০১. দাখিলের, ফিকহ বইয়ে দেখলাম লেখা, কেও যদি তার স্ত্রী কে, "ওহে তালা* প্রাপ্তা" বলে সম্ভোধন করে বা বলে "তুৃমি তালা* প্রাপ্ত" তবে তালাক হয়ে যায় বিষয় কি সঠিক?
০২.আমার একটি ঘটনা মনে পরছে একদিন আমি হাটতে হাটতে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কল্পনা করছিলাম আমার বউ কে আমার পরে যদি অন্য কেও বিয়ে করে কেমন হবে, ভাবতে ভাবতে কি জানি একটা কতা বলেছিলাম, হালকা উচ্চারণ হয়েছিলো মনে হচ্ছে, কথাটা হয়তো এমন ছিলো যে, "তা*ক খেয়ে এসেছো/তা*ক খাইছো/ " এই রকম কথা একটা পরিষ্কার মনে নাই, তখন ও তালাকের মাসআলা জানতাম, তখন কাওকে এটা জিগ্যেস করিনি আমার মনে হয়েছিলো এটা সমস্যা না। তখন মনে মনে এটাও ভেবেছিলাম তা*ক হলে রজু করে নিলাম,এটাও মনে মনে না মুখে বলেছিলাম মনে নাই। উল্লেখ্য আরো ২/১ দিন এরম করেছিলাম বলে মনে পরছে (যে তা*ক মনে মনে রজু করলাম)।যে আজ হঠাৎ এই ঘটনাগুলো মনে পরায় টেনশন হচ্ছ সব পরিষ্কার মনে ও নাই কি হয়েছিলো যা আবছা মনে আছে বললাম। এতে আমার কি বিবাহে কোনো সমস্যা হবে?
০৩. কেও যদি এভাবে বলে কসম করলাম এটা করবো না বা শপথ করবো না, তবে আল্লাহর নাম নেয় নি, এতে কি ইলা বা শপথ হবে?
০৪. আমি কয়েকটা জায়গায় (২/৩ টা বা আরো বেশি হবে) (রেস্টুরেন্ট/হোটেল) এরুপ জায়গায় আমার বউ এর সাথে অন্তরঙ্গ না হওয়ার জন্য বলি, বলার সময়, আল্লাহ সাক্ষী/ কসম/শপথ বলেছিলাম। মানে এই জায়গা গুলোতো অন্তরঙ্গ হবো না এমন বিষয়। যেমন একদিন একজায়গায় গিয়েছে ওইখানে তার ভালো লাগে না বলেছে পরে বলেছি। (কসম /শপথ বলে থাকলে আল্লাহর নাম নেই নি এটাই ৯৯ ভাগ মনে পরছে, শুধু কসম বা শপথ বলেছি, আর সাক্ষী বললে আল্লাহ সাক্ষী বলেছি, এখন কোনটা যে বলেছি মনে পরছে না) এর ফলে কি ইলা হবে? আর ইলা না হলে কসমের কাফফারা দিতে হবে?
০৫.আমি ইদানিং একটু দ্বীনের পথে আসার চেষ্টা করছি, যদর ফলে আমার কথা,কাজে সুরতে কিছু পরিবর্তন এসেছে, এবং আমি আমার বউকেও পর্দয় করতে বলি। কিন্তু সে পূর্ণ পর্দা করতে চায় না, এই আলাপ তুললে একদিন বলে "তোমার এই পরিবর্তন আমি নিতে পারছিনা" এর ফলে কি সে কাফের হয়ে যাবে?
০৬.আমি আগে ধারনা রাখতাম যে আল্লাহ সত্ত্বাগত ভাবে আরশে আছেন,এবং জ্ঞানগত ভাবে সব জায়গায় বিরাজমান। সত্ত্বাগত ভাবে কোনো স্থান আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করা ইসলামী আকিদার খেলাফ হয়।এই জ্ঞান আমার ছিলো না। তখন এতো গভীর ভাবনা ও ভাবি নি,বিভিন্ন ইউটিউবের বক্তব্য শুনে এমন আকিদা তৈরী হয়েছিলো। একটা কথাও মনে মনে বলতাম যে, ছাগলের পা মানুষের পা এগুলো আলাদা,একটার সাথে আরেকটার মিল নাই, তাই আল্লাহরহাত পায়ের সাথে ও এসবের মিল নাই, তখন ভাবতাম আল্লাহর হাত পা আছে তবে এগুলো দেহ/অঙ্গ সাব্যস্থ করচি কি না এই ভাবনা তখন মাথায় এসেছিলো কি না বলতে পারছি না, আসলে ভালো করে মনে নেই। আর এই সব বিষয় নিয়ে গভীর ভাবে ভাবনা হয় নি শুনে শুনেই মনে রেখে দিয়েছিলাম,তাই অনেক ভুল বুঝতে পারি নাই।
এর ফলে কি কুফর হবে?
০৭. অপারেশন করিয়েছি, একজন বললো সাত দিন আরেকজন বললেন চোখে তিন দিন পানি লাগাবো না বলেছে,
কিভাবে নামাজ ওযু বা ফরজ গোসল করলে তা আদায় হবে? আর কয়দিন লাগাবো না তিন না কি সাত?
জাজাকাল্লাহ