আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
১।আফওয়ান! কোন কারনে কষ্ট পেয়ে কান্নার সময় যদি ও'মা/আম্মুরে বলে ডাকি তাহলে গুনাহ হবে? হলে করনিও কি? আমার বিড়াল টা মারা জাওয়ার পর আমি এভাবে কেদেছিলাম।

২। বিভিন্ন ভিডিওতে ফিলিস্তিনের বাচ্চাদের কষ্ট দেখে যদি ও'মা বলে ফেলি তাহলেও কি গুনাহ হবে?
........................................

............................

.........................

..................................

.................।।,,,,,,,,,,,,,,,,,

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

 https://ifatwa.info/30859/   নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، لَمَّا طُعِنَ عَوَّلَتْ عَلَيْهِ حَفْصَةُ فَقَالَ يَا حَفْصَةُ أَمَا سَمِعْتِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْمُعَوَّلُ عَلَيْهِ يُعَذَّبُ " . وَعَوَّلَ عَلَيْهِ صُهَيْبٌ فَقَالَ عُمَرُ يَا صُهَيْبُ أَمَا عَلِمْتَ " أَنَّ الْمُعَوَّلَ عَلَيْهِ يُعَذَّبُ " .

'আমর আন নাকিদ (রহঃ) ... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাযিঃ) যখন আহত হলেন, হাফসাহ (রাযিঃ) সশব্দে কাঁদতে লাগলেন। তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, ওগো হাফসাহু তুমি কি শোননি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যার জন্য উচ্চৈঃস্বরে ক্ৰন্দন করা হয় তাকে শাস্তি দেয়া হবে? তার প্রতি সুহায়ব (রাযিঃ)-ও কাঁদতে থাকলে উমর (রাযিঃ) তাকেও বললেন, হে সুহায়ব! তুমি কি জান না যার জন্য চিৎকার করে বান্নাকাটি করা হয় তাকে আযাব দেয়া হবে? (মুসলিম ২০৩৩.ইসলামী ফাউন্ডেশন ২০১৬, ইসলামীক সেন্টার ২০২৩)

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا زُبَيْدٌ الْيَامِيُّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَ مِنَّا مَنْ لَطَمَ الْخُدُودَ، وَشَقَّ الْجُيُوبَ، وَدَعَا بِدَعْوَى الْجَاهِلِيَّةِ ".

আবূ নু’আইম (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যারা (মৃত ব্যাক্তির জন্য শোক প্রকাশে) গাল চাপড়ায়, জামার বুক ছিড়েঁ ফেলে এবং জাহিলীয়াত যুগের মত চীৎকার দেয়, তারা আমাদের তরীকাভূক্ত নয়। (বুখারী ১২১৭)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন/ভাই!

চিৎকার-চেঁচামেচি করে, চারপাশের পরিবেশ অশান্ত করে ফেলেন অথবা হামাগুড়ি দিয়ে নিজের শরীর চাপড়াতে থাকে। সেই সব ব্যক্তিদের সম্পর্কে আলোচ্য হাদীস সমূহ উল্লেখ হয়েছে। যারা নীরবে-নিভৃতে মৃত ব্যক্তির জন্য চোখের অশ্রু ঝরায়। তাদের ব্যাপারে কোরআন এবং সুন্নাহয় কোনো গুনাহের কথা নেই। এটি জায়েজ আছে।

১. সুতরাং প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে সবর করা উচিত। এভাবে কান্না করা সবর না থাকার আলামত বহন করে। যেমনটি পূর্বের হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও গুনাহ হবে না। তবে এভাবে কান্না করা মোটেও উচিত নয়।

২. জ্বী না গুনাহ হবে না। তবে এমন না বলে ইন্নালিল্লাহ বলা ও তাদের জন্য বেশী বেশী দোয়া করা উচিত। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...