আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (55 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার আন্টি হ্যান্ড প্রিন্টের শাড়ি বানায়।মানে শাড়িতে রঙ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের নকশা করে।অনেক সময় এগুলো কাপল সেট ও হয়।এখন আমার আন্টি আর আম্মু বলতেছে অনলাইনে আমাকে এগুলা সেল দিতে।এখন আমার কথা হচ্ছে এই শাড়ি গুলা তো আকর্ষষনীয়।আর এগুলা পরে বাহিরে গেলে তো পর্দা হবেনা।যেকোনো শড়ি দিয়েই তো এটা হবেনা।এখন আমার থেকে কেউ এই শাড়ি কিনে যদি বেপর্দা কাজে ইউস করে আমার কি পাপ হবে?এভাবে ধরেন থ্রি পিছ অনেল সুন্দর সুন্দর এগুলাও তো অনেক মেয়ে বেপর্দাদা ভাবে ইউস করে এতে কি সেলারদেএ পাপ হবে?যেমন সুন্দর থ্রী-পিছ গুলা আমিও কিনি আমিও কিন্তু এই সুন্দর শাড়ি গুলা কিনি কিন্তু আমি এগুলা বেপর্দা ভাবে ইউস করিনা।শাড়ি বাসায় পরি সাজি আবার পরে খুলে ফেলি। থী-পিছ ও তাই নন মাহরাম রা

দেখেন না। এখন সব মেয়ে তো এমন নয় এগুলা পর্দাদাশীল নারী বেপর্দা নারী সবাই ইউস করে। তো এগুলা কি সেল দেয়া যাবে?

আমি চাইনা আমার থেকে কেউ এগুলা কিনে বেপর্দা হক।

আমি চাচ্ছি আমি সেল পোস্টের নিচে লিখে দিব কেউ এটা বেপর্দা কাজে ইউস করবেন না কিন্তু এক্ষেত্রে একটা সমস্যা আছে অনেকেই এই কথাটার দ্বারা আমার সাথে ঝগড়া করতে আসবে।কি করব শায়েখ?আমি শাড়ি গুলা মিতে চাচ্ছিনা কিন্তু আমার আম্মু অনেক কিছু বলতেছে যে তাহলে তো মেয়েদের কাপড় সেল করাই হারাম হইত কারন থ্রী-পিছ পরেও মানুষ বেপর্দায় বেড়ায়। আমাকে সমাধান দিন এইটা সেল করা কি জায়েজ হবে?আমি এক বিন্দু পরিমাণ পাপ নিজের ঘাড়ে নিতে চাইনা বিশেষ করে বেপর্দার পাপ।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নারীজাতীয় কাপড় সমূহ যা দোকানে বিক্রি হয়,তা তিন অবস্থা থেকে খালি নয়ঃ-

প্রথম অবস্থাঃ-
বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো হালাল ত্বরিকায়-ই ব্যবহৃত হবে,হারাম ত্বরিকায় কখনো ব্যবহৃত হবে না।তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা জায়েয।এতে কোনো অসুবিধা নেই।

দ্বিতীয় অবস্থা
বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো হারাম ত্বরিকায় ব্যবহৃত হবে।তথা মহিলা এগুলো পড়ে পরপুরুষের সামনে সুন্দর্য্য প্রদর্শন করবে।তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের মতপার্থক্য রয়েছে।একদল উলামায়ে কেরাম বলেন, হারাম।কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন,তোমরা গোনাহ ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যকে সাহায্য করো না।সূরা মায়েদা-০২
অপরদিকে একদল উলামায়ে কেরাম বলেন,জায়েয।গোনাহ তারই হবে যে কাপড় পড়বে।বিক্রেতার এক্ষেত্রে কোনো গোনাহ হবে না।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ রেশম কাপড় বিক্রির অনুমতি হযরত উমর রাযি কে দিয়েছিলেন,
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/242 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যাদের কাছে বিক্রি করবেন, প্রথমে জিজ্ঞাসা করে নিবেন, সে কিভাবে ব্যবহার করবে, তাছাড়া আপনি গায়ে একটি চিরকুট দিয়ে দিবেন যে, দয়াকরে হারামভাবে ব্যবহার করবেন না। হারামভাবে ব্যবহার করে আমাকে গোনাহগার বানাবেন না। এইসব পদক্ষেপ গ্রহণ করলে অবশ্যই আপনার জন্য এই কাপড় বিক্রি করা জায়েয হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...