আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
reshown by
১.আমি এক জায়গা থেকে টিউশন নেই। সেখানে প্রথম মাসের সেলারি এর ৬০% পরিশোধ করতে হয়। তো প্রথম যেটা নেই সেটা ৩৫০০ টাকা এর ছিলো যার ৬০% আসে ২১০০ টাকা। তাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত লেখা থাকে যে প্রথম মাসের জন্য স্যালারিটা অভিভাবক এত দিবেন। তারা ওইটার ৬০%ই হিসাব করে।

এখন আমি পরবর্তীতে প্রথম মাসেই টিউশন এর সেলারিটা কম হওয়ায় অভিভাবক এর সাথে কথা বলে ৫০০ টাকা বাড়াই। যেটা যারা টিউশন দিয়েছে তারা জানে না।
আর ওয়েবসাইটে যেহেতু ৩৫০০ই লেখা ছিল।তো আমি ৩৫০০ এর ৬০% ই পরিশোধ করি।
এখন আমাকে কি বাকি ৫০০ টাকার জন্যও পার্সেন্টেজ দিতে হবে?

২.নামাজের সময় পরিহিত হিজাব যদি এমন হয় যে ব্যাক্তি আলোর সামনে গেলে বা একটু খেয়াল করলে ভিতরে হাত মাথা এর আকৃতি বুঝা যায়, কিন্তু স্পষ্ট দেখা যায়না। মানে কাপড়টা একটু পাতলা বা ছাড়া ছাড়া।

আর মাথার দিক দিয়ে কালো বুঝা যায় কিন্তু চুল দেখা যায় না।

এতে কি নামাজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
حدثنا الحسن بن علي الخلال حدثنا أبو عامر العقدي حدثنا كثير بن عبد الله بن عمرو بن عوف المزني عن أبيه عن جده أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الصلح جائز بين المسلمين إلا صلحا حرم حلالا أو أحل حراما والمسلمون على شروطهم إلا شرطا حرم حلالا أو أحل حراما قال أبو عيسى هذا حديث حسن صحيح
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলমানদের একে অপরের সাথে সন্ধি স্থাপন করা জায়িয। কিন্তু বৈধকে অবৈধ অথবা অবৈধকে বৈধ করার মত সন্ধি চুক্তি জায়িয নেই। মুসলমানগণ তাদের একে অপরের মধ্যে স্থিরকৃত শর্তাবলী মেনে চলতে বাধ্য। কিন্তু হালালকে হারাম অথবা হারামকে হালাল করার মত শর্ত বৈধ নয় (তা বাতিল বলে গণ্য হবে)।(জা'মে তিরমিযি-১৩৫২, পৃষ্টা-৪৮৭, সুনানু ইবনু মা'জাহ-২৩৫৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যাদের দ্বারা টিউশনি নিয়েছেন, তাদের উদ্দেশ্য সাধারণত এটাই থাকে যে, তারা যা নির্ধারণ করবে, এর ৬০% আপনি তাদেরকে দিবেন। সুতরাং পরবর্তীতে আপনি যে আবেদন করে বাড়িয়েছেন, এই টাকার ৬০% তাদেরকে দিতে হবে না।

(২)
وَقَدْ أَجْمَعَ الْفُقَهَاءُ عَلَى فَسَادِ صَلاَةِ مَنْ تَرَكَ ثَوْبَهُ وَهُوَ قَادِرٌ عَلَى الاِسْتِتَارِ بِهِ وَصَلَّى عُرْيَانًا. وَيُشْتَرَطُ فِي السَّاتِرِ أَنَّهُ يَمْنَعُ إِدْرَاكَ لَوْنِ الْبَشَرَةِ.
সমস্ত উলামায়ে কেরাম এ কথা উপর একমত যে, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকার পরও সতরকে ঢাকবে না,বরং সে ব্যক্তি উলঙ্গ হয়ে নামায পড়বে, তার নামাযই হবে না। 
সতরের কাপড়ের জন্য শর্ত হল যে, শরীরের রংকে প্রকাশ হতে বাধা প্রদাণ করবে। (আল মমাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২৪/১৭৫)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/54218

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে বর্ণিত কাপড় দ্বারা নামায ফাসিদ হবে না।বরং নামায আদায় হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
 সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 336 views
...