হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
سفيان بن عيينة يقول سمعت عطاء ابن ابي رباح يقول سمعت عبد الله بن عباس يقول اشهد علي رسول الله صلي الله عليه وسلم انه كبر في صلاة العيدين في الأولي سبعا سوي تكبيرة الاحرام وفي الثانية خسما سوي تكبيرة القيام ـ وهذا اصح اسنادا ـ واوثق رجالا واثبت لفظا لانه جاء بقوله سمعت اخرجه الشافعي في الام ـ
অর্থঃ ইমাম শাফেয়ী (রঃ) বলেন- আমি সুফিয়ান বিন উয়াইনাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন ঃ আমি আতাআ বিন আবু রাবাহকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ বিন আব্বাসকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন- আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি দু’ঈদের সালাতের প্রথম রাকআতে তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত সাত তাকবীর দিয়েছেন এবং দ্বিতীয় রাকআতে দাঁড়ানোর তাকবীর ব্যতীত পাঁচ তাকবীর দিয়েছেন।
এ হাদীসের সনদ অধিক ছহীহ এবং রাবীগণ অধিক নির্ভরযোগ্য এবং অধিক প্রতিষ্ঠিত শব্দে বর্ণিত কেননা এ হাদীস সামিতু (আমি নিজে শুনেছি) শব্দ-দ্বারা এসেছে (কিতাবুল উম, ১ম খন্ড, ২৩৬ পৃঃ)।
اما ا لسهو فى تكبيرات العيد، فهو يتحصيلها فى غير محلها، او بالزيادة فيها، أو بالنقصان عنها، او بتركها، ففى كل ذلك يجب سجود السهو (المحيط البرهانى، كتاب الصلاة، الفصل السابع عشر، سجود السهو-2/313، رقم-1866، التاتارخانية-2/399، رقم-2787، الجوهرة النيرة، كتاب الصلاة، باب سجود السهو-1/92)
সারমর্মঃ-
ঈদের নামাজের তাকবির গুলো স্ব স্ব স্থান ব্যাতিত অন্য স্থানে আদায় করা অথবা বেশি করা অথবা কম করা অথবা ছেড়ে দেয়া প্রত্যেকটি ছুরতেই সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
ولا ياتى الإمام بسجود السهو فى الجمعة والعيدين دفعا للفتنة بكثرة الجماعة (حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح-465، الفتاوى الهندية-1/128)
জুম'আ ও দুই ঈদের নামাজে ইমাম সাহেব সেজদায়ে আদায় করবেনা,জামায়াতের আধিক্যের কারনে ফিতনাহ হতে বাঁচার তাগিদে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ঈদের সালাতে অতিরিক্ত তাকবীর ভুলে না পড়লে তার উপর সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হয়।
সেই হিসেবে প্রশ্নে উল্লেখিত ১ম বার নামাজের ছুরতে দ্বিতীয় রাকাতের অতিরিক্ত তাকবীর না বলায় সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হয়েছিল।
আর ঈদ ও জুমআর নামাযে জামাত যেহেতু বিশাল হয়। যে কারণে সেজদায়ে সাহু দিলে পিছনের মুসল্লিদের মাঝে বিশৃংখলা সৃষ্টির আশংকা হয়, তাই যেহেতু এক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান মতে সাহু সেজদা দেয়ার প্রয়োজন থাকে না,সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ১ম বারের নামাজই শুদ্ধ হয়ে গিয়েছে।