ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লামা জালাল উদ্দীন সুয়ূতী রহ আজাইবুল মাকলুকাত নামক গ্রন্থে এবং আল্লামা শিবলী দামেশকি হানাফি রহ আ'কামুল মারজান নামক গ্রন্থে জিন জাতী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।তারা ৩০০ বছর মতান্তরে ১২৫ বছর পর বালেগ হয়,তারা মৃত্যুর পূর্বে আবার যুবক হয়ে মারা যায়,এবং তাদের হায়াত হাজার -পনেরশত বছর পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।তাদের মধ্যে বিবাহ শাদিও হয়,বাচ্ছা জন্ম হয়।তবে মানুষের জন্য তাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া কখনো উচিৎ নয় এবং বৈধও হবে না।তাদের কে সাধারণত দেখা যাবেনা,কেননা তারা আগুনের তৈরী, তবে পৃথিবীতে অবস্থিত বিভিন্ন প্রাণীর সূরতে তাদেরকে মাঝেমধ্যে দেখা যায়,তাদের খাদ্য হচ্ছে হাড্ডি, গোবর,ইত্যাদি।তাদের মধ্যে আমাদের মত বিভিন্ন ধর্ম রয়েছে,কেউ মুসলিম কেউবা হিন্দু আবার কেউ ইহুদী বা খৃষ্টান।তাদের দৈনন্দিন জীবন প্রায় আমাদের মতই।জীন জাতির অস্থিত্ব ও জীবনাতিপাথ সম্পর্কে বিভিন্ন হাদীসে আলোচনা এসেছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)মানুষ সাধারণত জীনকে দেখতে পায় না। কিন্তু মানুষ আক্রমণের শিকার হতে পারে। কখনো কারো সামনে ভীবৎস সূরতে আসতে পারে।বিভিন্ন প্রাণী বা এমন কোনো সূরতে আসতে পারে, যার কোনো সাদৃশ্য এই পৃথিবীতে নাই। তাছাড়া জীনরা মানুষের হুবহু রুপ ধারণ করতে পারে বা কন্ঠসর নকলও করে ডাকতে পারে।
(২) জীনরা যেহেতু আগুনের তৈরী তাই তারা আগুনকে ভয় পায়, তাই দিয়াশলাই জালালে বা সিগারেট ধরালে জীন আক্রমণ করতে পারেনা।
(৩) জীন মৃতদেহে প্রবেশ করে মানুষকে ভয় দেখাতে পারে না। যেমন- মর্গে এবং কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার রূপ ধারণ করে ভয় দেখাতে পারে না।
(৪) ২-৩ জন একসাথে আছে কিন্তু একজন-ই জীনের।অস্থিত্বকে অনুধাবন করতেছে,বাকীরা অনুধাবন করতে সক্ষম নয়,এমনটাও হতে পারে।