ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
◼️আপনি যেই কক্ষে ইতিকাফ করবেন, সেই কক্ষের সকল কিছুই ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে।
যেমন, পড়ার টেবিল, বুক শেলফ।
◼️জ্বী, আপনি সুবিধামত সুইচবোর্ডের কাছে গিয়ে লাইট ফ্যান ব্যবহার করতে পারবেন। এবং আপনি কক্ষে হেঁটে হেঁটে যিকির আযকার করা অথবা এমনিতেই একটু হাঁটতে পারবেন।তবে রুমের বাহরে গেলেই ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে।
আপনার ভাই কক্ষে পানি দিয়ে যায়, আলহামদুলিল্লাহ্। তিনি যদি রুমের ভিতরেই তবে আপনার থেকে কিছু দূরে পানি রেখে যান। তাহলে এক্ষেত্রে আপনি পানি নিয়ে আসতে পারবেন।
◼️ যেহেতু আপনি সম্পূর্ণ স্থানকেই ইতিকাফ স্থান হিসেবে ধরে নিয়েছেন, তাই আপনার ইতিকাফ ফাসিদ হবে না।
◼️বাথরুম ব্যতিত রুমে কাপড় বদলানোর সুযোগ থাকলে আপনি রুমেই কাপড় বদলাবেন।অযথা বাথরুমে কালক্ষেপ করলে, ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে।
◼️জ্বী,আপনি আপনার সাথে কিছু শুকনো খাবার রাখতে পারবেন এবং রাত জেগে ইবাদাত করার সময় ক্ষুধা লাগলে বা কিছু খেতে ইচ্ছা করলে, সেগুলো খেতে পারবেন।
◼️জ্বী, প্রয়োজনে ম্যাসেজ করা যাবে। যেমন দ্বীনি বিষয়ের হোমওয়ার্ক জমা দেওয়া।
◼️পরিবারের সদস্যরা যদি নির্দিষ্ট সময়ে আপনার কক্ষে আসে এবং তা'লিমের আলোচনা শুনে চলে যায়,তাহলে এতেকরো আপনার ইতেকাফ ফাসিদ হবে না।