আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
341 views
in পবিত্রতা (Purity) by (15 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
এক বোন উনি রোযা অবস্থায় দিনে ঘুমিয়ে ছিলেন।ঘুমের মধ্যে উনি লজ্জাস্তান কে বিছানার সাথে ঘসাঘসি করেছেন ঘুমন্ত অবস্থায়। তখন ৯৯% ঘুমের ঘুরে  ছিলেন।সামান্য বুঝতে পেরেছিলেন।তার কিছু সময় পর আবার ঘসাঘসি করেছেন তখন ৭০ %ঘুমন্ত অবস্থায়।যখন তিনি বুঝতে পারেন সাথে সাথেই বন্ধ করে দেন। তখন উনার লজ্জাস্থান পুরোপুরো উত্তেজিত অবস্থায় ছিলো।উনার পায়জামায় সাদা চুনের মতো শুকনো কিছু লেগেছিলো( এগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় বেশির ভাগ সময় লাগে উনার। নামাজের সময় ধুয়ে নামাজ পড়েন)।লজ্জাস্থানে পিচ্চিল কিছু ছিলোনা।এখন ওই বোনের প্রশ্ন------

১.এই অবস্থা উনার কি হস্তমৈথন ধরা হবে?

২.হস্তমৈথুন হলে, উনার কি রোযা ভেঙে গেছে? গেলে কী করণীয়?
৩.উনার কি গোসল ফরজ হয়েছিলো?
৪.উনার সাদা চুনের মতো শুকনো কিছু একটা যে পায়জামা লাগে এটা বের হলে কী শীরীরের কোনো ক্ষতি হয়?নারীদের তো স্বাভাবিক যে সাদা ধাতু যায় সেগুলো তো সর্দির মতো পিচ্চিল থাকে।তাহলে শুকনো সাদা চুনের  মতো এগুলো কী? এগুলো বের হলে কী করণীয়?
৫.ফরজ গোসলে মহিলাদের নাক ও কানে অলংকার পরার জন্য যে ছিদ্র করা হয় সেগুলো তে কি খিলাল করে পানি ডুখানো লাগে?না ডুকালে কি ফরজ গোসল হবে?

৬.  যে কোনো উত্তেজনাকর অবস্থায়ই উনার লজ্জাস্থানে এমন লাগে।যেমন-পরীক্ষার সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে লিখা কিছুটা বাকি আছে ও দিকে স্যাররা পেপার নিতে শুরু করেছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে উনি পায়ের উপর পা দিয়ে বসলে বা কখনে না বসলেও উনার গোপন অঙ্গে ওই রকম অনুভূতি হয়।এই অবস্থায় এটা কি মাস্টারবেশন হবে? গোসল ফরজ হবে?

৫.পুরুষদের তো বীর্যবের হয় তখন বুঝতে পারেন গোসল ফরজ হয়েছে।কিন্তু নারীরা কখন বুঝবে গোসল ফরজ হয়েছে?
আল্লাহ যেনো ইচ্ছকৃত -অনিচ্ছাকৃত এই খারাপ কাজ থেকে চিরতরে মুক্তি দান করেন এই বোনকে দুয়ার দরখাস্ত উস্তাদ।

জাঝাকাল্লাহু খইরান

1 Answer

0 votes
by (566,370 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/14512/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
শরীয়তের বিধান হলো স্বপ্নদোষ হলে রোযা ভাঙ্গবে না।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمُحَارِبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثٌ لاَ يُفْطِرْنَ الصَّائِمَ الْحِجَامَةُ وَالْقَىْءُ وَالاِحْتِلاَمُ 

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি জিনিষ রোযাদারের রোযা ভঙ্গ করে নাঃ রক্তমোক্ষণ, বমি ও স্বপ্নদোষ।

(তিরমিজি ৭১৯. হকীকাতুস সিয়াম (২১-২২), আবূ দাউদ (৪০৯)

আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ ভরে বমি হল। তিনি তখন বললেন-

ثلاث لا يفطرن الصائم : القيء، والحجامة، والحلم.

তিন বস্ত্ত রোযাভঙ্গের কারণ নয় : বমি, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ।-সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৪/২৬৪।

তবে হস্তমৈথুনে বীর্যপাত হলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। আর এটা যে ভয়াবহ গুনাহের কাজ তা বলাই বাহুল্য।

হাদীস শরীফে কামেচ্ছা চরিতার্থ করা থেকে বিরত থাকাকে রোযার অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ঐ সত্ত্বার কসম, যার হাতে আমার জান। রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহ তাআলার নিকট মেশকের চেয়েও বেশি প্রিয় (আল্লাহ তাআলা বলেন,) রোযাদার আমার জন্য পানাহার করা থেকে এবং কামেচ্ছা চরিতার্থ করা থেকে বিরত থাকে।-সহীহ বুখারী ১/২৫৪; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭২; ফাতাওয়া শামী ২/৩৯৯

তবে শুধু যৌন চিন্তার কারণে বীর্যপাত হলে রোযা ভাঙ্গবে না। তবে এ কথা বলাই বাহুল্য যে, সব ধরনের কুচিন্তা তো এমনিতেই গুনাহ আর রোযার হালতে তো তা আরো বড় অপরাধ।-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; রদ্দুল মুহতার ২/৩৯৬
,
কামভাবের সাথে কোনো মহিলার দিকে তাকানোর ফলে কোনো ক্রিয়া-কর্ম ছাড়াই বীর্যপাত হলে রোযা ভাঙ্গবে না। তবে রোযা অবস্থায় স্ত্রীর দিকেও এমন দৃষ্টি দেওয়া অনুচিত। আর অপাত্রে কু-দৃষ্টি তো গুনাহ। যা রোযা অবস্থায় আরো ভয়াবহ। এতে ঐ ব্যক্তি রোযার ফযীলত ও বরকত থেকে মাহরূম হয়ে যায়।
জাবির ইবনে যায়েদকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর দিকে কামভাবের সাথে তাকানোর ফলে বীর্যপাত ঘটেছে, তার কি রোযা ভেঙ্গে গেছে? তিনি বললেন, ‘না। সে রোযা পূর্ণ করবে।’

মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬-২৫৯ আরো দেখুন : সহীহ বুখারী ১/২৫৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; ফাতাওয়া শামী ২/৩৯৬)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এই অবস্থা উক্ত বোনের জন্য হস্তমৈথন ধরা হবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে তার রোযা ভেঙ্গে যাবেনা। 

(৩.৪)
সাদা চুনের মতো যেটির কথা প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে,এটি মূলত সাদা স্রাব।

প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ-
"লজ্জাস্থানে পিচ্ছিল কিছু ছিলোনা"
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে গোসল ফরজ হবেনা। 

(০৫)
খিলাল করা আবশ্যক নয়,তবে অলংকার নড়াচড়া করবে,যাতে ছিদ্রের মধ্যে পানি পৌছা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৬)
এটা মাস্টারবেশন হবেনা।এতে গোসল ফরজ হবেনা।


★নারীদের বীর্যপাতের বিষয় সম্পর্কে জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 337 views
...