জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
রোযা রাখার বিধান ঐ সময়েই,যখন বিবাহ না করলে যেনার মধ্যে চলে যাওয়ার প্রবল আশংকা থাকে,নিজেকে হেফাজতের কোনো ভাবেই যদি উপায় না থাকে আর স্ত্রীকে ভরনপোষণ দেওয়ার মতো সামর্থও না থাকে,তখন রোযা রাখার বিধান এসেছে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
(يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ ، مَنْ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ)
হে যুবকদের দল! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থবান,তারা যেন বিয়ে করে নেয়।কেননা বিয়ে চক্ষুকে নিচু রাখে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে।আর যাদের বিয়ের সামর্থ্য নেই তারা যেন রোযা রাখে।কেননা রোযা ঢাল স্বরূপ।(সহীহ বোখারী-১৯০৫,সহীহ মুসলিম-১৪০০)
সুতরাং মাঝে মাঝে নফল রোজা রাখতে হবে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ ، مَنِ اسْتَطَاعَ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ ، ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ
হে যুবক সম্প্রদায় ! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহ করার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিবাহ করে। কেননা, বিবাহ তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং যৌনতাকে সংযমী করে এবং যাদের বিবাহ করার সামর্থ্য নাই, সে যেন রোযা পালন করে। কেননা, রোযা তার যৌনতাকে দমন করে। (বুখারী,হাদীস নং-৪৯৯৬)
,
আর যদি যেনার মধ্যে যাওয়ার প্রবল আশংকা না থাকে,বা স্ত্রীকে ভরনপোষণ দেওয়ার ক্ষমতা থাকে,তখন রোযা রাখার বিধান নেই।
তখন বিবাহই করতে হবে।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আমি বলবো যে বিবাহই করতে হবে।
মা বাবাকে বলা,,,ইত্যাদি শতচেষ্টার পর কোনো কারণে বিয়ে করা অসম্ভব হয়,তাহলে যৌনক্ষমতাকে দমিয়ে রাখতে এক্ষেত্রে রোযা রাখাই নির্দিষ্ট।
★এক্ষেত্রে যখন যখন সমস্যাকর মনে হয়,তখন রোযা রাখবেন।
সারাবছর রোযা রাখবেননা।
,
,
এক্ষেত্রে মা বাবাকে আপনার বিবাহের কথা বলার পরেও তারা যদি অনুমতি না দেন,আর সেক্ষেত্রে আপনি রোযা রাখেন,তাহলে এক্ষেত্রে যেহেতু রোযা রাখাই নির্দিষ্ট,তাই রোযা রাখার ক্ষেত্রে বাবা মার কথা শোনা যাবেনা।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
فَإِنْ أُمِرَ بِمَعْصِيَةٍ، فَلَا سَمْعَ وَلَا طَاعَةَ
অসৎকাজে আনুগত্য নয় ;আনুগত্য কেবলমাত্র সৎকাজের ক্ষেত্রেই হতে হবে। (বুখারী ৭১৪৫ মুসলিম ১৮৪০)
হাসান বসরী রহ. বলেন,
إن منعتْه أمُّه عن العشاء في الجماعة شفقة : لم يطعها
যদি মা সন্তানের প্রতি মায়া দেখিয়ে ইশার জামাতে শরিক হতে বারণ করে তাহলে এ ক্ষেত্রে তাঁর আনুগত্য করা যাবে না। (বুখারী ১/২৩০)
,
হ্যাঁ মাঝে মাঝে রোযা রাখা হতে বিরতি দিতে হবে,যাতে শরীরের কোনো ক্ষতি না হয়।
,
বাড়িতে যখন মেহমান ইত্যাদি আসে,তাহলে তাদের খাতিরে রোযা রেখে থাকলে এই নফল রোযা ভাঙ্গা যাবে।
,
পরবর্তীতে সেটা রাখবেন।
,
আর যদি রোযা না রেখে থাকেন,তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই।
রোযা ছেড়ে দেওয়া যাবে।
,
★আর যদি যেনায় লিপ্ত হওয়ার প্রবল আশংকা না থাকে,তবে স্ত্রীর ভরনপোষণ এর ক্ষমতা থাকে,তাহলে বিবাহ করে নিবেন।
,
আর যদি যেনায় লিপ্ত হওয়ার প্রবল আশংকা না থাকে,এবং স্ত্রীর ভরনপোষণ এর ক্ষমতাও না থাকে,তাহলে নিম্নোক্ত লিংকে দেওয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে গুনাজ থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে হবে।