আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
186 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
যদি কারো পিরিয়ড অনিয়মিত হয় যেমন ( ১/২ মাস পর পর হয়), ঠিকমতো না হয় তাহলে তার ইদ্দত কেমন হবে? তিন হায়েজ নাকি তিন মাস। উল্লেখ্য যে এখানে স্ত্রী তার সামীকে তালাক দিয়েছিলো আর কাবিননামায় তালাকের ক্ষমতা দেওয়া ছিলো স্ত্রীকে। এখন সামীকে তালাক নোটিশ পাঠানোর পর কয়দিন পর নতুন বিবাহ করতে পারবে আর এক্ষেত্রে যদি অনিয়মিত হায়েজ হয় তাহলে ইদ্দত কিভাবে পালন করবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মহিলার বয়স যদি ৫৫ বৎসরের কম হয়, এবং একাধারে ৬ মাস বন্ধ না হয়, তাহলে মহিলাকে হায়েয দ্বারাই ইদ্দত গণনা করতে হবে।তাই উক্ত ততালাকপ্রাপ্তা মহিলা ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে ঔষধ গ্রহণের দ্বারা তিন হায়েয হওয়ার পরই ইদ্দত শেষ করবে। অথবা এক বৎসর পর ইদ্দত শেষ হবে।এখানে মাস দ্বারা ইদ্দত হবে না।

"و عندنا ما لم تبلغ حد الإياس لا تعتد بالأشهر وحده خمس وخمسون سنة هو المختار لكنه يشترط للحكم بالإياس في هذه المدة أن ينقطع الدم عنهامدة طويلة وهي ستة أشهر في الأصح ثم هل يشترط أن يكون انقطاع ستة أشهر بعد مدة الإياس، الأصح أنه ليس بشرط حتى لو كان منقطعا قبل مدة الإياس ثم تمت مدة الإياس وطلقها زوجها يحكم بإياسها وتعتد بثلاثة أشهر هذا هو المنصوص في الشفاء في الحيض وهذه دقيقة تحفظ اه."
(كتاب الطلاق، باب العدة، ج:3، ص:516، ط:سعيد)


"التي حاضت ثم امتد طهرها لا تعتد بالأشهر إلا إذا بلغت سن الإياس. وعن مالك انقضاؤها بحول وقيل بتسعة أشهر ستة لاستبراء الرحم (وثلاثة أشهر) للعدة ولو قضى به قاض نفذ.قال الزاهدي: وقد كان بعض أصحابنا يفتون به للضرورة خصوصًا الإمام والدي/ وفي (البزازية) والفتوى في زماننا على قول مالك في عدة الآيسة."
(کتاب الطلاق، باب العدۃ، ج:2، ص:476، ط:دار الکتب العلمیة)

"إن كانت آيسة فاعتدت بالشهور، ثم رأت الدم انتقض ما مضى من عدتها، وعليها أن تستأنف العدة بالحيض ومعناه إذا رأت الدم على العادة؛ لأن عودها يبطل الإياس هو الصحيح كذا في الهداية."
کتاب الطلاق، الباب الثالث عشر، ج:1، ص:529، ط:رشیدیه)


احسن الفتاوی میں ہے:
"جس عورت کو  شروع سے ہی بالکل حیض نہ آیا ہو،اس کی عمر تیس سال ہوجانے پر وہ آئسہ شمار ہوگی اور اگر حیض آنے کے بعد باکل بند ہوگیایا بہت مدت کے بعد آتا ہو تو یہ پچپن سال کی عمر ہونے پرآئسہ ہوگی،دونوں قسم کی آئسہ کی عدت تین مہینے ہے،مگر صورتِ ثانیہ میں یہ شرط ہے کہ کم از کم چھ ماہ سے حیض بند ہو،یہ چھ ماہ کی مدت پچپن سال کی عمر پوری ہونے سے قبل گزر چکی ہو تو وہ بھی معتبر ہے،یعنی اس صورت میں پچپن سال پورے ہونے کے بعد تین ماہ گزرنے پر عدت پوری ہوجائے گی،دونوں قسم کے ایاس میں اگر عدت کے تین ماہ پورے ہونے سے قبل حیض جاری ہوگیا،تو از سر نو عدت تین حیض پوری کرے،اگر سنِ ایاس سے قبل عدت کی نوبت آجائے تو بذریعہ علاج حیض جاری کرکے تین حیض عدت پوری کرے،اگر کسی علاج سے بھی حیض جاری  نہ ہو تو بوقتِ ضرورت کسی مالکی قاضی سے ایک سال کی  عدت کا فیصلہ کرایا جائے،اگر مالکی قاضی میسر نہ ہو اور ضرورتِ شدیدہ ہوتو بدونِ قضا بھی ایک سال کی عدت کا فتوی دیا جاسکتا ہے۔"
(ج:4،ص:436،ط:دار الاشاعت)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...