আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in সালাত(Prayer) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমাদের মসজিদে খতম তারাবীর শেষ দিনে ইমাম সাহেব 20 তম রাকাতে প্রথমে সূরা ফাতিহা পড়েন। সূরা ফাতিহা শেষে তিনি সূরা লাহাব থেকে শুরু করে সূরা নাস পর্যন্ত পড়েন। তারপরে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়ে সূরা ফাতিহা আবার পড়েন এবং সুরা বাকারর প্রথম অংশ পর্যন্ত পারেন এবং সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করেন। এক্ষেত্রে প্রশ্ন হল
১) একই রাকাতে সূরা ফাতিহা দুইবার পড়া জায়েজ আছে কিনা?
২) সূরা ফাতিহা যদি ইমাম সাহেব একই রাকাতে দুইবার পড়ে ফেলেন তাহলে নামায সহীহ হবে কিনা?
৩) এক্ষেত্রে দুইবার সূরা ফাতিহা পড়া যদি শুদ্ধ না হয় তাহলে নামাজ সহি করার পদ্ধতি কি?

1 Answer

+1 vote
by (682,440 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


নামাযে যেকোনো ভুলের কারণে সেজদা সাহু ওয়াজিব হয়ে যায় না। বরং ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়। আর যদি ভুলে কোনো ফরয ছুটে যায়, তবে সেজদা সাহু করা যথেষ্ট নয়, বরং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। আর কোনো সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে গেলে সেজদা সাহু করার বিধান নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك بن أنس، عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن الأعرج، عن عبد الله بن بحينة رضي الله عنه، أنه قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين من بعض الصلوات، ثم قام فلم يجلس، فقام الناس معه، فلما قضى صلاته ونظرنا تسليمه كبر قبل التسليم، فسجد سجدتين وهو جالس، ثم سلم.

আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামায আমাদের দুই রাকাত পড়ান। তারপর না বসে দাঁড়িয়ে যান। মুকতাদীরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে যায়। যখন তিনি নামায পূর্ণ করলেন এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম তখন সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর দিলেন এবং বসা অবস্থায় দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। 
(সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭০)

★শরীয়তের বিধান হলো ফরজ নামাজে সুরা ফাতেহা পড়া ওয়াজিব।
আর ওয়াজিবকে একাধিকবার আদায় করলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়।    

ফরজ নামাজে ইচ্ছাপূর্বক ভাবে কোনো ওযর ছাড়া সুরা ফাতেহার এক আয়াত দুইবার পড়া মাকরুহ। 
নফল নামাজে কোনো সমস্যা নেই।

وینبغي أن یقید ذٰلک بالفرائض؛ لأن تکرار الفاتحۃ في النوافل لم یکرہ، کما في القہستاني۔ (مجمع الأنھر ۱؍۲۲۰)
সারমর্মঃ
নফল নামাকে সুরা ফাতেহা বারবার পড়া মাকরুহ নয়।
,  
’إذا کرر آیۃ واحدۃ مرارًا إن کان في التطوع الذی یصلیہ وحدہ فذالک غیر مکروہ، وإن کان في الفریضۃ فہو مکروہ ، وھذا في حالۃ الاختیار اما في حالۃ العذر والنسیان فلا باس بہ ، تتمات فیما یکرہ من القرأۃ في الصلاۃ۔ ( کبیری : ٤٦٢)
সারমর্মঃ
নফল নামাজে সুরা ফাতেহাত এক আয়াত বারবার পড়া মাকরুহ নয়।
ফরজ নামাজে সুরা ফাতেহার এক আয়াত ইচ্ছাকৃতভাবে  দুইবার পড়া মাকরুহ।
তবে ওযর বশত বা ভুলে যাওয়ার কারনে এমনটি হলে কোনো সমস্যা নেই।  

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত তারাবিহ নামাজ শুদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
পুনরায় আদায় করতে হবেনা।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 438 views
0 votes
1 answer 261 views
...