আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (81 points)
edited by
১।আসসালামু আলাইকুম। কোন স্বামী যদি বলে " তুমি চাও যে আমি তুমাকে ডিভোর্স দি সেটা। তুমি প্লেন ওটাই করতে চাচ্ছ যে আমি কস্টে পড়ি আর তুমার মা বাবা এসে তুমাকে ছারায় নিয়ে যাক সেটা চাচ্ছ যে তুমি"।স্ত্রী বলে নাহ!! আল্লাহর কসম নয়।আর কিছু বলবনা।স্বামী বলে"তুমার বাপকে করব যে লাঞ্চিত "।স্ত্রী বলে আপনি যা বলেন তা করব যে আমি।স্বামী বলে বলিও না আর।এখানে স্বামী ডিভোর্স ও দেই নি।কেনায়া শব্দ ও বলে নি।তাহলে কি তালাক হবে?

২।উপরের এসব কথা বলার আগে স্ত্রীকে এমনিতে রেগে গিয়ে গালিগালাজ করলে।স্ত্রীর মাকে ধরে স্ত্রীকে গালিগালাজ করলে। যেমন; তুর মাকে চু......।এসব গালিগালাজ করলে কিন্তু কোন কেনায়া শব্দ না বললে কি বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে? মেয়েটার স্বামী রেগে গিয়ে এসব গালি দিয়েছে।

৩।কথা এগুলোর পর স্বামী কাজে চলে যায়।১ থেকে 2 ঘন্টা পর এসে আবার গালি গালাজ করতে শুরু করে।স্ত্রী অনেক মাপ চায় তবু গালি গালাজ করতে থাকে।তারপর বলে বাপ ডাকিস আমাকে  জামাই বলিস না /ডাকিস না আজকে থেকে।যোগাযোগ অফ করে চুখে যেদিখে দেখি চলে যাব।প্রচুর রেগে ছিল স্বামী।আর কথা গুলো মেসেজে হচ্ছিল। এতে কি কোন সমস্যা হবে?তারপর ৫ ৬ মিনিট কথা হয় নি।এরপর একটা মোটিবেশনাল কথা দেয়া ভিড়িও দেয় যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে কথা ছিল মোটিভেশনাল। ডিভোর্সের বিষয়েও ছিল আরো অন্য বিষয়েও ছিল।স্বামী বলে এসব কথা মনে ভাল করে ডুকাও খুব দামী কথা।তখন আবার ভাল করে কথা বলে এরপর থেকে সব ভাল হয়ে যায়।একদম ভাল হয়ে যায়।স্ত্রীকে ভালবাসে ডাকতেছে এমন হয়ে যায়।ওরা একসাথে থাকতে চায়।স্বামীও খুব ভালবাসে স্ত্রীকে। বেশি রেগে গিয়েছিল  তাই এসব বলেছিল।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কোন স্বামী যদি বলে " তুমি চাও যে আমি তুমাকে ডিভোর্স দি সেটা। তুমি প্লেন ওটাই করতে চাচ্ছ যে আমি কস্টে পড়ি আর তুমার মা বাবা এসে তুমাকে ছারায় নিয়ে যাক সেটা চাচ্ছ যে তুমি"।স্ত্রী বলে নাহ!! আল্লাহর কসম নয়।আর কিছু বলবনা।স্বামী বলে"তুমার বাপকে করব যে লাঞ্চিত "।স্ত্রী বলে আপনি যা বলেন তা করব যে আমি।স্বামী বলে বলিও না আর।এখানে স্বামী ডিভোর্স ও দেই নি।কেনায়া শব্দ ও বলে নি।

প্রশ্নের বিবরণমতে তালাকের কোনো প্রশ্নই আসতে পারে না।

(২) উপরের এসব কথা বলার আগে স্ত্রীকে এমনিতে রেগে গিয়ে গালিগালাজ করলে।স্ত্রীর মাকে ধরে স্ত্রীকে গালিগালাজ করলে। যেমন; তুর মাকে চু......।এসব গালিগালাজ করলে কিন্তু কোন কেনায়া শব্দ না বললে বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে না। 

(৩) কথা এগুলোর পর স্বামী কাজে চলে যায়।১ থেকে 2 ঘন্টা পর এসে আবার গালি গালাজ করতে শুরু করে।স্ত্রী অনেক মাপ চায় তবু গালি গালাজ করতে থাকে।তারপর বলে বাপ ডাকিস আমাকে  জামাই বলিস না /ডাকিস না আজকে থেকে।যোগাযোগ অফ করে চুখে যেদিখে দেখি চলে যাব।প্রচুর রেগে ছিল স্বামী।আর কথা গুলো মেসেজে হচ্ছিল। 

এতেও কোনো সমস্যা হবে না


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...