আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
230 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (17 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ,
শাইখ, আমার আর মায়ের বেশ কিছু কাপড় পড়ে আছে। সেগুলো পরা হয় না তেমন। আমার কাপড়গুলা অতিরিক্ত জাঁকজমকপূর্ণ হওয়ার কারণে দ্বীনের পথে আসার পর আর পরি নি এবং কোন অনুষ্ঠানেও সেগুলো পরা হয় না। আর মায়েরগুলো বেশির ভাগই শাড়ি এবং কোন অনুষ্ঠান হলে পরেন, নতুবা পড়ে থাকে।
এগুলোর কি যাকাত আসবে? যাকাত আসলে কি হিসেবে হিসাব করবো? এগুলো যে দাম দিয়ে কেনা হয়েছিল ওই টাকার হিসেবে? বর্তমান মার্কেট প্রাইস তো জানা নেই, এক্ষেত্রে কি করণীয়?

২/ পরিবারের অনেকের ইনকাম সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। মানে তারা হালালভাবে ইনকাম করেন কি না জানা নেই। আবার যারা আপাতদৃষ্টিতে হালাল ইনকাম করেন তারা কেউ সুদ-ঘুষ কিংবা জুলুমের মাধ্যমে নিজেদের ইনকামকে দূষিত করেছেন কি না সেটা বুঝতে পারি না। তবে যারা হারাম ইনকাম করেন+আমি সেটা জানি এবং যাদের ইনকামে ঘুষ বা জুলুমের মিশ্রণ আছে বলে শুনেছি, সেক্ষেত্রে আমি প্রমাণ না পেলেও এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। মূলকথা, আমার সংশয় কাজ করে ফেমিলি মেম্বারদের ইনকাম নিয়ে। এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি?
৩/ আমি ফেমিলিতে এবার ২৩০০ টাকা দিয়েছি আমার খাওয়া খরচ হিসেবে যাতে হালাল খাবারের বাইরে কোন খাবার যদি এমন থাকে যেটা আল্লাহর জ্ঞানে হারাম সেই খাবারের কোন দায় যেন আমার ঘাড়ে না আসে। আল্লাহর যেন সেই খাবারের মূল্য এই টাকা থেকে কেটে নেন -এই নিয়তে। কারণ অনেক আত্মীয় এবার আমাদের জন্য টাকা পাঠিয়েছিলেন। এখন আমি বুঝতে পারছি না, সেগুলো হালাল না হারাম। আমার মা সেখান থেকে খরচও করেছেন। যদিও খাবারের পেছনে এইসব টাকা খরচ করতে উনাকে না করি। তারপরও মাঝে মাঝে উনি করে ফেলেন। এরকমটা উনি প্রায়ই করেন দেখে, আমি আমার নিজের দিক থেকে কিছু হালাল টাকা উনাকে আমার খাওয়া খরচ হিসেবে দিয়ে রাখি যাতে আমার নিজের অজান্তে কোন হারাম কিছু ঢুকে গেলে বা জানি কিন্তু সংশয়পূর্ণ তাহলে যাতে আমার ঘাড়ের উপর না আসে।
শাইখ, এরকম করলে কি আমি হারামের ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারবো? বা আল্লাহ কি এভাবে এটা গ্রহণ করবেন?  যদি এভাবে না হয়, তাহলে আমার করণীয় কি হবে?
৪/ কেউ যদি টাকা বকশিশ দেয় (ঈদে) এবং তার ইনকাম যদি সংশয়পূর্ণ হয় তাহলে আমি সেটা কীভাবে ব্যয় করবো?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কাপড়ের উপর যাকাত ফরয হয় না। শুধুমাত্র স্বর্ণ,রূপা,টাকা,এবং ব্যবসার মালের মধ্যেই যাকাত ফরয হয়।
(২)
فى الفتاوى الهندية- أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن  كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن يعلم بأنه حرام ، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية ، ولا يأكل الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل ، كذا في الينابيع 
যদি এমন কেউ কাউকে কিছু হাদিয়া দেয়,যার অধিকাংশ সম্পত্তি হালাল,তাহলে সেই মালকে গ্রহণ করা নাজায়েয নয়।তবে যদি সে জানতে পারে যে,দাতা হারাম থেকে দিচ্ছে তাহলে এমতাবস্থায় সেটা জায়েয হবে না।আর যদি তার মালের অধিকাংশই হারাম থাকে,তাহলে এমন ব্যক্তির হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না।এমন ব্যক্তির ওখানে আহার করাও যাবে না, যতক্ষণ না সে হালাল খাবারের সংবাদ দিচ্ছে বা এটা বলছে যে,সে ধার করে নিয়ে এসে আহার করাচ্ছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি কারো ব্যাপারে নিশ্চিত না হয় যে, উনার/উনাদের হারাম ইনকাম রয়েছে, তাহলে নিঃসন্দেহে তাদের উপহার গ্রহণ করা যাবে।এতে কোনো সন্দেহ নাই।

(৩)
যদি কারো ব্যাপারে নিশ্চিত না হয় যে, উনার/উনাদের হারাম ইনকাম রয়েছে, তাহলে নিঃসন্দেহে তাদের উপহার গ্রহণ করা যাবে।এতে কোনো সন্দেহ নাই।তবে কারো ব্যাপারে সন্দেহ জাগলে গ্রহণ না করাই উত্তম।

(৪)
কেউ যদি টাকা বকশিশ দেয় (ঈদে) এবং তার ইনকাম যদি সংশয়পূর্ণ হয়, তাহলে সেটা গ্রহণ না করাই উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...