আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
149 views
in সাওম (Fasting) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায।রোজায় খাবার গলায়  চলে আসলে করুনীয় কি। গিলে ফেললে কি রোজা ভেঙে  যাবে। পরে কাযা করতে হবে?আমি তো এখন ও মাসালা জানিনা যদি কাযা করতে হয় কয়টি রোজা রাখতে হবে? ভুলে গিলে ফেললে ও কি কাজা করতে হবে

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/15882/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ ভরে বমি হল। তিনি তখন বললেন-

ثلاث لا يفطرن الصائم : القيء، والحجامة، والحلم.

তিন বস্ত্ত রোযাভঙ্গের কারণ নয় : বমি, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ।-সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৪/২৬৪

হাদীসে আছে, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে তার রোযা কাযা করতে হবে না।-জামে তিরমিযী ১/১৫৩, হাদীস : ৭২০; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪১৪

তবে অনিচ্ছাকৃত বমি হওয়ার কারণে রোযা নষ্ট হয়ে গেছে মনে করে রোযা ভেঙ্গে ফেললে কাযা করতে হবে।
    
শরীয়তের বিধান হলো  মুখে বমি চলে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে। যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়।-আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪১৫)

আর অনিচ্ছায় গিলে ফেললে রোযার কোনো ক্ষতি হবেনা। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ঢেকুর রোজার জন্য ক্ষতিকর নয়। তখন যদি কোনো খাদ্য বা পানীয় বের হয়, তাহলে তা ফেলে দিতে হবে। পুনরায় ইচ্ছাকৃতভাবে  গিলে ফেললে রোজা ভেঙ্গে যাবে। আর যদি মুখ ভরে বমি হয়, তাতেও রোজা ভেঙ্গে যায়। 

ঢেকুর আসার পর তাহা যদি গলার মধ্যেই থাকে,মুখের মধ্যে না আসে,তাহলে সেটি বের করে ফেলে দেওয়ার তেমন শক্তি থাকেনা।
তাই এই ছুরতে রোযা ভেঙ্গে যায়না।

আর যদি মুখের মধ্যেই চলে আসে,সেক্ষেত্রে যদি তাহা ফেলে দেয়া সম্ভবপর হয়,সেক্ষেত্রে ফেলে দিতে হবে,নতুবা রোযা ভেঙ্গে যাবে ।
কাজা আবশ্যক হবে।
,
আর যদি ফেলে দেয়া সম্ভবপর না হয়,সেক্ষেত্রে তাহা গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।

ভুলে গিলে ফেললে সর্বাবস্থায় রোযা ঠিকই থাকবে, ভেঙ্গে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 339 views
...