আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in সালাত(Prayer) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
আমার মাঝে মাঝে সালাতে প্রচুর চুলকায়। এই অবস্থায় যদি এক রুকনে তিনবার সুবহানাল্লাহি রাব্বিয়াল আ'লা বলার সময়ের চেয়ে বেশি গ্যাপ এ ৩ বারের অধিক কোন একটি স্থান চুলকাই তাহলে কি নামায ফাসিদ হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


নামাজের ভিতর নড়াচড়া করা যাবেনা।
এক রুকন সমপরিমাণ এমনটি করলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ    
সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের নবীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন সাতটি (অঙ্গের) ওপর সিজদা করে এবং নামাজে চুল বা কাপড় না গুটায়। -সুনানে আবু দাউদ: ২/১৪

নির্ভরযোগ্য বর্ণনায় এসেছে, বিখ্যাত তাবেয়ি মুজাহিদ (রহ.) বলেন, হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ও হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা.) যখন নামাজে দাঁড়াতেন তখন মনে হত একটি কাঠ মাটিতে গেড়ে দেওয়া হয়েছে। -মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৭৩২২

প্রখ্যাত তাবেয়ি আমাশ (রহ.) থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) যখন নামাজে দাঁড়াতেন তাকে দেখে মনে হত যেন একটি পড়ে থাকা কাপড়। -মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক: ৩৩০৩।

আমলে কাসীরের অনেক সংজ্ঞা রয়েছে,তার মধ্যে একটি হলোঃ-
ধারাবাহিক তিনবার হারকাত (নড়াচড়া, চুলকানো,কাপড় বা অঙ্গ নিয়ে খেলায় মত্ত হওয়া) অর্থাৎ এই তিন হারকাত ধারাবাহিক ভাবে কোনো এক রুকুনের মধ্যে না হওয়া।যদি এমন হয় তাহলে এটা 'আ'মলে কাছির'।নতুবা সেটা আ'মলে ক্বালীল। 

আমলে কাছির সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি যদি তিনবার سبحان ربي الأعلي  বলা সমপরিমাণ সময়ের মাঝেই তিন বার হাত দিয়ে একটি স্থান বা একাধিক স্থান না চুলকান,বরং এক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি সময় হয়,সেক্ষেত্রে আপনার নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে।

তিনবারের অধিকবার চুলকানোর ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখবেন যে ধারাবাহিক চুলকানোর সময়ে  سبحان ربي الأعلي  বলা সমপরিমাণ সময়ের মাঝেই যেনো তিনবার চুলকানো না হয়। তাহলে নামাজ হবে।

তবে মাসয়ালাগত দিক থেকে এই ব্যাপারে অনেক মত রয়েছে। 
তাই সতর্কতা মূলক যেভাবেই হোক,এই অভ্যাস ত্যাগ করুন।
প্রয়োজনে ছোট সূরা দিয়ে নামাজ পড়ুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...