ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ "
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪)
va
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) নামাজে শুদ্ধ করে সূরা তিলাওয়াত করতে না পারলে যেভাবেই সম্ভব নামাযকে পড়ে নিতে হবে, নতুবা সালাত বাতিল হয়ে যাবে।
(২) নামাজে রুকু-সেজদায় তাসবিহ শুদ্ধ করে উচ্চারণ করতে পারলে নামায বাতিল হবে না। যদি সে শুদ্ধ করে উচ্চারণ না করতে জানে তবুও নামায ফাসিদ হবে না।তার উচিৎ, অতিসত্তর! এই সবকিছু শিখে নেওয়া ঐ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব।
(৩) নামাজে রুকু-সেজদায় তাসবিহ পাঠের ক্ষেত্রে বিজোড় সংখ্যায় হওয়া মুস্তাহাব।তব সেটাকে জোড় সংখ্যায় পড়া নাজায়েয হবে না।
(৪) কেউ যদি রুকু-সেজদায় তাসবিহ পাঠের ক্ষেত্রে কোন কারণে সবসময় জোড় সংখ্যা অবলম্বন করে, তাহলে তাতে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হবেন না।তবে যদি আল্লাজকে অসন্তুষ্ট করার নিমিত্বেই কেউ এভাবে জোড় সংখ্যায় পড়ে, তাহলে এটা কখনো জায়েয হবে না।
(৫) রোজা থাকাকালীন অবস্থায় ঢেকুর উঠে গলা পর্যন্ত এসে এবং গিলে ফেলা হয়, তখন রোজার কথা স্মরণে না থাকে,তাহলে রোজা ফাসিদ হবে না।
(৬) ওজু অবস্থায় কোনো কিছু খেলে তিনবার গড়গড়াসহ কুলি করা মুস্তাহাব হয়।