আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
279 views
in সালাত(Prayer) by (49 points)

আসসালামু আলাইকুম  

 

১) নামাজে সূরা শুদ্ধ করে তিলাওয়াত না করতে পারলে কি নামায বাতিল হয়ে যায়?  যদি সে  শুদ্ধ করে তিলাওয়াত না করতে জানে তবুও? 


 

২) নামাজে রুকু-সেজদায় তাসবিহ শুদ্ধ করে উচ্চারণ করতে পারলে কি নামায বাতিল হয়ে যায়? যদি সে  শুদ্ধ করে উচ্চারণ  না করতে জানে তবুও?

 

৩) নামাজে রুকু-সেজদায় তাসবিহ পাঠের ক্ষেত্রে আমি শুনেছি বিজোড় সংখ্যায় পড়লে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। এ কথা কি সত্য?

 

৪) কেউ যদি রুকু-সেজদায় তাসবিহ পাঠের ক্ষেত্রে কোন কারণে সবসময় জোড় সংখ্যা অবলম্বন করে তাহলে কী আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন?

 

৫) রোজা থাকাকালীন অবস্থায় একদিন ঢেকুর উঠে আমার গলা পর্যন্ত মানে গলার একদম শেষ ভাগে খাবার উঠে এসে পড়ে আর অভ্যাশবশত তখন আমি তা গিলে ফেলি (এটা ১-২ সেকেন্ডে হয়েছে)। তখন রোজার কথা আমার স্মরণ ছিল না। পরে রোজার কথা মনে পড়ে। এতে কি আমার ঐ দিনের রোজা ভেঙ্গে গিয়েছে?


৬) ওজু অবস্থায় কোনো কিছু খেলে কি তিনবার গড়গড়াসহ কুলি করতে হয়?

 

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
 ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ " 
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪) 
va
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) নামাজে শুদ্ধ করে সূরা তিলাওয়াত করতে না পারলে যেভাবেই সম্ভব নামাযকে পড়ে নিতে হবে, নতুবা সালাত বাতিল হয়ে যাবে।  

(২) নামাজে রুকু-সেজদায় তাসবিহ শুদ্ধ করে উচ্চারণ করতে পারলে নামায বাতিল হবে না। যদি সে শুদ্ধ করে উচ্চারণ  না করতে জানে তবুও নামায ফাসিদ হবে না।তার উচিৎ, অতিসত্তর! এই সবকিছু শিখে নেওয়া ঐ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব।
 
(৩) নামাজে রুকু-সেজদায় তাসবিহ পাঠের ক্ষেত্রে বিজোড় সংখ্যায় হওয়া মুস্তাহাব।তব সেটাকে জোড় সংখ্যায় পড়া নাজায়েয হবে না।
 
(৪) কেউ যদি রুকু-সেজদায় তাসবিহ পাঠের ক্ষেত্রে কোন কারণে সবসময় জোড় সংখ্যা অবলম্বন করে, তাহলে তাতে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হবেন না।তবে যদি আল্লাজকে অসন্তুষ্ট করার নিমিত্বেই কেউ এভাবে জোড় সংখ্যায় পড়ে, তাহলে এটা কখনো জায়েয হবে না।
 
(৫) রোজা থাকাকালীন অবস্থায় ঢেকুর উঠে গলা পর্যন্ত এসে এবং গিলে ফেলা হয়, তখন রোজার কথা  স্মরণে না থাকে,তাহলে রোজা ফাসিদ হবে না। 

(৬) ওজু অবস্থায় কোনো কিছু খেলে তিনবার গড়গড়াসহ কুলি করা মুস্তাহাব হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 175 views
...