আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
299 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
edited by

আসসালমুআলাইকুম হুজুর,
আমি খুবই ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত মানুষ। চরম ওয়াসওয়াসা। https://ifatwa.info/74130/ এই লিংকের ৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে,
এই রকম ভাবার জন্য ঈমানের বা বৈবাহিক সম্পর্কের কোনো সমস্যা হবেনা।  আর কোনো তালাক ও হবে না । আর বলা হয়েছে নিচের বাক্য গুলো কেনিয়া বাক্য নয়।

হুজুর, আমার খুবই চিন্তা হচ্ছে , সন্দেহ হচ্ছে এই বিষয় নিয়ে তাই একবার পরিষ্কার করতে চাই ওলিউল্লাহ হুজুর,  আমি তাহলে নিশ্চিন্ত হতে পারবো।
বিষয় হলো, আমার স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা কাটা কাটি হচ্ছিলো , আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়ি তে আছে আমি আমার বাড়িতে আছি । আমার ইনকাম খুবই কম তাই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছিলো , দিয়ে স্ত্রী বললো।  "আমি আমার মত থাকবো আমি প্রতিউত্তরে বলেছি ঠিক আছে তুমি তোমার মত থাকো"
হুজুর যখন আমি এই কথা টা বলি তখন আমার কেনিয়া নিয়ে ভয় হয়। তার পর মনে হলো কেনিয়া হয়ে গেলো নাকি ইত্যাদি ভয় হতে লাগলো। তার পর ওয়াসওয়াসা র জন্য মনে হতে লাগলো আমি কি নিয়ত করে বললাম , তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে এই সব চিন্তা হতে লাগলো ।
হুজুর বিষয় হলো,
১.আমার স্ত্রী বলেছে আমি আমার মত থাকবো এই কথা টা আমার স্ত্রী নরমালি রেগে বলেছে আমি তার উত্তরে বলেছি তুমি তোমার মত থাকো।   এইটা বলার পর মনে হচ্ছে,  আমি ভেবেছি যা হবে হউক কেনিয়া হলে হবে , এই ভেবে বলেছি আবার মনে হচ্ছে, না আমি এইসব কিছু না ভেবে এমনি নরমালি কথা টা বলেছি হুজুর এই রকম সন্দেহ হলে কি এক্ষেত্রে  তালাক হবে ?
২.  হুজুর  আমি জানার জন্য জিজ্ঞাসা করছি  , আপনি উত্তরে বলেছেন কোনো ভাবেই তালাক হবে না এটা কেনিয়া বাক্য নয় ( আমি আমার মত থাকবো আমি প্রতিউত্তর এ বলেছি ঠিক আছে তুমি তোমার মত থাকো)। হুজুর যদি আমি মনে মনে তালাকের উদ্দেশে   ,  এই কথা বলে থাকি,  তাহলে  কি তালাক হবে , কারণ আপনি তো বলেছেন এটা কোনো কেনিয়া বাক্য নয় তাহলে কি এক্ষেত্রে তালাক হবে?
৩. আমাদের মধ্যে এমন একটু ঝগড়া হয়েছে , আমার আব্বু মা সুনে আমার বউ এর নামে না না রকমের বকা ঝকা করলো, আব্বা বললো মেয়ের খুব সাহস হয়েছে আমি কথা বলবো হয় এদিক নিয়ে আসব না হয় ওদিক যাবে, মা ও কিছু কুটুক্তি করলো, দিয়ে আমি এইসব সুনে আমি বললাম আমার আর আমার স্ত্রী র মধ্যে আর কোনো ঝামেলা নেই তোমরা চুপ করো। বলে আমি সমস্ত রাগা রাগী ঠিক করে দিয়েছি এর জন্য কি কোনো তালাক বা তালাকের মজলিস হবে?
৪. হুজুর আমার মা শুয়ে ছিল, আমি হটাৎ করে রুম এ গিয়েছি দেখছি মার পা বেরিয়ে মানে হাঁটু র নিচ এ কাপড় , আমি দেখে সঙ্গে সঙ্গে চোখ ফিরিয়ে নি। হুজুর আমি লজ্জাস্থান দেখিনি , সত্যিই দেখিনি। দিয়ে মা কে বললাম মা তুমি ঠিক করে শুয়ে থাকবে , দিয়ে মা আবার হাঁটু বের করে দিয়ে বললো এই রকম দেখলে ব্যাতিক্রম কিছু হয়না। হুজুর আমি লজ্জা স্থান সত্যিই দেখিনি, ওয়াসওয়াসা র কারণে মনে হচ্ছে দেখতে পেয়েছি , কিন্তু আমি সত্যিই দেখিনি এর জন্য কি হুরমত হবে?
৫. আমর লজ্জাস্থান এ হাত  দিচ্ছি , চুলকাচ্ছিল, সঙ্গে সঙ্গে অটোমেটিক আমার প্রিয় নবী সাঃ এর কথা মনে হচ্ছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে আস্তাগিরুল্লাহ পড়ছি এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

