ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।
২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়।
৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়।
,
হাদীস শরীফে এসেছে
خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.
আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭]
,
ومن رای انہ مات…………ان رای شیئا من ہیئۃ الاموات کالغسل والکفن فذالک زیادۃ فی نقص دینہ (تعطیر الانام ۲۹۱؍ج۲؍باب المیم،موت،مطبوعہ مصر)
যার সারমর্ম হলো কেহ স্বপ্নে দেখে যে সে মারা গিয়েছে,,বা মৃতদের হালত,কাফন গোসল ইত্যাদি দেখে,তাহলে সেটি নিজের দ্বীনের কমতি মনে করতে হবে।
,
ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ তে এসেছে যে স্বপ্নে মৃত মানুষ দেখা এটি কবরের কথা স্বরন করে দেওয়ার জন্য।
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ ২৯/১৬০)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত বোনের আমল বাড়িয়ে দিতে হবে,দ্বীনদার লোকদের সাথে উঠাবসা করতে হবে,পবিত্র হালতে থাকতে হবে,অহংকার থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত, যিকির আযকার,ফরজ সহ নফল নামাজ পড়তে হবে।
দান ছদকাহ করতে হবে।
,
স্বপ্নের কথা কাউকে বলা যাবেনা।
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি আপনার বাবার ঈসালে ছওয়াবের জন্য সদকাহ করবেন।
কুরআন তেলাওয়াত, যিকির আযকার,অন্যান্য নফল ইবাদত করে ছওয়াব পাঠাবেন।
তার কোনো ঋন থাকলে সেটি পরিশোধ করবেন।
(০২)
২০১৫ সালে যখন আপনার বিবাহ হয়,তখন কি আপনি বালেগাহ ছিলেন?
যদি বালেগাহ অবস্থাতেই সেই সময়ে আপনি বিবাহ করে থাকেন,সেক্ষেত্রে ঐ বিবাহ শুদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
আর যদি সেই সময়ে আপনি বালেগাহ না হয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে ঐ বিবাহ শুদ্ধ হয়নি।
পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
(০৩)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
শশুর বাড়ির যে সমস্ত সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন,এটির সমাধানের জন্য আপনার স্বামীকেই এগিয়ে আসতে হবে।
প্রয়োজনে তার সামর্থ থাকলে আলাদা বাসা নিয়ে থাকার আহবান জানাতে পারেন।
তবে প্রশ্নের বিবরন মতে তিনি যেহেতু তাদেরই পক্ষে, তাই এক্ষেত্রে উভয় পরিবারের মুরব্বিদের বৈঠকের ব্যবস্থা করতে হবে।
এর জন্য আপনার অভিভাবকদের সাথে বসে ভালোভাবে সব কিছু বুঝাবেন।
তারা এখনো আপনার বিবাহ মেনে না নিলে তারা যে কাজ করতে বলে,সাধ্যের মধ্যে সেটি করার চেষ্টা করবেন।
নামাজ ও অন্যান্য ইবাদতে মন বসাতে পরামর্শ থাকবে, মাস্তুরাত জামাতে যাওয়ার পরামর্শ থাকবে।
দাওয়াত তাবলিগের মেহনতের বোনেরা আপনাদের এলাকার কোথাও তা'লিম করলে সেখানে যেতে পারেন।
বাসায় নিয়মিত ফাজায়েলে আমাল,ফাজায়েলে সাদাকাত ইত্যাদি কিতাবের তা'লিমের ব্যবস্থা করবেন।
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম জাযা দান করুন,আমিন।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
দোয়া থাকবে,আল্লাহ তায়ালা যেনো আপনাকে ধৈর্য ধারন করার তওফিক দান করেন,ঈমান আমলের উপর অটল ও অবিচল থাকার তওফিক দান করেন,আমিন।