আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
318 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
edited by
তালাকের ওয়াসওয়াসার রুগি আমি।অধিকার আছে এ কথা জানার পরেই এ সমস্যায় ভুগা শুরু।
আজ ২ দিন একটু ঠান্ডা ছিলাম।
স্বামীর সাথে ভিডিও কলে লথা বলে শেষে মুখে দুষ্টামি করে অদ্ভুত একটা শব্দ করলাম। শব্দটা হচ্ছে ২ ঠোঁট এক সাথে করে বা মিলিয়ে ভিতর থেকে হাওয়া বের করে অদ্ভুত শব্দ করা।
বাচ্চারা প্রায়-ই এটা করে।আমরা তাদের হাসানোর জন্যও এমন ঠোঁটে ঠোঁটে অদ্ভুত শব্দ করি।
তো ওর সাথে হাসি দিয়ে এ ফাজলামিটা করছি আমি।

১/ এরকম ফাজলামি যখন করি  তখন ওর মুখের দিকে তাকিয়ে "" তালাক,তালাক" এমন শব্দ মনে আসছিলো।এইদিকে মুখে ঠোঁটে সেই অদ্ভুত শব্দ চলতেছে।এতে কি তালাক হবে?

২/ তালাকের অধিকারে আছে (নিরুদ্দেশ হলে,শারীরিক সমস্যা হলে,বনিবনা না হলে,শাররিক ও মানসিক নির্যাতন করল) স্ত্রী দিতে পারবে।
এ শর্তগুলা  না পাওয়া গেলে কি কোনভাবেই স্ত্রী তালাক দিতে পারবে?

৩/স্বামী তার স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসে,আর সে তাকে স্বাধীনতা দেয়(তার বিশ্বাস তার বউ ভুল পথে যাবে না)তাই কোন কাজে বাঁধা দেয় না তেমন।কারন তার স্ত্রী উড়নচন্ডী না,শান্ত,চুপচাপ।
তো কাজ-কর্মের,ঘুরার স্বাধীনতা দেওয়া প্রসঙ্গে যদি বলে '"তুমি মুক্ত,স্বাধীন,উড়ো তুমি""।এতে কি তালাক হয়ে যাবে?
এখানে তো কোন নিয়ত-ই নাই,এমন পরিবেশ,পরিস্থিতি কোনটাই নাই।
উল্টো ভালোবেসে বলছে,তুমি স্বাধীন,মানে তোমার মতামতকে আমি সম্মান জানাই।

৪/ স্বামী অনেক সময় বলে "তোমাকে স্বাধীনতা দিলাম  "এতে কি তালাক হয়ে যাবে?জাস্ট কাজের স্বাধীনতা,অন্য কিছুই না।

৫/ স্বামী রসিক মানুষ, আর স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।
সে তার বউকে বলে তুমি স্বাধীন,মুক্ত,পাখির মতো উড়বা,ঘুরবা,তা না করে ঘরে বসে থাকো,এতে কি তালাক হবে?
বিঃদ্রঃ -সে জানতোও না তখন এরকম স্বাধীন,মুক্ত,ছেড়ে দিলাম শব্দ দ্বারা যা সমস্যা হয়

৬/স্ত্রী একদিন বললো,তুমি কি আমাকে অনুমতি দিচ্ছো সেখানে যাওয়ার?স্বামী বললো দিবো না কেন?তুমি তো স্বাধীন,তোমার একটা মতামত আছে না?অবশ্যই তোমার স্বাধীনতা আছে।সল প্রায়-ই এমন কথা বলে।এতে কি সমস্যা হবে?

৭/মনে মনে তালাকের নিয়ত করে,মুখে ইচ্ছে বা অনিচ্ছেকৃতভাবে "" হুম"" বলে উঠলে কি তালাক হয়ে যাবে?

৮/মনে মনে তালাকের নিয়ত করছে এটা না করলে তালাক,ঠিক  তখন আরেকজন বললো ভাত খাবে?সে বললো "হুম"" এতে কি সমস্যা হবে?

৯/ কাবিনে কিছু শর্ত দিয়ে অধিকার দিছিলো,যা স্বামী জানে না।পরে বউ তাকে কাবিনের ব্যাপারে জানালো।বউ বললো,এখন তো তুমি জানো,এখন কি তুমি চাও অধিকার পাক তোমার বউ?সে বললো,আচ্ছা পাইলা আর কি।
এই যে সে মুখে বললো "" পাইলা আর কি"এদিকে সে কিন্তু কোন শর্ত রাখে নি।বাট কাবিনে ৪ টা শর্ত আছে।
এখন বউ কি শর্তহীনভাবে অধিকার পেয়ে গেলো?যেহেতু পরে মৌখিকভাবে পাইলা আর কি বলছে?নাকি কাবিনের শর্তযুক্ত অধিকার-ই থাকবে

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
edited by
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/36539/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে তালাক হবেনা।

(০২)
এ শর্তগুলা  না পাওয়া গেলে কোনভাবেই কাবিননামার অধিকারের দরুন স্ত্রী তালাক দিতে পারবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরন মতে তালাক হবেনা।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরন মতে তালাকের নিয়ত না থাকায় এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরন মতে তালাকের নিয়ত না থাকায় এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

(০৬)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৭)
না,এভাবে তালাক হবেনা।

(০৮)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৯)
"" পাইলা আর কি""
এ কথার দ্বারা স্বামী স্ত্রীকে তালাকের অধিকার প্রদানের নিয়ত করলেই কেবল স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে। নতুবা নয়।

এ কথার দ্বারা স্বামী স্ত্রীকে তালাকের অধিকার প্রদানের নিয়ত করলে স্ত্রী শর্তহীনভাবে তালাকের অধিকার পাবে।
তবে সেই অধিকার উক্ত মজলিসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

পরবর্তীতে স্ত্রীর সেই অধিকার আর বহাল থাকবেনা।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...