জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ وَرَّادٍ مَوْلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَيْكُمْ عُقُوقَ الأُمَّهَاتِ وَوَأْدَ الْبَنَاتِ وَمَنَعَ وَهَاتِ وَكَرِهَ لَكُمْ قِيلَ وَقَالَ وَكَثْرَةَ السُّؤَالِ وَإِضَاعَةَ الْمَالِ
মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের উপর হারাম করেছেন মায়ের নাফরমানী, কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়া, কারো প্রাপ্য না দেয়া এবং অন্যায়ভাবে কিছু নেয়া আর অপছন্দ করেছেন অনর্থক বাক্য ব্যয়, অতিরিক্ত প্রশ্ন করা, আর মাল বিনষ্ট করা। (বুখারী ২৪০৮.৮৪৪, মুসলিম ৫/৩০, হাঃ ৫৯৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৪৮)
(০১)
"হারাম" এটি শরীয়তের শক্ত হুকুম। আর নাজায়েজ তার মুকাবেলায় কম পর্যায়ের।
কোনো বস্তুর হারাম হওয়া এটি অকাট্য নস দ্বারা প্রমানিত হয়,আর নাজায়েক দলিলে যন্নি দ্বারা প্রমানিত হয়।
ইসলামের পরিভাষায় নাজায়েজ এবং হারাম উভয়টা অবৈধ ও নিষিদ্ধ বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়, আর ক্ষেত্রবিশেষে উভয়টার বিধান ভিন্ন হয়।
প্রত্যেক হারাম নাজায়েজ হয়; কিন্তু প্রত্যেক নাজায়েজ হারাম নয়।প্রত্যেক হারাম নাজায়েয হয়; কিন্তু প্রত্যেক নাজায়েয হারাম নয়।
যদিও নাজায়েয শব্দ দ্বারা অধিকাংশ সময় হারাম ও মাকরূহে তাহরীমি বোঝানো হয়, কিন্তু কখনো মাকরূহে তানযীহীর জন্যও নাজায়েয শব্দ ব্যবহার করা হয়। (রদ্দুল মুহতার : ১/১৩১-১৩২, ৬/৩৩৭)
الموسوعۃ الفقھیۃ الکویتیۃ: (207/10، ط: دار السلاسل)
التحريم في اللغة: خلاف التحليل وضده. والحرام: نقيض الحلال۔۔۔أما أصوليو الحنفية فيعرفونه: بأنه طلب الكف عن الفعل بدليل قطعي۔۔۔الكراهة، والكراهية: خطاب الشارع المقتضي الكف عن الفعل اقتضاء غير جازم۔۔۔والتحريم وكراهة التحريم يتشاركان في استحقاق العقاب بترك الكف، ويفترقان في أن التحريم: ما تيقن الكف عنه بدليل قطعي. والمكروه ما ترجح الكف عنه بدليل ظني
সারমর্মঃ-
হারাম যাহা হালালের বিপরীত। হানাফি উসুলবিদ গন বলেন,কোনো কাজ থেকে অকাট্য ভাবে প্রমানিত দলিল দ্বারা বিরত থাকাকে চাওয়া।
(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেক্ষেত্রে এগুলো শুনলে কুফর বা শিরক হবেনা।