আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায। আমাদের একটা অনলাইন ফেইসবুক পেইজ আছে। যেখানে সারাদেশে পণ্য বিক্রয় করা হয়।

১. এবছর আমরা লিফলেট বিক্রি করেছি, প্রথমবার কিছু সংখ্যক লিফলেট প্রেস থেকে ছাপিয়ে ছবি তুলে বিজ্ঞাপন দিয়েছি। ক্রেতারা আমাদের ইনবক্সে অগ্রিম টাকা পেমেন্ট করেছে, আমরা কুরিয়ারে পাঠিয়ে দিয়েছি। একপর্যায়ে আমাদের স্টকে থাকা লিফলেট ফুরিয়ে যায়। কিন্তু ঐসময়ও আমাদের নিকট অর্ডার আসতে থাকে। আমরা অর্ডার কনফার্ম করি এবং একদিন পরেই প্রেস থেকে ছাপিয়ে এনে কুরিয়ারে পাঠিয়ে দেই। এইযে লিফলেট হাতে না থাকা অবস্থায় টাকা নিলাম, এরপর ছাপিয়ে এনে কুরিয়ারে পাঠালাম এটা কি 'কবজা করার পূর্বেই বিক্রয়ের' অন্তর্ভুক্ত হবে? এটা কি নাজায়েজ হবে?

২. লিফলেটের পিডিএফ যারা চেয়েছে আমরা দিয়েছি। অনেকেই না দেখেই অর্ডার করেছে এটা কি জায়েজ হবে?

৩. আমরা ম্যাসেঞ্জার ও হোয়্যাটসএ্যাপে মোট ৫ জন ছিলাম, কেউ অর্ডার করলে আমরা তাদের নাম, ঠিকানা আরেক ভাইয়ের নিকট দিতাম, যিনিও আমাদের কমিউনিটির, তার কাছেই সব লিফলেট ছিল, উনিই প্যাক করে কুরিয়ারে পাঠাত।
এইযে ক্রেতা টাকা দিল আমাদের কিন্তু হস্তাগত ছিল অন্য ভাইয়ের নিকট এটা কি 'কবজা করার পূর্বেই বিক্রয়' হবে? আমি লিফলেট স্পর্শও করিনি। ক্রেতা টাকা পাঠিয়ে নাম, ঠিকানা দিয়েছে, আমি সেই ভাইকে দিয়েছি, সেই ভাই তদানুসারে কুরিয়ার করেছে।

৪. আমরা সবাই এখানে মালিকপক্ষ বলা যায়, কেউই পারিশ্রমিক নির্ধারণ করিনি কারণ কাজটা দাওয়াহ'র উদ্দেশ্যে ছিল। এখন যদি লভ্যাংশ সবার সন্তুষ্টিচিত্তে বন্টন হয় কোন নির্ধারণ ছাড়া এটা কি জায়েজ হবে?(কারণ শ্রমিকের মূল্য নির্ধারণ ছাড়া কাজে সম্ভবত নিষেধাজ্ঞা আছে)

৫. যদি পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতার থেকে অগ্রিম টাকা নেওয়া হয়, সেই টাকা দিয়েই পাইকারি রেটে বিক্রেতা পণ্য কিনে নিজের হস্তাগত করে ক্রেতার নিকট পাঠিয়ে দেয়, লাভ করেই, এটা কি জায়েজ পদ্ধতি হবে? কোন ক্রুটি থাকলে পণ্য ফেরত নেয়া হয়।

৬. কাঁসা, পিতলের পাত্রে মুসলিমদের খাওয়ায় কোন নিষেধাজ্ঞা আছে কি?

৭. হিন্দুদের পূজার আগে হিন্দুদের নিকট কাঁসা/পিতলের প্লেট/গ্লাস বিক্রয় করা যাবে কি?(মোটামুটি নিশ্চিত যে এগুলো তারা পূজার কাজে ব্যবহার করবে, কারণ কাঁসা পিতল ছাড়া তাদের পূজা হয় না)

৮. পণ্যের স্বচ্ছতা থাকতে হয়, এখন ধরেন আমি একটা কাঁসার প্লেট বাজার থেকে কিনে এনে ছবি তুলে বিজ্ঞাপন দিলাম যে কাঁসার প্লেট কিনতে ইনবক্সে নক দিন। আমার কাছে মাত্র একটাই আছে। সেটার ওজন ধরলাম ৫০০ গ্রাম, মূল্য ২৫০০ টাকা। এখন ক্রেতা আমার নিকট চাইল একটা প্লেট, আমি তার কাছে অগ্রিম ৩০০০ টাকা নিলাম, বললাম যে প্লেট পাঠাব সেটার ওজন কমবেশি হতে পারে, যেহেতু কাঁসার সব প্লেটের ওজন এক হয় না, কিছুটা পার্থক্য হয়। আমি বাজার থেকে ৫১০ গ্রামের একটা প্লেট আনলাম, যেটা দাম ২৬০০ টাকা। বাকি ৪০০ ফেরত দিলাম। এভাবে কি জায়েজ হবে?

