জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
কারো নাম,পরিচয় উল্লেখ না করলে এতে গীবত হয় না। কিন্তু উপস্থিত লোকেরা যদি বুঝতে পারে যে অমুক ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে তবে তা গীবত বলে গণ্য এবং হারাম হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রশ্নে ছুরত যেমন আমার এক আত্মীয় এই এই কাজ করে, আমার বাসার একজন এই করে, অমুক স্থানের একজন এমন করে,এক্ষেত্রে শ্রোতা যদি সেই ব্যাক্তিকে না চিনে,তার পরিচয় সম্পর্কে না জানে, তাহলে তা গীবত হবেনা।
তবে যদি বলে যে আমার চাচা এই এই করে,আমার ফুফা এই এই করে,তাহলে গীবত হবে।
(০২)
গীবত কবিরা গুনাহ।
এক্ষেত্রে শুধু তওবা যথেচ্ছ নয়,বরং যার নামে গীবত করা হয়েছে,তার কাছ থেকে মাফ চেয়ে নিতে হবে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ [٤٩:١٢]
তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী,পরম দয়ালু। [সূরা হুজুরাত-১২}
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ أَبِي سَعْدٍ، وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا “، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ وَكَيْفَ الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا؟ قَالَ: ” إِنَّ الرَّجُلَ لَيَزْنِي فَيَتُوبُ فَيَتُوبُ اللهُ عَلَيْهِ “وَفِي رِوَايَةِ حَمْزَةَ ” فَيَتُوبُ فَيَغْفِرُ لَهُ، وَإِنَّ صَاحِبَ الْغِيبَةِ لَا يُغْفَرُ لَهُ حَتَّى يَغْفِرَهَا لَهُ صَاحِبُهُ
হযরত আবু সাঈস এবং জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। উভয়ে বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ গীবত করা ব্যভিচার করার চেয়েও জঘন্য। সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! গীবত করা ব্যভিচারের চেয়ে জঘন্য হয় কি করে? রাসূল সাঃ বললেনঃ নিশ্চয় ব্যভিচারকারী ব্যভিচার করে তওবা করে থাকে, ফলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেন।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, কিন্তু গীবতকারীকে ক্ষমা করা হয় না, যতক্ষণ না যার গীবত করেছে সে তাকে ক্ষমা করে। {শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬৩১৫, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৫৯০}
গীবত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
(০৩)
যার নামে গীবত করা হয়েছে,তার থেকেই মাফ চেয়ে নিতে হবে।
এভাবে নেক আমল বখশিয়ে দেয়ার মাধ্যমে ক্ষমালাভ হবেনা।
হ্যাঁ,যার নামে গীবত করা হয়েছে,সেই ব্যাক্তি যদি মারা যায়,বা তাকে অনেক খোজাখুজির পরেও তার সন্ধান পাওয়া না যায়,ঠিকানা/মোবাইল নম্বর কিছুই পাওয়া না যায়,বা কোনো কারনে ক্ষমা চাওয়া একেবারে অসম্ভব হয়,সেক্ষেত্রে তার গুনাহ মাফের দোয়া করা যাবে,এটিই উক্ত গীবতের কাফফারা তথা ক্ষতিপূরণ হিসেবে কাজ দিবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৪)
হ্যাঁ, যেতে পারবে।
এক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
(০৫)
জ্ঞান দান করতে তো কোনো সমস্যা নেই।
তবে সে সালাফি ব্যাক্তির যদি আগ্রহ না থাকে,সেক্ষেত্রে উপরোক্ত মতবিরোধপূর্ণ বিষয় নিয়ে জ্ঞান দান না করাই কাম্য।
(০৬)
কেউ তাক্বলীদ করলে ইলম এর প্রতি ভালোবাসা কমে যায়না।
কেউ যদি নিজ থেকে যাচাই করতে চায়, তাহলে তা প্রশংসনীয়।
তবে গভীর জ্ঞান অর্জন করার পর কোনো বিজ্ঞ উস্তাদের অধীনে থেকে যাচাই করা যাবে।
নতুবা বিপথে যাওয়ার প্রবল শংকা থাকে।
যাহা অনুমোদিত নয়।