আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
285 views
in সালাত(Prayer) by (2 points)
১)মেয়েরা কি নামাজের ইকামত দিতে পারে একাকী সালাত আদায়ের সময়?

২) প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহার পরে অন্য সূরা মিলানোর পরে  যদি সবসময় সূরা ইখলাস পাঠ করা হয় তাহলে কি নামাজের কোন ক্ষতি হবে?

1 Answer

+1 vote
by (713,800 points)

বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-

চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " রয়েছে,

اتفق الفقهاء على عدم جواز أذان المرأة وإقامتها لجماعة الرجال، لأن الأذان في الأصل للإعلام، ولا يشرع لها ذلك، والأذان يشرع له رفع الصوت، ولا يشرع لها رفع الصوت، ومن لا يشرع في حقه الأذان لا يشرع في حقه الإقامة.

وأما إذا كانت منفردة أو في جماعة النساء ففيه اتجاهات. الأول: الاستحباب. وهو قول المالكية والشافعية، وهي رواية عند الحنابلة. الثاني: الإباحة. وهي رواية عن أحمد. الثالث: الكراهة. وهو قول الحنفية.

সমস্ত ফুকাহায়ে কেরাম এ কথার উপর একমত যে,পুরুষের জামাতের জন্য মহিলাদের আযান-ইকামত জায়েয হবে না।কেননা আযানের মূল উদ্দেশ্য হল,নামায সম্পর্কে লোকদিগকে অবগত করা।অথচ মহিলাদের জন্য আওয়াজ উচু করার অনুমোদন নেই।আর আযানকে উচ্ছস্বরে দিতে হবে।সুতরাং যার জন্য উচ্ছস্বরে কথা বলার অনুমোদন নেই,তার জন্য আযানেরও অনুমোদন নেই।যখন আযানের অনুমোদন নেই তখন ইকামতেরও অনুমোদন থাকবে না।মহিলার একাকি নামায বা মহিলাদের জামাতের সাথে নামাযের জন্য কি মহিলারা আযান-ইকামত দিতে পারবে?এ সম্পর্কে বিভিন্ন মাযহাবে বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায়,যথাঃ-(১)মুস্তাহাব,তথা তখন মহিলার জন্য আযান ইকামত দেয়া মুস্তাহাব।এটা মালিকী,শাফেয়ী, এবং এক বিবরণ অনুযায়ী হাম্বলী মাযহাবের অভিমত।(২)মুবাহ,তথা আযান-ইকামত দেয়া মুবাহ,চাইলে দিতেও পারবে, আবার নাও দিতে পারবে।(৩)মাকরুহ তথা তখন আযান-ইকামত দেয়া মাকরুহ।এটা হানাফি মাযহাবের সিদ্ধান্ত।(৬/৯)

(২)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

একই রা'কাতে কোনো এক সূরাকে বারংবার তেলাওয়াত করা জায়েয হলেও অনুত্তম(মাকরুহে তানযিহি)।উত্তম হলো,কোনো এক সূরা তেলাওয়াত 

করার পর ভিন্ন কোনো সূরা তেলাওয়াত করা,চায় একই রা'কাতে হোক বা ভিন্ন রা'কাতে হোক।নববী যুগ থেকে এই পর্যন্ত এ নিয়মেই চলে আসছে যে,প্রথম রা'কাতে কারী সাহেব সূরা ফাতেহার সাথে পূর্ণ একটি সূরা বা সূরার কিছু অংশ পড়বেন।তারপর দ্বিতীয় রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার সাথে পূর্ণ একটি সূরা বা সূরার কিছু অংশ পড়বেন।তবে একই রা'কাতে কোনো সূরাকে বারংবার পড়া নাজায়েয হবে না।কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন,

(فاقرءوا ما تيسر من القرآن)

কুরআন থেকে যা সহজ হয় তাই পড়ো।

সুতরাং জরুরতের ভিত্তিতে এক সূরাকে বারংবার বা একই রা'কাতে কয়েক সূরার অংশকে তেলাওয়াত করা যাবে।এক্ষেত্রে নামায ফাসিদ হবে না।আরো জানতে ভিজিট করুন- 2123


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 90 views
0 votes
1 answer 95 views
...