আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
260 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (39 points)
কিছুদিন আগে আমার মনে হচ্ছিল আমার ইমান দুর্বল হয়ে যাচ্ছে এবং আমার অন্তর আমার control  এ নাই।যখন যা ইচ্ছা মনে আসে। যা চাইনা তা ই বেশি আসত মনে। এমন হয়ে গেছিল যে আমি এক দিকে আর আমার মন এক দিকে। উলটা পালটা চিন্তা ভাবনা আর কথা মনে আসত।তখন হঠাত একদিন আমি আমার স্বামী কে ভাই বলে ফেলি। তখন মনে হচ্ছিল যে আমার স্বামী আমার জন্য হারাম হয়ে গেছে। এরপর থেকে প্রতিদিন প্রতি মুহুর্ত আমার মনে এই কথা বার বার আসত যে উনি হারাম হয়ে গেছে। কিন্তু আমি এটা ভুলেও মনে আনতে চাই না যে উনি হারাম।আমি হাযার চেষ্টা করেও মন থেকে এসব কথা বাদ দিতে পারতাম না। তখন বার বার বাবার সাথে তুলনা করে ফেলতাম মনের অজান্তেই যে উনি আমার বাবার মত। আবার বাবার পিঠের সাথে তুলনা করার কথা টা মাথায় ঘুরত। মাঝে মাঝে এটাও বলে ফেলতাম। আবার উনাকে আমার স্বামী বলার সময় মনে এসে পরত মেয়ের জামাই। তখন নিজে নিজেই বলতান যে উনি কিভাবে মেয়ের জামাই হবে।। নিজেকে বুঝানোর চেষ্টা করতাম কিন্তু মনটা আমার control এ ছিল না।বার বার এসব মাথায় আসত। অনেক সময় মুখে বলেও নিজেকে বুঝাইতে চেষ্টা করছি যে যা ভাবনা আসছে মনে তা গুনাহ। অনেক সময় আমার অজানায় ই দেখা গেছে মুখে উচ্চারন করে ভুলে উনাকে বাবার সাথে তুলনা করে ফেলেছি। আর এমনিতে কয়েকবার আমার মনে হচ্ছে মুখেও উনাকে ভাই বলে ফেলেছি আর বাবার সাথে তুলনা করে ফেলেছি। অনেকটা ঝামেলা তেই আছি শায়খ। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে
১.আমার কি যেহার হয়েছ??
২।.যদি যেহার হয়ে থাকে তাহলে তো অনেকবার হইছে। এত বার এর কাফফারা কিভাবে দিব?  কেননা আমি জানিনা কয়বার যেহার হইছে?

 ৩.এমন খারাপ অবস্থা থেকে কিভাবে বেঁচে থাকব যাতে আর যেহার না হয়?

 ৪.এমন অবস্থা থেকে বেঁচে থাকার জন্য কি আমাওল করব? যাতে আমার নফস আমার control এ থাকে?
শায়খ একটু ভালোভাবে বিস্তারিত বুঝিয়ে বললে আমার খুব সুবিধা হবে। কেননা এই পরিস্থিতি আর নিতে পারছি না আর স্বামীর থেকে ও দূরে থাকা লাগছে

1 Answer

0 votes
by (707,240 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
كفارة الفطر، وكفارة الظهار واحدة ، وهي عتق رقبة مؤمنة أو كافرة فإن لم يقدر على العتق فعليه صيام شهرين متتابعين، وإن لم يستطع فعليه إطعام ستين مسكينا كل مسكين صاعا من تمر أو شعير أو نصف صاع من حنطة
রোযা এবং যিহার উভয়ের কাফ্ফারা একিই।
তা এই যে,
একটা গোলাম আযাদ করা চায় গোলাম ঈমানদ্বার হোক বা কাফির হোক।যদি গেলাম আযাদ করা অসম্ভব হয়,তাহলে লাগাতার দুই মাস রোযা রাখতে হবে। যদি রোযা রাখাও অসম্ভব হয়, তাহলে ষাটজন মিসকিন খাওয়াতে হবে। প্রত্যেক মিসকিনকে যব বা কিসমিস হলে এক সা' আর গম হলে অর্ধেক সা' করে দিতে হবে।{ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২১৫}বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/102

স্বামী স্ত্রী পরস্পর পরস্পরকে ভাই বোন ডাকলে যিহার হবে না।এবং পরস্পর পরস্পরের জন্য হারামও হবে না।তবে এমনটা মাকরুহ হবে।
ويكره قوله أنت أمي ويا ابنتي ويا أختي ونحوه

(রদ্দুল মুহতার-৩/৪৭০)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
মহিলা কর্তৃক যিহার হয় না।যিহার শুধুমাত্র পুরুষ কর্তৃক হয়ে থাকে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-

তাছাড়া আপনি আপনার স্বামীকে একবার ভাই বলেছেন।এদ্ধারা যিহার হবে না।এবং মনের চিন্তায় কয়েকবার বাবার সাথে তুলনা বা মেয়ের জামাই মনে করা,এসব যদি মুখ দ্বারা উচ্ছারণ করতেন,এবং নিজ কান দ্বারা শ্রবণ করতেন,তাহলে একটা কথা ছিলো।

সুতরাং যিহার হয়নি,এবং আপনার উপর কাফফারাও আসবে না।তবে স্বামীকে ভাই বলা মাকরুহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (39 points)
শায়খ, আমি আমার স্বামী কে মুখে ভাই বলেছি। তো তখন মনে হচ্ছিল যে উনি হারাম হয়ে গেছেন।আবার বাবার সাথেও তুলনা করে ফেলেছি তাও মুখে বলে। তো এইটার ক্ষেত্রে কি যেহার হবে?
by (707,240 points)
না যিহার হবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...