আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
67 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম,
সিজদা দেওয়ার কারণে আমার কপালে দাগ পড়ে গেছে, আমি যখন বন্ধুদের সামনে বা কারো সামনে যাই তখন এই বিষয়টি নিয়ে আমার অনেক বিব্রত বোধ হয়। কেউ আবার বলে ফেলে, কিরে ন্মায়াজ পড়তে পড়তে  কপালে দাগ পড়ে ফেলেছিস। আবার অনেক সময় নিজের মধ্যে একটা রিয়া চলে আসে যে এটাতো ভালোই খারাপ কিছু তো আর না, বিব্রত হওয়ার কি আছে। তারপরও কেমন জানি লাগে বিষয়টা। অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় কি, আমি  না দেখানোর জন্য বড় চুল রাখবো বা ক্রিম ব্যবহার করবো দাগ মুছার জন্য?

1 Answer

0 votes
by (679,640 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
 سيماهم في وجوههم من أثر السجود

"তাদের মুখমণ্ডলে সিজদার চিহ্ন থাকবে…”।
(সূরাহ্ ফাতহ, আয়াত ২৯।)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، أَحْمَدُ بْنُ بَكَّارٍ الدِّمَشْقِيُّ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ قَالَ صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو أَخْبَرَنِي يَزِيدُ بْنُ خُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرٌّ مِنَ السُّجُودِ مُحَجَّلُونَ مِنَ الْوُضُوءِ "

আবূল ওয়ালীদ আদ্-দিমাশকী (রহঃ) ...... আবদুল্লাহ ইবনু বুসর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ কিয়ামতের দিন সিজদার কারণে আমার উম্মত উজ্জ্বল চেহারাবিশিষ্ট এবং উযূ (ওজু/অজু/অযু)র কারণে উজ্জ্বল হাত-পা বিশিষ্ট হবে। - সহিহাহ ২৮৩৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬০৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ طَارِقٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ حَوْضِي لأَبْعَدُ مِنْ أَيْلَةَ مِنْ عَدَنٍ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَذُودُ عَنْهُ الرِّجَالَ كَمَا يَذُودُ الرَّجُلُ الإِبِلَ الْغَرِيبَةَ عَنْ حَوْضِهِ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَتَعْرِفُنَا قَالَ " نَعَمْ تَرِدُونَ عَلَىَّ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ آثَارِ الْوُضُوءِ لَيْسَتْ لأَحَدٍ غَيْرِكُمْ " . 

উসমান ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) ..... হুযাইফাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার হাওয (হাওযে কাওসার) আইলা থেকে আদান এর দূরত্ব পরিমাণ দীর্ঘ। সে মহান সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ! আমি তা থেকে কিছু মানুষকে এমনভাবে তাড়াবো যেমন কোন ব্যক্তি অপরিচিত উটকে তার পানির কূপ থেকে তাড়িয়ে দেয়। লোকেরা জিজ্ঞেস করলঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি সেদিন আমাদেরকে চিনতে পারবেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। ওযুর প্রভাবে তোমাদের চেহারা ও হাত-পা থেকে উজ্জ্বল জ্যোতি ছড়িয়ে পড়া অবস্থায় তোমরা আমার নিকট উপস্থিত হবে। এটা তোমাদের ছাড়া অন্য উম্মতের জন্যে হবে না। (মুসলিম ৪৭১.ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৭৪, ইসলামিক সেন্টারঃ ৪৯০)

“আল্লাহ তাআলা যখন জাহান্নামবাসীদের মধ্য হতে যাকে ইচ্ছা দয়া প্রদর্শনের ইচ্ছা করবেন, তখন ফিরিশ্তাদেরকে আদেশ করবেন যে,
‘যারা একমাত্র আল্লাহরই ইবাদত করত তাদেরকে দোযখ থেকে বের কর।’
ফিরিশ্তাবর্গ সেই ইবাদতকারী ব্যক্তিবর্গকে বের করবেন।
তাঁরা তাদের সিজদার চিহ্ন বা উজ্জল্য দেখে চিনতে পারবেন।
কারণ,
আল্লাহ দোযখের জন্য সিজদার চিহ্ন খাওয়াকে (ম্লান বা অনুজ্জ্বল করে দেয়াকে) হারাম করে দিয়েছেন।
ফলে ঐ সকল লোককে দোযখ থেকে বের করা (ও নিষ্কৃতি দেওয়া) হবে।
সুতরাং আদম-সন্তানের প্রত্যেক অঙ্গ দোযখ খেয়ে ফেলবে, কিন্তু সিজদার চিহ্নিত অঙ্গ বা সিজদার কারনে উজ্জল হওয়া অঙ্গ খাবে না।”
(বুখারী, মুসলিম।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার কপালে যে দাগ পড়েছে,এটি বরকত পূর্ণ। 

এর মর্যাদা কবরে যাওয়ার পর বুঝে আসবে,ইনশাআল্লাহ। 
তদুপরি আপনি যদি তাহা ক্রীম ব্যবহার করে মুছে ফেলতে চান,সেটি আপনার ইচ্ছা,জায়েজ আছে।

আর চুল বড় রেখে সামনে এভাবে চুল ঝুলিয়ে রাখার অনুমোদন নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...