ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
(ক) কেউ যদি কোন কারণে কোন ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে না পারে এবং পরবর্তীতে ঔ ওয়াক্তের নামাজকে কাযা আদায় করে, তাহলে এক্ষেত্রে সওয়াব কেমন হবে? সেটা তো আল্লাহই জানেন।হ্যা, সময়মত নামাযকে না পড়ার গোনাহ অবশ্যই হবে।
(খ) অলসতা জনিত কারণে নামাজ কাযা হয়ে গেলে এবং পরবর্তীতে কাযা আদায় করলে, সে ক্ষেত্রেও একইম হুকুম। ঐ ওয়াক্তের নামায কাযা হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে। এবং সময়মত না পড়ার গোনাহ অবশ্যই হবে।
(২) কেউ ইচ্ছা করে বা অলসতা জনিত কারণে কোন ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে না পারলে, পরবর্তীতে যদি সে সত্তর হাজার বারও কাযা আদায় করে তাহলেও সেটা সময়মত আদায়কৃত নামাযের সমতূল্য হবে না।
(৩) মোহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের সকল শ্রেণীর জন্য শাফায়াত করবেন। কারো জন্য প্রথমে কারো জন্য একেবারে শেষে।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' ৭ ভাবে শেফায়ত করবেন।
(৪) মোহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আখিরাতে যাদের জন্য শাফায়াত করবেন, সবগুলোই আল্লাহ কবুল করবেন।
(৫) কেউ ইসলামের অনেক বিধান মেনে চলে আবার অনেক বিধান মেনে চলে না। সে ভাবে মোহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করলে মোহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আখিরাতে তার জন্য শাফায়াত করবেন। সে যে অনেক বিধান মানেনি, সেইজন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' তার উপর অসন্তুষ্ট থাকবেন।যেজন্য প্রথমেই তার সুপারিশ করবেন না।হ্যা, তার জন্য হয়তো কোনো একদিন সুপারিশ করবেন। কেননা সর্বশেষ জাহান্নামি ব্যক্তিও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এর সুপারিশ দ্বারা একদিন জান্নাতে প্রবেশ করবে।