উদ্দেশ্য আছে।  কিংবা এদের কারও সামনেে  আমার সেই বন্ধুর  নামে কোন  বিষয়ে গীবত করা হচ্ছে  আর তারাও আমার বন্ধুর  নামে সমানে  বিভন্ন বাজে কথা বলতেছে। আবার কেউ  বিপদের সময় ঠিকই আমার বন্ধু নিজে থেকে তাদের  টাকা দিয়ে সাহায্য করছে কিন্তু  আমার বন্ধুর বিপদে উপকার তো দূরের কথা সে  যে তাদের কোন উপকার করছে এটাও যেন ভুলে গেছে। এখন এদের কাছেে আমার বন্ধু কি তার দেওয়া টাকা ও উপহার ফেরত পাওয়ার জন্য দাবি জানাতে পারে?

উল্লেখ্য: আমার এই বন্ধু একটু বেশিই সায়ধে সাহায্য করে, তার নিজের  আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল না ইনকামের উৎস শুধু টিউশন তাও খুবই কম আয়। নিজের শখ বাধ দিয়ে  মানুষরে হেল্প করতে গেছিল। সারা বছর ধরে জমায়ে দেখা যায় ৪ বা ৫ হাজার টাকা হয় দুই দিনে মানুষের পিছনে খরচ করে ফেলে।
আমার আর একটা প্রশ্ন ছিল
২) কাউকে ধার দেওয়া টাকা যদি সে অনেক পরে দেয় তবে তো টাকার মান একি থাকে না।
যেমন দুই বছর আগের ১লক্ষ টাকা আর  এখনের ১ লক্ষ টাকার মূল্যতো এক না।  এক্ষেত্রে  কোনভাবে কি টাকা বেশি নেওয়া যাবে?
আমি যদি বলি আমার কাছ থেকে টাকা নিছিলে ২০২২ সালে তখন সোনার ভরি ছিল ৭৫ হাজার টাকার মত এখন ২০২৩ সালে তা প্রায় লাখ টাকা। আমারে টাকা বেশি দিতে হবে তবে কি সুদ হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


(০১)
কাউকে  হাদিয়া বা গিফট দেওয়ার পর গিফটদাতা স্বাভাবিকভাবে সেই গিফট ফিরিয়ে নেওয়ার অধিকার রাখেন না। যারা গিফট দেওয়ার পর তা আবার ফিরিয়ে নেয়, হাদিস শরিফে রাসূল (সা.) তাদের ব্যাপারে কঠিন ভাষা ব্যবহার করেছেন। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْعَائِدُ فِيْ هِبَتِهِ كَالْكَلْبِ يَقِيءُ ثُمَّ يَعُوْدُ فِيْ قَيْئِهِ.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, দান করে তা ফেরত গ্রহণকারী ঐ কুকুরের মত, যে বমি করে এরপর তার বমি খায়। (বুখারী ২৫৮৯.২৬২১, ২৬২২, ৬৯৭৫, মুসলিম ২৪/২ হাঃ ১৬২২, আহমাদ ২৬৪৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪১৮,নাসায়ী ৩৬৯৯, তিরমিযী ১২৯৮, আহমাদ ১৮৭২, সহীহ আল জামি‘ ৫৪২৬।)

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَرْجِعُ أَحَدٌ فِي هِبَتِهِ إِلَّا الْوَالِدُ مِنْ وَلَده» . رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه

’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পিতা তার স্বীয় পুত্রের হিবা (দান করা) ব্যতীত কেউই নিজ হিবার জিনিস ফিরিয়ে নিতে পারে না।
(নাসায়ী ৩৬৮৯, ইবনু মাজাহ ২৩৭৮, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৮৬,মিশকাত ৩০২০।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনার বন্ধু তাদের যেই টাকা দিয়েছে,এটি তো ঋন হিসেবে দেয়নি,বরং হাদিয়া/সাহায্য হিসেবে দিয়েছে। 
সুতরাং তাদের কাছে আপনার বন্ধু তার দেওয়া টাকা ও উপহার ফেরত পাওয়ার জন্য দাবি জানাতে পারবেনা।

(০২)
হ্যাঁ, এটি সূদ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...