১. মোছ ছাড়া ছোট করে অনেকে দাড়ি রাখে। কোনো মানুষের যদি এরুপ দাড়ি ওয়ালা কেও দেখলেই মাথায় আসে এ খারাপ(হয়তো কখনো এরকম দাড়ি ওয়ালা কারো কেও কিছু করেছিলো যার প্রভাব তার মাথায় রয়ে গেছে, তবে তার ভাবনা যে সঠিক না এটাও বুঝতেছে, কারণ সবাই তো সমান না), এবং তার যদি এই রকম দেখে বিরক্ত লাগে। এতে কি কুফর হবে?
(তার দাড়ির প্রতি কোনো আক্রুশ নাই, নিজের ও ৪ আঙ্গুল পরিমান লম্বা দাড়ি আছে, বড় দাড়ি রাখুক,মোছ ছাড়া রাখুক তার খারাপ লাগে না বরং ভালো লাগে, শুধু এরুপ এই ডিজাইনের দেখলেই তার ওই মানুষের প্রতি, ও এই ডিজাইনের প্রতি বিরক্তি কাজ করে)
২. মোয়াবিয়া (রা:) প্রসঙ্গে কেও যদি বলে, তুমি যদি এতো মোয়াবিয়া (রা:) কে সঠিক মনে করো,তবে দোয়া করো যে তার সাথে যেনো হাশর হয়। তখন সে যদি বলে " ইন্জিন থইয়া বগির লগ ধরলে হইবো নি, যেখানে নবী(সা:) আছে সেখানে উনাকে ছাড়া কিভাবে অন্য কারো সাথে হাশর হওয়ার দোয়া করতে পারি, আমি চাই নবী (সা:) এর সাথে হাশর হোক" এই কথার ফলে কি নবী(সা:) কে ইন্জিনের সাথে তুলনা করার ফলে কি কুফর হবে?
"নবী: আমাদের ইন্জিন" বুঝানের জন্য এটাও বলেছিলো কি না শতভাগ মনে পরছে না, সর্বোপরি এতে কি বেয়াদবি হবে?নবী(সা:) এর সাথে,তার বেয়াদবির কোনো নিয়ত ছিলো না কখনোই।
৩. জেন শুনে,বাথরুমে বসে, আল্লাহ হাফেজ ইনশাআল্লাহ লেখা ম্যাসেজ গুলো অপেন করলে কি কুফর হয়ে যাবে?
৪. মাঝে মাঝে বিভিন্ন সময় মানুষ জন, ইসলামি বিষয় নিয়ে,(যেমন নামাজ পরতে পরতে, আজান দিতে দিতে) এমন কিছু করে যা দেখে আমাদের হাসি উঠে যায়, এবং এসব সিন মনে হলেও হাসি উঠে, কিন্তু নামাজ/আজান এসব কাজের প্রতি কোনো ঠাটা করার ইরাদাই থাকে না তা ও হাসি উঠে যায়, এসব হাসির ফলে কি কুফর হবে?
৫. কেও কোনো আমল সচারাচর করেনা, কিন্তু হঠাৎ তাকে এই আমল করলে দেখে ফেললে যদি মজা করে হাসি চলে আসে,যে সে হঠাৎ এমনটা করেছে, জানি এটা হাসার বিষয় না, এটা বুঝতেছে,কিন্তু হঠাৎ হাসি উঠে যায়, এইসব ইবাদত কেও করলে তার ভালোই লাগে, সেও চায় মানুষ আমলি হোক, কিন্তু তাও হঠাৎ দেখে এভাবে হাসিটা কিসের হাসি, এরকম হাসলে কি কুফর হবে?
৬. সেদিন দেখলাম আমার মাদরাসার কিছু ছাত্র মাইকের শুধু চুঙ্গাটা একজন ধরে রাখছে আরেজন সেখানে মুখ লাগিয়ে আজান দিচ্ছে মজা করে। এই সিন দেখে খুব হাসি উঠে, নামাজেও মনে পরে সিনটা মনে পরলেই হাসি উঠলছিলো। আবার সেদিন একজন (স্কুল ছাত্র পড়ানোর ব্যাচের) পুরো ক্লাস টুপি পরে নাই, কেও ই পরে নাই, ছুটির সময় সে টুপি পরেছে। তার দিকে যখন চাই তখন সেও হাসতেছিলো,আমার তখন হাসি উঠে। এই দুই হাসির ফলে কি ইমানে সমস্যা হবে?
৭. কেও যদি মনে করে, ছেলে/মেয়ে তাদের কাজের জন্য জোহর-আসর এবং মাগরিব-এশা জমা করে পরতে পারবে। এতে কি তারজ কুফর হবে?
৮. কেও যদি স্বামী স্ত্রীর দুরত্ব বুঝাতে বলে ফেলে "আমাদের মাঝে এতো বিচ্ছেদ " এতে করে কি তার বিবাহ নষ্ট হবে?
৯. একটা বিশেষ ব্রিডের কুকুর দেখে কেও যদি ভাবে " এই ব্রীডের কুকুররা প্রেকটিস করতে করতে এরকম হইছে তাদের স্পেশাল গুণ আইছে"
এটা বলে আাবর ভাবছে তার কথা কি বিবর্তনবাদের মতো হয়ে গেলো? পরে ভেবে কিছুটা মিল ও পাচ্ছিলো হয়তো কিন্তু সে তা সমর্থন করে না, তার ভাবনার ফলে কি কুফর হবে?
১০. লুকিয়ে বিবাহের খবর কেও যেনো না জানে তার জন্য বউ ম্যাসেজে বলে "কেউরে আর ভুলেও কইওনা বিয়া করছো " " আমি তোমার গার্লফেন্ড ওই ভালা" এই দুই ম্যাসেজ দেয়। এবং স্বামীও একজনকে বলে " আমি বিয়ে করলে তো তোমাকে বলতাম ই" তাদের এভাবে বলার দরুন কি বিবাহে সমস্যা হবে? (বউ এর তালা* এর অনুমতি আছে