শরয়ী প্রয়োজন ব্যতীত ফটো-ভাস্কর্য ও স্থীর ছবি হারাম।সকল প্রকার হারাম থেকে খালি রাখার শর্তে বৈধ উদ্দেশ্যে ভিডিওর অনুমোদন রয়েছে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-২২৫৩
সরাসরি যেভাবে মুর্তি দেখা হারাম নয়,ঠিক সেভাবে কার্টুন ভিডিওতে মুর্তিগুলো দেখা হারাম না হওয়ারই কথা।
যেহেতু ইংরেজী/হিন্দি কার্টুন মুভি গুলোতে ঈমান আকাঈদ বিধ্বংসী অনেক কিছু থাকে বা থাকার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।তাছাড়া নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মিউজিক ইত্যাদি হারাম জিনিষের উপস্থিতির দরুণ কার্টুন মুভিগুলো ও নাজায়েয ও হারাম হবে।ইংরেজী শেখার আরো অনেক মাধ্যম রয়েছে।সে মাধ্যম গুলোর অনুসরণ করেই ইংরেজী শিখা উচিৎ।যদি ইংরেজী লেহজায় কথাবার্তা শুনার এছাড়া আর কোনো রাস্তা না থাকে,এবং ইংরেজী লেহজায় কথাবার্তা শেখার একমাত্র উদ্দেশ্য দ্বীনের দাওয়াহ হয়,তাহলে ঈমান আকিদাকে বিশুদ্ধ রেখে ইস্তেগফারের সাথে ঐ কথাগুলো শুনা যেতে পারে।তবে দেখা যাবে না।যদি না দেখলে পুরোপুরি বুঝা না যায় তখন দেখাও যেতে পারে।
নারী-পুরুষের ফ্রি মিক্সিং পরিবেশ ব্যতীত এবং অন্যন্য হারাম জিনিষ থেকে মুক্ত ইসলামিক ইতিহাস নিয়ে রচিত কোনো কার্টুন থাকলে শিক্ষার প্রয়োজনে শিশুদের জন্য অনুমোদন কিছুসংখ্যক ফুকাহায়ে কেরাম দিয়ে থাকেন।এমন কার্টুন প্রয়োজনে বড়রাও মাঝেমধ্যে দেখতে পারবে।তবে সব সময় আবার দেখতে পারবে না।কেননা এতে সময়ের অপচয় হবে।
হাদীসে এসেছে,ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا تَزُولُ قَدَمُ ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ : عَنْ عُمُرِهِ فِيمَ أَفْنَاهُ ، وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَ أَبْلَاهُ ، وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ )
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।
(সুনানু তিরমিযি-২৪১৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
অ্যানিমেশন কার্টুনের নারী চরিত্রের দিকে তাকালে অবশ্যই নজরের খেয়ানত হবে।
(২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
قال النبي : { ما تركت بعدي فتنة أضر على الرجال من النساء } [متفق عليه]
আমি পুরুষের জন্য মহিলা থেকে ক্ষতিকারক ফিতনা আর কিছু রেখে যাচ্ছি না।
রাসূলুল্লাহ সাঃ আরো বলেন,
{... فاتقوا. الدنيا واتقوا النساء، فإن أول فتنة بني إسرائيل كانت في النساء } [رواه مسلم].
দুনিয়াকে ভয় করো এবং মহিলাদেরকে ভয় করো।কেননা প্রথম ফিতনা যা বনি ঈসরাঈলে হয়েছিলো,সেটা মহিলা দ্বারাই সংগঠিত হয়েছিলো।
জারীর ইবনে আব্দিল্লাহ রাযি বলেন,
عن جرير بن عبدالله قال: { سألت رسول الله صلى عليه وسلم عن نظرة الفجاءة فأمرني أن أصرف بصري } [رواه مسلم].
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে হঠাৎ মহিলার দিকে দৃষ্টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,আমি যেন দৃষ্টিকে ফিরিয়ে নেই।
وقال عليه الصلاة والسلام. { يا علي، لا تتبع النظرة النظرة؟ فإن لك الأولى، وليست لك الآخرة } [رواه الترمذي وأبو داود وحسنه الألباني]
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,হে আলী তুমি বারংবার দৃষ্টি দিবে না।তুমি শুধুমাত্র প্রথম বার দৃষ্টি দিতে পারবে।পরের বার আর পারবে না।
{ العينان تزنيان، وزناهما النظر } [متفق عليه]
চক্ষু যিনা করে,চক্ষুর যিনা হল,মহিলার দিকে দৃষ্টি দেয়া।
নজরের খেয়ানতের বড় পাঁচটি কু-ফল
(১)
অন্তর ফাসিদ হয়ে যায়।
(২)ইলম ভুলে যাওয়া
(৩)
মসিবত চলে আসা
(৪)
আ'মল বাতিল হয়ে যাওয়া
(৫)
আল্লাহ এবং আখেরাত সম্পর্কে গাফলতি চলে আসা