বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নামাযে এক পা দিয়ে আরেক পা চুলকানো যদি তিনের অধিক হয়ে থাকে,তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/445
(২)
আল্লাহ তা'আলা নামাযে কুরআনে কারিম তেলাওয়াতের কথা বলেছেন। উসূলে ফিকহের নীতি অনুযায়ী যে কোনো আদেশকে একবার বাস্তবায়ন করে নিলে সেই আদেশকে পালন করা হয়ে যায়।সে হিসেবে নামাযে প্রথম রা'কাতে কুরআন তেলাওয়াত করে নিলেই আল্লাহ তা'আলার আদেশ-
ﻓَﺎﻗْﺮَﺅُﻭﺍ ﻣَﺎ ﺗَﻴَﺴَّﺮَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥِ
কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু(নামাযে) আবৃত্তি কর। (সূরা মুযযাম্মিল-২০) -কে মান্য করা হয়ে যাবে।
কিন্তু যেহেতু প্রথম বৈঠকের পূর্বের রা'কাত গুলো সাদৃশ্যপূর্ণ,তাই ফরয নামাযের প্রথম দুই রাকাতে মতলকে তেলাওয়াত তথা কুরআনের যে কোনো অংশ থেকে শুধুমাত্র কিছু তেলাওয়াত করে নেয়া ফরয।এক্ষেত্রে কোনো শর্ত নেই।
হ্যা এ দুই রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহা তেলাওয়াত করা ওয়াজিব।এবং সাথে আরও একটি সূরা মিলানো ওয়াজিব।
(বিঃদ্রঃ ফরয ছেড়ে দিলে নামায হয় না কিন্তু ওয়াজিব ছেড়ে দিলে সেজদায়ে সাহুর সাথে নামায আদায় হয়ে যাবে)
শেষ দুই রা'কাতে তেলাওয়াত করা সুন্নাত।চায় সূরায়ে ফাতেহা হোক বা কুরআনের অন্য কোনো সূরা হোক।কেউ ইচ্ছা করলে শেষ দুই রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার সাথে অন্য যেকোনো সূরাকেও মিলাতে পারে।এমনকি সারা কুরআনও পড়তে পারে।এতে কোনো সমস্যা নাই।তবে শুধুমাত্র সূরায়ে ফাতেহা পড়া মুস্তাহাব।সূরায়ে ফাতেহা ব্যতীত অন্য সূরা পড়ে নিলেও এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া;৪/৫০
ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ;৭/৪১২)
(৩)
নু'আইম বিন হাম্মাদের "কিতাবুল ফিতান" এর হাদীস সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে, উক্ত কিতাবের উল্লেখযোগ্য হাদীস যঈফ।বাংলা ভাষায় অনুদিত রয়েছে,এমন কোনো বিশুদ্ধ কিতাব সম্পর্কে জানা নেই।খোজ পেলে ইডিট করে জানাবো।
(৪)
ফিতানের অধিকাংশ হাদীসের সম্পর্ক যেহেতু ঈমান এবং আকাঈদের সাথে,তাই ফিতান সম্পর্কে যইফ হাদীসের উপর আ'মল করা যাবে না।