ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
وَالْمَرْأَةُ تَعْتَكِفُ فِي مَسْجِدِ بَيْتِهَا إذَا اعْتَكَفَتْ فِي مَسْجِدِ بَيْتِهَا فَتِلْكَ الْبُقْعَةُ فِي حَقِّهَا كَمَسْجِدِ الْجَمَاعَةِ فِي حَقِّ الرَّجُلِ لَا تَخْرُجُ مِنْهُ إلَّا لِحَاجَةِ الْإِنْسَانِ كَذَا فِي شَرْحِ الْمَبْسُوطِ لِلْإِمَامِ السَّرَخْسِي
মহিলা চাইলে রমজানের শেষ দশে এ'তেকাফে বসতে পারবে।যখন সে তার ঘরের মসজিদে এ'তেকাফে বসে যাবে,তখন এই জায়গা তার জন্য মসজিদের সমতুল্য হয়ে যাবে,যেভাবে পুরুষদের জন্য জামে মসজিদ রয়েছে।সে প্রাকৃতিক প্রয়োজন ব্যতীত ঐ জায়গা থেকে আর বের হতে পারবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২১১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঐ পৃথক রুমে ফ্যানের ব্যবস্থা করে নেয়াই সর্বোত্তম। হ্যা, আপনি যে রুমে ইতিকাফ করতে চাচ্ছেন, সেই রুমে স্বামী থাকতে পারবেন।তবে বেহুদা কোনো গল্পগুজব বা অনর্থক কাজ বা অন্তরঙ্গতা করা যাবে না।
(২)
ইতিকাফের জন্য মসজিদ হওয়া শর্ত।মসজিদ ব্যতিত ইতিকাফ করা যাবে না।সুতরাং চলন্ত বাহনে ইতিকাফ করা যাবে না।
(৩)
বিশেষ প্রয়োজনে দাড়িয়ে প্রস্রাবের অনুমোদন রয়েছে। তবে অফিসের প্যান্ট জরুরতের আওতাধীন নয়, সুতরাং বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যান্ত জরুরী।
(৪)
নামায পরবর্তীতে চেক করবেন, চেক করে যদি কিছুই না পাওয়া যায়, তাহলে নামাযকে শুধুমাত্র সন্দেহের কারনে ফাসিদ বলা যাবে না।
(৫)
প্রথমে বৈঠকে তাশাহুদের পর দুরূদ শরীফ পড়ালে, যদি ইমামের সাথে পড়ার সময় হয়, তাহলে উক্ত মুক্তাদির উপর সাহু সিজদা আসবে না। একা একা পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।