ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) কারও কাছে যথেষ্ট পানি আছে। এমতাবস্থায় কেউ যদি এসে বলে, ভাই, আমার পানিটা দিয়ে ইফতার করেন, তবেও সে রোজাদারকে ইফতার করানোর সওয়াব পাবে। তবে ধনীদের তুলনায় গরীবদের ইফতার করানোই হাদীসের মর্মকথা ও উদ্দেশ্য।
(২) কেউ কারো কাছ থেকে এক প্যাকেট ট্যাং নিলো, বললো পরে টাকা দিয়ে দিবো। সেটা দিয়ে ইফতার করলো এবং অন্যকেও করালো। এখন যদি ঐ ট্যাং ব্যবসায়ী টাকা না নেয়, তবে তিনিও রোজাদারকে ইফতার করানোর সওয়াব পাবেন।
(৩) সর্বদা মনে রাখতে হবে যে, আল্লাহর তাওফিক ব্যতিত জান্নাতে যাওয়া যাবে না।এবং যে কোনো সময় আল্লাহ যে কারো মনকে পরিবর্তন করে দিতে পারেন।তাছাড়া ইবাদত কবুল করা বা না করার সম্পূর্ণ অধিকার আল্লাহ তা'আলার। আল্লাহ তা'আলা অন্তরের বিশুদ্ধতাকে দেখেই কারো ইবাদতকে কবুল করে থাকেন।
(৪) আপনি একজন মুদাব্বির আলেম - তথা যিনি কুরআন সুন্নাহর আলোকে চিকিৎসা করে থাকেন- এর শরণাপন্ন হন, ভালোভাবে লেখাপড়া করার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে থাকেন।সালাতুল হাজত পড়ে ও তাহাজ্জুদের নামায পড়ে আল্লাহর কাছে দু'আ করতে থাকুন।ইনশা'আল্লাহ! আল্লাহ আপনাকে ভালোভাবে লেখাপড়ার তাওফিক দিবেন।আমীন।
(৫)
(৬) নামাজের মধ্যে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গেলে, নামাজ ভেঙে যাবে না। তাকে আবার নতুন নিয়ত করে নামাজ শুরু করতে হবে না। বরং যেখানে ছিল,সেখান থেকেই আবার নামাযকে শুরু করবে। তবে যদি কিবলার দিক থেকে বুক তিন তাসবিহ সমপরিমাণ সরে যায়, তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
"والحاصل أن المذهب أنه إذا حول صدره فسدت، وإن كان في المسجد إذا كان من غير عذر كما عليه عامة الكتب اهـوأطلقه فشمل ما لو قل أو كثر، وهذا باختياره، وإلا فإن لبث مقدار ركن فسدت وإلا فلا۔"
(كتاب الصلاة،باب ما يفسد الصلاة وما يكره فيها:1/ 627،ط:سعيد)
وفيه أيضا:
(৭) ইমাম 'আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ' বলার সাথে সাথেই সালাম ফেরানো যেতে পারে অাবার দুয়েক সেকেন্ড পরও সালাম ফিরানো যেতে পারে।
(৮) এস্তেঞ্জা করার পর পেশাবের ফোটা ক্লিয়ার হতে কারও আধঘন্টার মত সময় লাগলে সে যদি এমন সময় এস্তেঞ্জা করে যার পর আর অল্প কিছু সময় ওয়াক্তের বাকি আছে, তখন সে, দ্রুত নামায পড়ে নেবে।
ইস্তেঞ্জাতে এতো অধিক সময় ব্যয় করা মূলত শয়তানের ওয়াসওয়াসাকে প্রস্রয় দেয়া। সুতরাং অতিদ্রুত ইস্তেঞ্জা শেষ করার চেষ্টা করাই উচিৎ।
(৯)
যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক বায়ূ নির্গত হতে থাকে। অর্থাৎ নামাযের সবচেয়ে ছোট ওয়াক্তেও বায়ূ নির্গত হওয়া ব্যতিত দু রা'কাত নামায পড়া সম্ভব না হয়,তাহলে সে ব্যক্তি মা'যুর। সুতরাং আপনি মা'যুর ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত হবেন।
মা'যুর ব্যক্তি এক ওয়াক্তের জন্য এক অজু করবেন।তারপর উক্ত অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতর যতসম্ভব উনি ফরয নফল ইত্যাদি ইবাদত করতে পারবেন।যখন ওয়াক্ত চলে যাবে তখন অজুও শেষ হয়ে যাবে। পূনরায় ভিন্ন ওয়াক্তের জন্য ভিন্ন অজু করতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1897
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো একটি নামাযের ওয়াক্ত উযর ব্যতিত পাওয়া গেলে তখন আর ঐ ব্যক্তি মা'যুর থাকবে না
কোনো মা'যুর ব্যক্তির যদি নামাযের মধ্যে পেশাবের ফোটা কাপড়ে পড়ে তবে তার পরের নামাজ (একই ওয়াক্তে) অন্য কাপড় দিয়ে পড়তে হবে না।তবে পরের ওয়াক্তের নামায পড়তে হলে ভিন্ন কাপড় ব্যবহার করতে হবে।
(১০) ৫ থেকে ৯ নাম্বারের মত নামাজ সম্পর্কিত সব ধরনের মাসালা জানতে,বাংলা অনুবাদকৃত হেদায়া, কুদুরী, নুরুল ইযাহ,মালাবুদ্দা মিনহু পড়তে পারেন।