৫ .১  আমি একটা ডাক্তার এর কাছে জাই দিয়ে নানা পরামর্শ নিতে। মনে মনে ভাবছিলাম এবার ডাক্তার কে গিয়ে এই এই বলবো বলে মনে মনে ভাবছিলাম , হটাৎ মনে হলো পূজো করবো নউজবিল্লা, আস্তাগিরুল্লাহ । হুজুর মনে মনে হয়েছে মুখে উচ্চরণ করিনি এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
৬. মনে মনে তালাক কথা টা হয়ে যাচ্ছে, দিয়ে হুজুর কিছু খাচ্ছি , বা চিবিয়ে খাচ্ছি তখন দাতে দাঁত লেগে শব্দ হচ্ছে মন হচ্ছে তালাক কথা টা উচ্চরণ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু বাস্তবে উচ্চরণ হচ্ছে না , ঐরকম দাতে দাঁত লেগে শব্দ হচ্ছে এর জন্য কি তালক হবে?
৭. এর আগে একবার তালাক নিয়ে সমস্যা হয়েছিল সেটা আমরা ঠিক করে নিয়েছি । এখন আর কোনো সমস্যা নেই। জাই হউক হুজুর সব বললাম আমার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো হুজুর , আমার স্ত্রী কে আমিখুব ভালোবাসি। খুব চিন্তায় আছি। আপনি বলেছেন কোনো ভাবেই তালাক হবে না , হুজুর  নতুন করে কোনো তালাক হয়নি তাই না হুজুর?আর একটি বার উত্তর দিয়ে সাহায্য করুন ।

৮ . https://ifatwa.info/73513/ হুজুর এই লিংকে বলা হয়েছে হুরমত হবে না । আমাকে একজন বিরক্ত করেছে হুজুর। বলছে হুরমত হবে। হুজুর সে বলছে তোমার মা যদি উত্তেজিত হয় তাহলে ।?? হুজুর আমি আমার মা কে জিজ্ঞাসা করেছি মা উত্তেজিত হয়নি। হুজুর আমার তহ হুরমত হয়নি তাইনা??

৮.১. হুজুর স্পর্শের সময় দুজন উত্তেজিত হয়ে জাই এবং ঘটনা স্থানে যদি ছেলের বীর্যপাত হয়ে জাই। তাহলে কি হুরমত হবে?

৮.২ https://ifatwa.info/43799/ এই লিংকে বলেছেন হুরমত হবে না তাইনা হুজুর? 

৮.৩ https://ifatwa.info/43540/ এই লিংকে ও তহ হুরমত হবে না তাই না হুজুর?? 

Plz উত্তর দিয়েন, আমি খুবই মানসিক রুগী আমার খুব চিন্তা হচ্ছে । Plz একবার বলে দিয়েন যে হুরমত হবে না।

৯. হুজুর আব্বা কে বলছি আব্বা আপনি আর নামাজ ছেড়ে দিয়েন না মানে বাদ দিয়েন না , দিয়ে আব্বা বলছে ঠিক আছে । হুজুর এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ بَرِئْتِ مِنِّي وَبَرِئْتُ مِنْكِ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ بِمَنْزِلَةِ الْبَتَّةِ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ أَوْ بَائِنَةٌ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ لِلْمَرْأَةِ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا وَيُدَيَّنُ فِي الَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا أَوَاحِدَةً أَرَادَ أَمْ ثَلَاثًا فَإِنْ قَالَ وَاحِدَةً أُحْلِفَ عَلَى ذَلِكَ وَكَانَ خَاطِبًا مِنْ الْخُطَّابِ لِأَنَّهُ لَا يُخْلِي الْمَرْأَةَ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا زَوْجُهَا وَلَا يُبِينُهَا وَلَا يُبْرِيهَا إِلَّا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ وَالَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا تُخْلِيهَا وَتُبْرِيهَا وَتُبِينُهَا الْوَاحِدَةُ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ

মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিনি ইবন শিহাব (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, যে ব্যক্তি তাহার স্ত্রীকে বলিলঃ “আমার তোমা হইতে দায়িত্বমুক্ত হইয়াছি। তুমিও আমা হইতে দায়িত্বমুক্ত।” ইহা দ্বারা তালাকাই আল-বাত্তা-এর মতো তিন তালাক প্রযোজ্য হইবে।

যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে বলিলঃ (أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ) “তুমি দায়মুক্ত” (أَنْتِ بَائِنَةٌ) “তুমি আমা হইতে পৃথক।” মালিক (রহঃ) বলেনঃ সে স্ত্রী যাহার সঙ্গে সহবাস করা হইয়াছে এইরূপ হইলে তবে তাহার স্বামীর উপরিউক্ত বাক্যগুলির দ্বারা তাহার উপর তিন তালাক বর্তাইবে। আর যদি সেই স্ত্রী এমন হয় যাহার সহিত সহবাস করা হয়নি, তবে ধর্মত স্বামীকে বিশ্বাস করা হইবে এবং তাহার নিকট জিজ্ঞাসা করা হইবে-সে উপরিউক্ত বাক্যগুলি দ্বারা এক তালাক উদ্দেশ্য করিয়াছে, না তিন তালাক। যদি সে এক তালাক উদ্দেশ্য করিয়াছে বলিয়া প্রকাশ করে তাহা হইলে এই বিষয়ে সেই ব্যক্তিকে হলফ দেওয়া হইবে। (যেহেতু স্বামীর উক্তির দ্বারা স্ত্রীর প্রতি এক তালাক বায়েন প্রযোজ্য হইয়াছে, তাই পুনর্বিবাহ ছাড়া স্বামী সেই স্ত্রীকে গ্রহণ করিতে পারবে না) তাই সে বিবাহের প্রস্তাবকারী হিসাবে অন্য লোকদের মতো একজন বলিয়া পণ্য হইবে। ইহার কারণ এই যে, যে স্ত্রীর সহিত সঙ্গম করা হইয়াছে সেই স্ত্রী তিন তালাক ছাড়া দায়িত্বমুক্ত বা স্বামী হইতে পৃথক হইবে না। আর যাহার সহিত সঙ্গম হয় নাই সেই স্ত্রী এক তালাক দ্বারা দায়িত্বমুক্ত ও পৃথক হইয়া যায়।

মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ এ বিষয়ে যাহা আমি শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই আমার নিকট উত্তম।
(মুয়াত্তা মালিক ১১৬৫)

ফাতওয়ার কিতাবে আছেঃ 

وَالضَّرْبُ الثَّانِي: الْکِنَايَاتُ، وَلاَيَقَعُ بهَا الطلاَقُ إلاَّبِنِيَةٍ، اَوْ دَلالَةٍ حَالٍ. وَهِيَ عَلَی ضَرْبَيْنِ: مَنْها ثَلاَثَةُ اَلْفَاظٍ يَقَعُ بهَا الطّلاقُ الرَّجْعِيُّ،وَلاَيَقَعُ بهَا إِلا وَاحَدَةٌ، وَهِيَ قَوْلُهُ: اعْتَدِّي، وَاسْتَبْرِئِي رَحِمَکِ، وَاَنْتِ وَاحِدَةٌ، وَبَقِيَةُ الْکِنَايَاتِ إِذا نَوَی بهَا الطلاَقَ کَانَتْ وَاحِدَةً بَائِنَةً، وَإِنْ نَوَی بِهَا ثَلاَثاً کَانَتْ ثَلاَثاً، وَإِنْ نَوَی اثْنَتَيْنِ کَانَتْ وَاحِدَةً، وَهَذَا مِثْلُ قَوْلِهِ: اَنْتِ بَائِنٌ، وَبَتَّةٌ، وَبَتْلَةٌ، وَحَرَامٌ، وَحَبْلُکِ عَلَی غَارِبِکِ، وَالْحَقی بِاَهْلِک، وَخَلِيَةٌ، وَبَرِيّةٌ، وَوَهَبْتُکِ لاهْلِکِ، وَسَرَّحْتُکِ، وَاخْتَارِيْ، وَفارَقْتُکِ، وَاَنْتِ حُرَّةٌ، وَتَقَنَّعِي، وَتَخَمَّرِي، وَاسْتَتِرِيْ، وَاغْرُبِيْ، وَابْتَغِي الاَزْوَاجَ، فَإِنْ لَمْ يَکُنْ لَهُ نِيَةٌ لَمْ يَقَعْ بِهٰذِهِ الاَلْفَاظِ طَلاَقٌ؛ إِلا اَنْ يَکُوْنَا فِيْ مُذَاکَرَةِ الطّلاَقِ؛ فَيَقَعُ بِهَا الطّلاَقُ فِيْ الْقَضَاءِ، وَلاَيَقَعُ فِيْمَابَيْنَةُ وَبَيْنَ اﷲِ تَعَالَی إِلاَّ اَنْ يَنْوِيَهُ، وَإِنْ لَمْ يَکُوْنَا فِيْ مَذَاکَرَةِ الطّلاَقِ، وَکَانافِيْ غَضَبٍ اَوْ خُصُوْمَةٍ، وَقَعَ الطّلاَقُ بِکُلِّ لَفْظٍ لاَ يُقْصَدُ بِهِ السَّبُّ وَالشَّتِيْمَةُ، وَلَمْ يَقَعْ بِمَا يُقْصَدُبِهِ السَّبُّ وَالشَّتِيْمَةُ إِلاَّ اَنْ يَنْوِيَةُ.
احمد بن محمد البغدادي المعروف بالقدوري، مختصر القدوري: 363. 364، موسسة الريان للطباعة والنشر والتوزيع، بيروت
برهان الدين علي المرغيناني، الهداية شرح البداية، 1: 241، المکتبة الاسلامية

