আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in পবিত্রতা (Purity) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম

১.গত মাসে হায়েজের তারিখ ছিল ১৪ মার্চ আর অবস্থান কাল  ছিল আট দিন  । এই মাসে  শুক্রবার   ৭ এপ্রিল   হালকা হলুদ স্রাব  দেখা যায় ভোর এবং বিকেলের দিকে। এরপর শনিবার রবিবার  বুধবার এবং বৃহস্পতিবার স্রাব  নির্গত   হয় যার রং নিয়ে আমি নিশ্চিত নই সাদা নাকি হলুদ। আজ শুক্রবার  রাত 2 টার পর  স্পষ্ট হলুদ স্রাব দেখা যায়। আবার রবিবার রাতে  হলুদ স্রাব দেখা যায় এবং আজকে সোমবার জোহরের ওয়াক্ত দেখা যায়।  এখন আমি এটাকে কি হায়েজ হিসেবে ধরে নিব নাকি ইজতেহাজা ধরবো। উল্লেখ্য যে আমার কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে  ওষুধ খেতে হয় যা মূলত হায়েজ বন্ধ রাখার উদ্দেশ্যে দেওয়া। ওষুধ খাওয়ার পরও কখনো কখনো রক্ত নির্গত হয়ে যায় এবং আবার কখনো লাল কালো বাদামি এ ধরনের স্রাবও নির্গত হয়।

২.যখন এইরকম স্রাবের রং নিয়ে সন্দেহ হবে সেটাকে কি ধরে নেব  হলুদ নাকি সাদা?

1 Answer

0 votes
by (714,080 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474

(وَمِنْهَا) النِّصَابُ أَقَلُّ الْحَيْضِ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ وَثَلَاثُ لَيَالٍ فِي ظَاهِرِ الرِّوَايَةِ. هَكَذَا فِي التَّبْيِينِ وَأَكْثَرُهُ عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَلَيَالِيهَا. كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ.
হায়েযের সর্বনিম্ন মেয়াদ ৩ দিন ৩ রাত। তিন দিনের কম রক্তস্রাব হলে সেটা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে না। হায়েযের সর্বোচ্ছ মেয়াদ ১০ দিন১০ রাত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
২২ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিন অতিবাহিত হয়েছে, যদি ঐ স্রাব তিনদিন তিনরাত স্থায়ী না থাকে, তাহলে এটা ইস্তেহাযা হবে। আর যদি এই রক্তস্রাব স্থায়ী হয়, তাহলে এটাকে হায়েয গণনা করা হবে।

(২)
হায়েযের রক্তের রং নিয়ে সন্দেহ হলে, পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যেদিকে মন বেশী সায় দিবে, সেটাকেই গ্রহণ করে নিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,080 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...