৯. কুরিয়ার চার্জ কত নেবে এটা আগে থেকে বোঝা যায় না।প্যাক করে নিয়ে গেলে ওজন করার পর বোঝা যায়। এখন ক্রেতাকে যদি বলি আপাতত ১০০ টাকা কুরিয়ার চার্জ দেন, কম লাগলে পাঠিয়ে দেব, ক্রেতাও দিয়ে দিল, পরে কম যদি ২০ টাকাও লাগে, সেটা রিচার্জ করে পাঠিয়ে দিলাম। এটা কি জায়েজ হবে?


১০. ইসলামি অর্থনীতির ফিকহের জন্য বাংলা ভাষার ভালো একটা কিতাবের নাম জানালে উপকৃত হতাম।

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن  ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: أَمَّا الَّذِي نَهى عَنْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَهُوَ الطَّعَامُ أَنْ يُبَاعَ حَتَّى يُقْبَضَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَلاَ أَحْسِبُ كُلَّ شَيْءٍ إِلاَّ مِثْلَهُ

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিষেধ করেছেন, তা হল অধিকারে আনার পূর্বে খাদ্য বিক্রয় করা। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমি মনে করি, প্রত্যেক পণ্যের ব্যাপারে অনুরূপ নির্দেশ প্রযোজ্য হবে।
(সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ৩৪: ক্ৰয়-বিক্ৰয়, অধ্যায় ৫৫, হাঃ ২১৩৫; মুসলিম, পর্ব ২১: ক্ৰয়-বিক্ৰয়, অধ্যায় ৮, হাঃ ১৫২৫)

https://ifatwa.info/60300/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন খাদ্যবস্তু ক্রয় করে, যেন তা কবজা করার আগে বিক্রয় না করে(সুনানু নাসায়ী-৪৫৯৬)

আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত।
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ، بْنُ عُثْمَانَ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ لِمَرْوَانَ أَحْلَلْتَ بَيْعَ الرِّبَا . فَقَالَ مَرْوَانُ مَا فَعَلْتُ . فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَحْلَلْتَ بَيْعَ الصِّكَاكِ وَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الطَّعَامِ حَتَّى يُسْتَوْفَى . قَالَ فَخَطَبَ مَرْوَانُ النَّاسَ فَنَهَى عَنْ بَيْعِهَا . قَالَ سُلَيْمَانُ فَنَظَرْتُ إِلَى حَرَسٍ يَأْخُذُونَهَا مِنْ أَيْدِي النَّاسِ .
তিনি একদা মারওয়ানকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি সূদী কেনাবেচা বৈধ করে দিয়েছেন? মারওয়ান বললেনঃ না, আমি তো তা করিনি। আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি রেশন কার্ড বিক্রি বৈধ করে দেননি? অথচ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদ্যদ্রব্য পুরোপুরি হস্তগত করার আগে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। এরপর মারওয়ান এক বক্তৃতায় তা বিক্রি করতে লোকদের নিষেধ করে দেন।
রাবী সুলাইমান (রহঃ) বলেনঃ আমি দেখলাম যে, মানুষের কাছ থেকে সরকারী কর্মচারীগণ রেশন কার্ড ফিরিয়ে নিচ্ছে। (মুসলিম ৩৭৪১.ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৭০৬, ইসলামিক সেন্টার ৩৭০৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার নিকট পন্য না থাকাবস্থায় অন্যের সাথে বিক্রয় চুক্তি করতে পারবেন না। এবং মাল ক্রয় করে কবজা করার পূর্বে অন্যত্র বিক্রয় করতেও পারবেন না। 

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতটি "কবজা করার পূর্বেই বিক্রয়ের" অন্তর্ভুক্ত হবে।
ঐ সময়ের এসব বিক্রয় চুক্তি বৈধ হয়নি।

