জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
এক মুসলিম অপর মুসলিমকে দাওয়াত দিলে সেই দাওয়াত গ্রহন এটি এক মুসলিমের উপর অপর মুসলিমের হক।
দাওয়াত গ্রহন না করলে এ হক আদায় হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ خَمْسٌ: رَدُّ السَّلَامِ وَعِيَادَةُ الْمَرِيضِ وَاتِّبَاعُ الْجَنَائِزِ وَإِجَابَةُ الدعْوَة وتشميت الْعَاطِس
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক মুসলিমের ওপর আর এক মুসলিমের পাঁচটি হক বর্তায়। (১) সালামের জবাব দেয়া, (২) রোগ হলে দেখতে যাওয়া, (৩) জানাযায় শামিল হওয়া, (৪) দা’ওয়াত গ্রহণ করা ও (৫) হাঁচির জবাব দেয়া।
(সহীহ : বুখারী ১২৪০, মুসরিম ২১৬২, আহমাদ ১০৯৬৬, সুনানুল কুবরা লিন নাসায়ী ৯৯৭৮, আমলুল ইওয়ামে ওয়াল লায়লাহ্ ২২১, ইবনু হিব্বান ২৪১, সহীহ আত্ তারগীব ২১৫৬, সহীহ আল জামি‘ ৩১৫০, মিশকাত ১৫২৪।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এমনিতেই তেমন যোগাযোগ না করে সামনাসামনি দেখা সাক্ষাৎ হলে সালাম আদান প্রদান করলে গুনাহ হবেনা।
তবে প্রায়ই সামনাসামনি দেখা সাক্ষাৎ না হলে বরং ভাইয়ের বাড়ি দূরে হলে সেক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে ফোন দিয়ে হলেও যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে হবে।
তবে তাদের বাসায় দাওয়াত দিলে যেতে হবে,নতুবা গুনাহ হবে।
আপন চাচা হিসেবে তার সন্তানদের সাথে অবশ্যই সহানুভূতিশীল ব্যবহার চালিয়ে যেতে হবে।