সারমর্মঃ  
২য় প্রকার,কেনায়া বাক্য।
এর দ্বারা তালাক হবেনা,কিন্তু তালাকের নিয়ত অথবা অবস্থার ভিত্তিতে তালাক হবে। কেনায়া বাক্য দুই প্রকার। এর মধ্যে তিনটি শব্দ এমন আছে, যার দ্বারা  তালাকে রজয়ী পতিত হয়। 
সেগুলো হলোঃ- তুমি ইদ্দত পালন করো,তুমি তোমার গর্ভাশয় মুক্ত করো,তুমি এক।

আর কেনায়া তালাকের অন্যান্য শব্দ,যেক্ষেত্রে তালাকের নিয়ত করলে বায়েন তালাক হয়। তিন তালাকের নিয়ত করলে তিন তালাক পতিত হয়। 
যদি দুই তালাকের নিয়ত করে,সেক্ষেত্রে এক তালাক পতিত হয়।
যেমনঃ- তুমি বিচ্ছিন্ন, তুমি সম্পর্ক মুক্ত,তুমি ভিন্ন,তুমি হারাম,তুমি শুণ্য,তুমি মুক্ত,তোমার রশি তোমার কাঁধে,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হও,আমি তোমাকে তোমার পরিবারের জন্য হেবা-দান করলাম,আমি তোমাকে মুক্ত করে দিলাম,আমি তোমাকে বিচ্ছিন্ন করে দিলাম,তোমার বিষয় তোমার হাতে,তুমি আযাদ,তুমি ঘোমটা পড়,তুমি ওড়না দ্বারা নিজেকে আবৃত করো,তুমি আড়াল হও (পর্দা করো), তুমি বিদূরিত হও, তুমি বের হয়ে যাও,তুমি চলে যাও,তুমি দন্ডায়মান হও (দাঁড়িয়ে যাও), তুমি অন্য স্বামী খুজো।
স্বামীর যদি এখানে নিয়ত না থাকে,তাহলে এ সব বাক্য দ্বারা তালাক হবেনা। তবে মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে হলে কাযা'আন তালাক হবে। দিয়ানাতান তালাক হবেনা।
(কুদুরী ৩৬৩.৩৬৪. হেদায়া শরহুল বিদায়াহ ১/২৪১,শরহে বিকায়াহ ২/৭৭)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

এই রকম সন্দেহ হলেও এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে কোনো তালাক বা তালাকের মজলিস হবেনা।

(০৪)
এর জন্য হুরমত হবেনা।

(০৫)
এর জন্য ঈমান চলে যাবেনা।

৫.১
এর জন্য ঈমান চলে যাবেনা।

(০৬)
এর জন্য তালাক হবেনা। 

(০৭)
তালাক হয়নি।

(০৮)
হুরমত হয়নি।

৮.১
তাহলে হুরমত হবে।

৮.২
এক্ষেত্রে হুরমত হবেনা।

৮.৩
এক্ষেত্রেও হুরমত হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...