(০২)
জায়েজ আছে।

(০৩)
এটা 'কবজা করার পূর্বেই বিক্রয়'  এর অন্তর্ভুক্ত হবেনা।

কেননা তারা সকলেই নিয়মতান্ত্রীক এজেন্ট/দায়িত্বশীল। 

(০৪)
এক্ষেত্রে সকলের পারিশ্রমিক শতকরা হারে হলেও আগে থেকেই নির্ধারন করতে হবে।

(০৫)
এটা জায়েজ পদ্ধতি নয়।
নিজের নিকট পন্য না থাকাবস্থায় অন্যের সাথে বিক্রয় চুক্তি করা যাবেনা। 

(০৬)
না,কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

ইসলামের দৃষ্টিতে শুধুমাত্র স্বর্ণ ও রূপার পাত্র ব্যবহার করা নিষেধ। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,

لَا تَشْرَبُوا فِي آنِيَةِ الذَّهَبِ وَالفِضَّةِ، وَلَا تَلْبَسُوا الحَرِيرَ وَالدِّيبَاجَ، فَإِنَّهَا لَهُمْ فِي الدُّنْيَا وَلَكُمْ فِي الآخِرَةِ

‘তোমরা স্বর্ণ ও রৌপ্য পাত্রে পান করবে না। আর মোটা বা পাতলা রেশম বস্ত্র পরিধান করবে না। কেননা, এগুলো দুনিয়াতে তাদের (অর্থাৎ অমুসলিমদের) জন্য ভোগ্যবস্তু। আর তোমাদের জন্য হল আখিরাতের ভোগ্য বস্তু।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৬৩৩]

এছাড়া অন্য যে কোনো ধাতুর তৈরি পাত্র ব্যবহার করা যাবে।  সুতরাং কাঁসা, পিতলের পাত্রে মুসলিমদের খাওয়ায় কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।

(০৭)
প্রশ্নের বিবরন মতে হিন্দুদের পূজার আগে হিন্দুদের নিকট কাঁসা/পিতলের প্লেট/গ্লাস বিক্রয় করা যাবে কিনা, এ সম্পর্কে উলামাদের দু-রকম মূলনীতি পাওয়া যায়। অর্থাৎ কেউ বলেন জায়েয আবার কেউ বলেন নাজায়েয।

যেহেতু মুসলিম সে টাকার বিনিময়ে এখানে কাঁসা/পিতলের প্লেট/গ্লাস বিক্রয় বিক্রি করছে,তাই বিনিময় তার জন্য হারাম হবে না।এবং এ মতটাই যুক্তিযুক্ত ও গ্রহণীয়।

তবে সতর্কতা মূলক এধরণের বিক্রয় হতে বেচে থাকাই কাম্য।

আরো জানুনঃ- 

(০৮)
এটা জায়েজ পদ্ধতি নয়।
এখানে নিজের নিকট পন্য না থাকাবস্থায় অন্যের সাথে বিক্রয় চুক্তি করা হয়েছে। 

আপনার কাছে যেই পন্য আছে,শুধু সেই পন্যের বিক্রয় চুক্তি আপনি করতে পারবেন।
অন্য পন্যের বিক্রয় চুক্তি আপনি করতে পারবেননা।

(০৯)
এটা জায়েজ হবে। 

(১০)
মুফতী তাকি উসমানী সাহেব দাঃবাঃ এর লিখিত "ইসলামি অর্থনীতি" "ব্যবসা ও ক্রয় বিক্রয়" "ফিকহুল বুয়ু" "ক্রয় বিক্রয়ের মূলনীতি ও ইসলামী বিনিয়োগ পদ্ধতি" "ইসলাম আওর জাদীদ মায়ীশাত ওয়া তিজারাত" বই গুলি পড়তে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (8 points)
শাইখ পণ্য যেহেতু লিফলেট/পোস্টার, এটা তো বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মত নয়। এটাতে কোন রিস্কও নাই যে পণ্য ক্ষতি হলে ক্রেতার লোকসান হবে, অনলাইনে ডেলিভারির আগ পর্যন্ত সেটার জিম্মাদার বিক্রেতা, এক্ষেত্রে এটা ইসতিসনার মাসালায় কি পরবে না?

প্রেসগুলো চলবে কী করে অগ্রিম অর্ডার না নিলে? এটা তো ক্রেতার রুচি অনুযায়ী বানিয়ে দেয়া হয়।

আর এখানে কাগজে শুধু ছাপানো হয়, পোস্টার/লিফলেট এখানে বাইয়ে সালামে লেনদেনের উপায় কী?
by (676,960 points)
এক্ষেত্রে ক্রেতার নিকট লিফলেট বানানোর মেশিন, কাগজ,কালি সহ সব কিছু বিদ্যমান থাকলে বাইয়ে সালাম এর শর্ত মোতাবেক চুক্তি করতে পারবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...