আসরের সালাত দুই মিছিলের পর না এক মিছিলের পর এ নিয়ে উলামায়ে আহনাফদের মধ্যেও মতবিরোধ রয়েছে,এবং দুই অভিমতের উপর-ই ফাতাওয়া রয়েছে, তবে ইবনে আবেদিন শামী সহ অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম মনে করেন দুই মিছিলের পর-ই সুন্নাহ সম্মত ও উত্তম ।
এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে উম্মে সালামাহ রাঃ থেকে বর্ণিত আছে,
161 عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشَدَّ تَعْجِيلًا لِلظُّهْرِ مِنْكُمْ، وَأَنْتُمْ أَشَدُّ تَعْجِيلًا لِلْعَصْرِ مِنْهُ»: وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الحَدِيثُ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ نَحْوَهُ،
[حكم الألباني] :)صحيح (
ترمذي
উম্মে সালামাহ রাঃ বলেনঃনবী কারীম সাঃসর্বদাই জোহরের নামায তারাতারি পড়তেন(এবং আসর দেরীতে দুই মিছিলের পর পড়তেন) অথচ তোমরা আসরের নামায তারাতারি পড়ে নাও।
আসরের নামায দুই মিছলের(আসল ছায়া ব্যতীত প্রতিটা জিনিষের দিগুন ছায়া) পর উত্তম নিম্নোক্ত হাদীসের দিকে তাকালে সেটা অনায়াসে বুঝা যায়।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রত্যেক মুসলমানের উপর নির্দিষ্ট সময়ে সালাত আদায় করা ফরয,নির্দিষ্ট সময় মানে প্রত্যেক নামাযের নির্দিষ্ট ওয়াক্ত,আর নামাযের ওয়াক্ত সূর্যের সাথে সম্পর্কিত।সূর্যের নড়াচড়াই নামাযের সময়কে নির্ধারণ করে অর্থাৎ সূর্যের পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকের গতিবিধিকে কেন্দ্র করে নামাযের ওয়াক্ত নির্ণয় করা হয়,তাই ওয়াক্তের পূর্বে নামায নাময আদায় হবেনা,এর থেকে বিরত থাকা সবার উচিৎ ।
★হানাফি মাযহাবে গ্রহণযোগ্য মতানুসারে আসর দুই মিছিলের পর পড়া মুস্তাহাব।তবে এক মিছিলের পর যদি কেউ পড়ে নেয় তাহলেও আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু সাধারণত উত্তম হচ্ছে আসরকে দুই মিছিলের পর পড়া।(আহসানুল ফাতাওয়া ২/১১৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ৩টার পর অন্য মাযহাব অনুযায়ী আসরের ওয়াক্ত শুরু হলে আপনি সেই সময়ে বাসের মধ্যে আসরের নামাজ শুরু করতে পারবেন। এতে আপনার নামাজ আদায় হয়ে যাবে।