বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)ফজরের সুন্নাত নামাজ পড়ার সময় না পেলে এবং জামাত শুরু হয়ে গেলে,সুন্নতকে সূর্যোদয়ের পর পড়তে হবে।ফরয পড়ার পর সূর্যোদয়ের পূর্বে পড়া যাবে না।
(২)
যোহরের ফরয নামাজের পূর্বে সুন্নাত পড়ার সময় না পেলে, পরে সুন্নাত পড়লে গুনাহ হবে না।তবে বিনা জরুরতে পূর্বের সুন্নতকে পরে পড়া মাকরুহ।তথা সওয়াবে কমতি চলে আসবে।
3443 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
বিনা উযরে সুন্নতে মু'আক্বাদাকে তরক করলে গোনাহ হবে।বিস্তারিত জানুন-
400জোহর ও জুম্মার সুন্নতে কাবলিয়্যাহ।যদি এগুলো তরক হয়ে যায়,তাহলে জোহরের ওয়াক্তের ভিতর জোহরের ফরয এবং ফরয পরবর্তী সুন্নত নামাযের পর(ফরয পরবর্তী সুন্নতের আগে না পরে পড়তে হবে?এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে) সেগুলোকে পড়ে নেয়া জরুরী।তবে ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর জরুরী নয়।
لما في الدرالمختار ج٢-ص٥٨
(بخلاف سنة الظهر) وكذا الجمعة (فإنه) إن خاف فوت ركعة (يتركها) ويقتدي (ثم يأتي بها) على أنها سنة (في وقته) أي الظهر (قبل شفعه) عند محمد، وبه يفتى جوهرة.
و في ردالمحتار تحت
(قوله في وقته) فلا تقضى بعده لا تبعا ولا مقصودا بخلاف سنة الفجر.
(৩)অসুস্থতা, জ্বর-সর্দি-মাথা ব্যথার কারণে যদি সুন্নাত নামাজ আদায় না করা হয়,তাহলে গুনাহগার হতে হবে না।কিন্তু যদি কেউ বিনা প্রয়োজনে সুন্নতকে তরক করে,তাহলে গোনাহ হবে।
(৪)মহিলারা বাহিরে থাকলে অনেক সময় নামাজ আদায়ের সুযোগ থাকে না, অথচ ওয়াক্ত শেষ বা কাযা হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে কি করণীয়?
এমন প্রশ্নের জবাবে বলা যায় যে,
নামায পড়া যাবে না,এমন সফর না করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।যদি কেউ সফর করতে মজবুর হয়,তাহলে নামায পড়ার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।শতচোষ্টার পরও যদি নামায পড়া সম্ভব না হয়,তাহলে মহিলাদের কোনো গোনাহ হবে না।
যদি সেরকমও কোনো জায়গা খুজে না পাওয়া যায়,তাহলে পূর্ণ পর্দার সাথে রেলস্টেশন, বাসস্টেশন, যাত্রীচাউনি ইত্যাদিতেও নামায পড়তে হবে।নামাযের কোনো মাফ নেই।এ ব্যাপারে শীতিলতাকে শরীয়ত কখনো বরদাশত করবে না।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৫/৫২৯)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
1728