আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
371 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (115 points)
আমার জ্বিন ও যাদুর সমস্যা আছে।হয়তো বিয়ের উপর ও কেউ যাদু করছে।কারণ আমি বিয়ে ওয়ার্ড টা আসলেই সহ্য করতে পারিনা।চিকিৎসা চলছে অবশ্য। আমাকে নানাধরণের যিনাহজাতীয় ওয়াসওয়াসা দেয় শয়তান। আমি যুদ্ধ করি যেভাবে পারি।কিন্তু এতো খারাপ ওয়াসওয়াসা, আল্লাহর গাফিলতি আমি সহ্য করতে পারতেছিনা।আমি অসহায় হয়ে আছি।আমার রবকে আমি নারাজ করতে চাচ্ছিনা কিন্তু করে ফেলছি!নিজের উপর বিরক্ত! আমি চেষ্টা করে আবার হেরে যাই কিন্তু আল্লাহর অবাধ্যতা!!
আমার মানসিক সাপোর্ট এর প্রয়োজন হয়।আমি বিয়ে না করার জন্য ওয়াসওয়াসা পাই।জ্বিন আমাকে মানাতে চায় যাতে আমি বিয়ে না করি শুধু তারই থাকি।আসলে আমি একটা ছেলেকে নিয়ে ইস্তেখারা করেছি।পজিটিভ এসেছে।সেই ছেলেকে নিয়েও কুধারণা দেয়।কিন্তু জানি বিয়ের গুরুত্ব কি!!!এছাড়া আমার এখন খুবই প্রয়োজন এইটা।কিন্তু বাসা থেকে এখন বিয়ে দিবেনা।এমতাবস্থায় বাসায়কিছু মিথ্যা বলে যদি বিয়ে টা তাড়াতাড়ি করা যায় তাহলে কি করা যাবে?যাতে অন্তত বিয়ে টা হোক।আমার কারো সাপোর্ট আসলেই প্রয়োজন। নাহয় শয়তান খুবই ওয়াসওয়াসা দেয়

1 Answer

0 votes
by (679,240 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
‘আলক্বামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। 

عن علقمة، قال: كنت مع عبد الله، فلقيه عثمان بمنى، فقال: يا أبا عبد الرحمن إن لي إليك حاجة فخلوا، فقال عثمان: هل لك يا أبا عبد الرحمن في أن نزوجك بكرا، تذكرك ما كنت تعهد؟ فلما رأى عبد الله أن ليس له حاجة إلى هذا أشار إلي، فقال: يا علقمة، فانتهيت إليه وهو يقول: أما لئن قلت ذلك، لقد قال لنا النبي صلى الله عليه وسلم: «يا معشر الشبابمن استطاع منكم الباءة فليتزوج، ومن لم يستطع فعليه بالصوم فإنه له وجاء»

তিনি বলেন, যখন আমি ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম, ‘উসমান (রাঃ) তাঁর সঙ্গে মিনাতে দেখা করে বলেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আপনার সাথে আমার কিছু দরকার আছে। অতঃপর তারা দু’জনে এক পাশে গেলেন। তারপর ‘উসমান (রাঃ) বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমি কি আপনার সঙ্গে এমন একটি কুমারী মেয়ের বিয়ে দিব, যে আপনাকে আপনার অতীত কালকে স্মরণ করিয়ে দিবে? ‘আবদুল্লাহ্ যখন দেখলেন, তার এ বিয়ের দরকার নেই তখন তিনি আমাকে ‘হে ‘আলক্বামাহ’ বলে ইঙ্গিত করলেন। আমি তাঁর কাছে গিয়ে বলতে শুনলাম, আপনি আমাকে এ কথা বলছেন (এ ব্যাপারে) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ‘সওম’ পালন করে। কেননা, সওম যৌন ক্ষমতাকে দমন করে।(সহীহ বোখারী-৫০৬৫)

«النِّكَاحُ حَالَةَ الِاعْتِدَالِ سُنَّةٌ مُؤَكَّدَةٌ مَرْغُوبَةٌ، وَحَالَةَ التَّوَقَانِ وَاجِبٌ، وَحَالَةَ الْخَوْفِ مِنَ الْجَوْرِ مَكْرُوهٌ.» - «الاختيار لتعليل المختار»
 (3/ 82)

স্বাভাবিক অবস্থায় বিয়ে করা সুন্নতে মু’আক্কাদা। আর যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনায় বিয়ে করা ওয়াজিব। আর স্ত্রীর জুলুম করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ।(আল-এখতিয়ার লি তা’লিলিল মুখতার-৩/৮২)

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত তথ্য মোতাবেক বুঝা যায় যে বিবাহ ছাড়া গুনাহ হওয়ার প্রবল আশংকা আপনার রয়েছে।
সুতরাং দ্রুত বিবাহ প্রয়োজন। 
বিবাহ করে নিলেই প্রশ্নে উল্লেখিত যাবতীয় সমস্যা সমাধান হবে,ইনশাআল্লাহ। 

দ্রুত বিবাহের আমল সংক্রান্ত জানুনঃ
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিবাহ না করলে যেহেতু গুনাহ হওয়ার প্রবল আশংকা রয়েছে,তাই এমতাবস্থায় বাবা মা বিবাহ দিতে না চাইলে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যাবে।  
এতে গুনাহ হবেনা।

আরো জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (115 points)
বিবাহ দিতে চায়।কিন্তু আমার বড় বোন আছে। আমার বড় বোন এখন বিয়ে করবেনা।সাধারণত পরিবারে বড় মেয়ের পর ছোট মেয়ের বিয়ে হয়।ঠিক এই কারণেই আমার বিয়ের কথা এখনো আগ বাড়েনি।তবে কিছু মিথ্যা বলে হয়তো আমার বিয়ে আগে হওয়াদ চান্স আছে।আল্লাহু আলাম

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...